alt

সারাদেশ

পলাশে আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে সুরভিত চারিদিক

প্রতিনিধি, পলাশ (নরসিংদী) : রোববার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নরসিংদীর পলাশে দৃষ্টিনন্দন আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে সুরভিত চারিদিক। গাছের ছোট ছোট ডালের সবুজ পাতার মাঝে হলদেটে মুকুল ঝুরি যেন কনক প্রদীপ হয়ে আলোর বিচ্ছুরণ ঘটাচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যেই মুকুল ঝুরিগুলো প্রস্ফুটিত হবে মুকুল মঞ্জরীতে। আম গাছগুলো সজ্জিত হবে সাদা, বেগুনি ও হলদেটে ফুলে ফুলে পুষ্পরানীর সাজে। গাছে গাছে মৌমাছির গুঞ্জন আর মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে প্রকৃতিতে সৃষ্টি হবে এক নতুন ছন্দের। কয়েক মাসের মধ্যেই পুষ্পরাণী আম গাছের ডালে ডালে ঝুলবে নানা জাতের, নানা বর্ণের আম।

পলাশ উপজেলার বিভিন্ন জাতের আম গাছগুলোতে মুকুলে ভরে গেছে। এ মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণে মৌ মৌ করছে প্রকৃতি। আমের ফলননির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন উপজেলার বিভিন্ন আম বাগান মালিকরা।

মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলে ভরে গেছে বাগানসহ ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আম গাছগুলো। তবে বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে। সেই মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে বাগান মালিকদের চোখে ভাসছে সফলতার স্বপ্ন।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আম গাছে শোভা পাচ্ছে শুধু ই মুকুল। এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন।

মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। চারদিকে ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের সুবাসিত পাগল করা ঘ্রাণ। যেদিকে তাকাই গাছে গাছে এখন শুধু দৃশ্যমাণ সোনালী মুকুলের আভা।

মুকুলের ভারে নুইয়ে পড়ার উপক্রম প্রতিটি গাছ। মৌমাছিরাও আসতে শুরু করেছে মধু আহরণে। শীতের জড়তা কাটিয়ে কোকিলের সেই সুমধুর কুহুতানে মাতাল করতে আবারও ফিরে আসছে ঋতুরাজ বসন্ত।

প্রায় ৭০ শতাংশ গাছেই এসেছে মুকুল। বাগান মালিক, কৃষি কর্মকর্তা ও আম চাষিরা আশা করছেন, বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জেলায় আমের বাম্পার ফলন হবে। বর্তমানে আমচাষি ও বাগান মালিকরাও বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

জেলার বিভিন্ন আমচাষিরা জানান, পুরোপুরিভাবে এখনো সবগাছে মুকুল আসেনি। আর সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই সব গাছেই মুকুল আসবে। ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণ কম থাকায় এবার কাক্সিক্ষত ফলনের আশা করছেন চাষিরা। ধীরে ধীরে জেলাজুড়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে আমের বাগান। উৎপাদিত আম মানসম্মত হওয়ায় চাহিদাও বাড়বে অনেক।

পলাশ উপজেলা কৃষি অফিসার আয়েশা আক্তার বলেন, আগামী বৈশাখ-জ্যেষ্ঠে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ অঞ্চলে ভালো আম উৎপাদন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

ছবি

গ্রামগঞ্জে বাঁশি বিক্রি করেই চলে আমিরের সংসার

ছবি

বেড়িবাঁধ কেটে রাস্তা: অভিযোগ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে

ছবি

ক্যাম্পসের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে সেবা পেল প্রায় ৩৫০০ মানুষ

সোনারগাঁয়ে এসি বিষ্ফোরণে ২ জন নিহত

ছবি

নেত্রকোনায় বাঁশি তৈরির কারিগর আমিরের মানবেতর জীবনযাপন

ছবি

চা শিল্পের অগ্রগতির প্রতীক শ্রীমঙ্গলের ‘ফিনলে রানওয়ে’

ছবি

তরমুজে স্বপ্ন বুনছেন খুলনার চাষিরা

সৈয়দপুরে সতীর্থের ৩ দিনের বইমেলার সমাপ্তি

নোয়াখালীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরি, জরিমানা

ছবি

জাতীয় পতাকা নিয়ে হেঁটে দেশ ভ্রমণে দুই হাফেজ

মোরেলগঞ্জে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

রাজবাড়ী আ’লীগের সহসভাপতি জব্বার ফকির গ্রেপ্তার

নিখোঁজের তিন দিন পর ইমামের মরদেহ উদ্ধার

চাঁপাইনবাবগঞ্জে কেঁচো সার উদ্বুদ্ধকরণে কৃষক প্রশিক্ষণ

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যাচেষ্টা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ

মান্দার নিভৃত পল্লীতে অনন্য বইমেলা

গ্রাম আদালত সক্রিয়করণে বিভাগীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ডিমলায় ছাত্রলীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার

পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপনে উঠান বৈঠক

চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ২ আসামি জবানবন্দির পর কারাগারে

