বিগত ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে কাঁধে ব্যাগ আর হাতে বাঁশি নিয়ে গ্রামগঞ্জের হাট-বাজারে বাঁশি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে চলেছেন আমির হোসেন (৬৫)। তার তৈরি বাঁশি প্রত্যেক শিল্পী ও সংগীতপ্রেমী মানুষদের হাতে হাতে।
আমির হোসেন নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার আসমা ইউনিয়নের কৈলাটি গ্রামের বাসিন্দা। ছোটবেলায় শখের বশে বাঁশি হাতে নিয়ে আজ তিনি বাঁশি তৈরির কারিগর। আজকাল সেই বাঁশিই হয়ে উঠে তার পরিবার চালানোর উৎস।
গেল বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে বাঁশিওয়ালা আমিরের সঙ্গে দেখা ও কথা হয় এ প্রতিবেদকের। একান্ত আলাপচারিতায় বাঁশি তৈরির কারিগর জানান, ছোটকাল থেকে বাঁশির প্রতি শখ ছিল আমার। এরপর একই ইউনিয়নের ছয়গাঁও গ্রামের আবুল কাসেম নামের এক উস্তাদের কাছে বাঁশিতে সুর তোলা ও বাঁশি তৈরির কৌশল শেখা। আস্তে আস্তে নিজেই বাঁশি তৈরি ও বিক্রির কাজ শুরু করি, বাঁশি বিক্রি করে যা পাই তাই দিয়ে সংসার চালাই। চোখেমুখে দুশ্চিন্তার ভাঁজ নিয়ে বলেন, বয়স বাড়ছে, দেহে রোগ-বালাই আসছে, সংসারই চলে না, ওষুধ খামু কেমনে।
বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খবিরুল আহসান বলেন, বাঁশি বাংলা সংস্কৃতির প্রাচীন নিদর্শন। প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে আধুনিক সংগীতেও বাঁশির ব্যবহার রয়েছে। বাঁশি তৈরির কারিগর আমির হোসেনের খোঁজখবর নিয়ে, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
রোববার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বিগত ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে কাঁধে ব্যাগ আর হাতে বাঁশি নিয়ে গ্রামগঞ্জের হাট-বাজারে বাঁশি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে চলেছেন আমির হোসেন (৬৫)। তার তৈরি বাঁশি প্রত্যেক শিল্পী ও সংগীতপ্রেমী মানুষদের হাতে হাতে।
আমির হোসেন নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার আসমা ইউনিয়নের কৈলাটি গ্রামের বাসিন্দা। ছোটবেলায় শখের বশে বাঁশি হাতে নিয়ে আজ তিনি বাঁশি তৈরির কারিগর। আজকাল সেই বাঁশিই হয়ে উঠে তার পরিবার চালানোর উৎস।
গেল বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে বাঁশিওয়ালা আমিরের সঙ্গে দেখা ও কথা হয় এ প্রতিবেদকের। একান্ত আলাপচারিতায় বাঁশি তৈরির কারিগর জানান, ছোটকাল থেকে বাঁশির প্রতি শখ ছিল আমার। এরপর একই ইউনিয়নের ছয়গাঁও গ্রামের আবুল কাসেম নামের এক উস্তাদের কাছে বাঁশিতে সুর তোলা ও বাঁশি তৈরির কৌশল শেখা। আস্তে আস্তে নিজেই বাঁশি তৈরি ও বিক্রির কাজ শুরু করি, বাঁশি বিক্রি করে যা পাই তাই দিয়ে সংসার চালাই। চোখেমুখে দুশ্চিন্তার ভাঁজ নিয়ে বলেন, বয়স বাড়ছে, দেহে রোগ-বালাই আসছে, সংসারই চলে না, ওষুধ খামু কেমনে।
বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খবিরুল আহসান বলেন, বাঁশি বাংলা সংস্কৃতির প্রাচীন নিদর্শন। প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে আধুনিক সংগীতেও বাঁশির ব্যবহার রয়েছে। বাঁশি তৈরির কারিগর আমির হোসেনের খোঁজখবর নিয়ে, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।