পিরোজপুরে বৈঠাকাটা নামে নতুন উপজেলা গঠনের উদ্যোগ

‘বিচার বিভাগ সংস্কার কার্যক্রমে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেছে’

সুন্দরবনে মাছ ধরার দায়ে ৮ নৌকাসহ ১৮ জেলে আটক

ছবি

ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা শেষ করে কুমিল্লা-নোয়াখালী সড়কের কাজ সম্পন্নের দাবি

ছবি

আট বছরেও স্থায়ী ক্যাম্পাস পায়নি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়

কলারোয়ায় সাজাপ্রাপ্ত যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

পত্নীতলা রাস্তায় গাছ ফেলে ভয়াবহ ডাকাতি

যৌনপল্লী থেকে বিদেশি পিস্তলসহ গ্রেপ্তার ১

ডেভিল হান্ট অভিযান বাগেরহাটে গ্রেপ্তার ৮

ধর্মপাশায় ঘরের আড়ায় ঝুলে যুবকের আত্মহত্যা

ছবি

খোকসায় অপর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকায় ভিক্ষুক পুনর্বাসন প্রকল্প ব্যর্থ হতে বসেছে

ছবি

সিংড়ায় পানি সেচে বাধা, তিন ফসলি জমি অনাবাদি

বিয়ে বাড়িতে উচ্চস্বরে গান বাজানো নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ১

লিবিয়ায় মাফিয়াদের বিষাক্ত ইনজেকশন নাসিরনগরের যুবকের মৃত্যু

বোয়ালখালীতে পোশাক কারখানায় আগুন

ছবি

রোভার স্কাউটসের চার সদস্য চট্টগ্রাম থেকে হেঁটে যাবেন কক্সবাজার

tab

সারাদেশ

পলাশে আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে সুরভিত চারিদিক

প্রতিনিধি, পলাশ (নরসিংদী)

রোববার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নরসিংদীর পলাশে দৃষ্টিনন্দন আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে সুরভিত চারিদিক। গাছের ছোট ছোট ডালের সবুজ পাতার মাঝে হলদেটে মুকুল ঝুরি যেন কনক প্রদীপ হয়ে আলোর বিচ্ছুরণ ঘটাচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যেই মুকুল ঝুরিগুলো প্রস্ফুটিত হবে মুকুল মঞ্জরীতে। আম গাছগুলো সজ্জিত হবে সাদা, বেগুনি ও হলদেটে ফুলে ফুলে পুষ্পরানীর সাজে। গাছে গাছে মৌমাছির গুঞ্জন আর মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে প্রকৃতিতে সৃষ্টি হবে এক নতুন ছন্দের। কয়েক মাসের মধ্যেই পুষ্পরাণী আম গাছের ডালে ডালে ঝুলবে নানা জাতের, নানা বর্ণের আম।

পলাশ উপজেলার বিভিন্ন জাতের আম গাছগুলোতে মুকুলে ভরে গেছে। এ মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণে মৌ মৌ করছে প্রকৃতি। আমের ফলননির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন উপজেলার বিভিন্ন আম বাগান মালিকরা।

মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলে ভরে গেছে বাগানসহ ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আম গাছগুলো। তবে বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে। সেই মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে বাগান মালিকদের চোখে ভাসছে সফলতার স্বপ্ন।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আম গাছে শোভা পাচ্ছে শুধু ই মুকুল। এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন।

মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। চারদিকে ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের সুবাসিত পাগল করা ঘ্রাণ। যেদিকে তাকাই গাছে গাছে এখন শুধু দৃশ্যমাণ সোনালী মুকুলের আভা।

মুকুলের ভারে নুইয়ে পড়ার উপক্রম প্রতিটি গাছ। মৌমাছিরাও আসতে শুরু করেছে মধু আহরণে। শীতের জড়তা কাটিয়ে কোকিলের সেই সুমধুর কুহুতানে মাতাল করতে আবারও ফিরে আসছে ঋতুরাজ বসন্ত।

প্রায় ৭০ শতাংশ গাছেই এসেছে মুকুল। বাগান মালিক, কৃষি কর্মকর্তা ও আম চাষিরা আশা করছেন, বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জেলায় আমের বাম্পার ফলন হবে। বর্তমানে আমচাষি ও বাগান মালিকরাও বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

জেলার বিভিন্ন আমচাষিরা জানান, পুরোপুরিভাবে এখনো সবগাছে মুকুল আসেনি। আর সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই সব গাছেই মুকুল আসবে। ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণ কম থাকায় এবার কাক্সিক্ষত ফলনের আশা করছেন চাষিরা। ধীরে ধীরে জেলাজুড়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে আমের বাগান। উৎপাদিত আম মানসম্মত হওয়ায় চাহিদাও বাড়বে অনেক।

পলাশ উপজেলা কৃষি অফিসার আয়েশা আক্তার বলেন, আগামী বৈশাখ-জ্যেষ্ঠে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ অঞ্চলে ভালো আম উৎপাদন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

back to top