বাঁশি কারিগর আমির হোসেন, শৈশবে বাঁশি সঙ্গে সখ্যতা গড়েছিল যার। আর তখন থেকেই বাঁশি বাজিয়েই কেটে গেল এক জীবন। কিন্তু সেই জীবনে এখন পড়েছে ভাটা। সুর থাকলেও, শোনার নেই শ্রোতা, হাতে বাঁশি থাকলেও নেই বিক্রেতা। তাই বর্তমানে খড়স্রোতে সময় প্রবাহ করছেন তিনি।
বিগত ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে কাঁধে ব্যাগ আর হাতে বাঁশি নিয়ে গ্রামগঞ্জের হাট-বাজারে তা বাজিয়ে ও বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন কৈলাটি গ্রামের বাসিন্দা আমির হোসেন। তার নিজ হাতে তৈরি বাঁশি ব্যাপক পরিচিত প্রত্যেক শিল্পী ও সঙ্গীত প্রেমী মানুষদের কাছে।
আমির হোসেন নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার আসমা ইউনিয়নের কৈলাটি গ্রামের বাসিন্দা। ছোটবেলায় শখের বশে হাতে নিয়েছিল বাঁশি, এখন তিনিই হয়ে উঠেছেন বাঁশি তৈরির অন্যতম কারিগর। এছাড়া এই বাঁশিই এখন তার সংসার পরিচালনার একমাত্র উৎস। বাঁশিই এখন তার বেঁচে থাকার অবলম্বন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে বাঁশিওয়ালা আমিরের সঙ্গে দেখা ও কথা হয় দৈনিক সংবাদের এ প্রতিবেদকের। একান্ত আলাপচারিতায় বাঁশি তৈরির কারিগর জানান, ছোটকাল থেকে বাঁশির প্রতি শখ ছিল তার। এরপর একই ইউনিয়নের ছয়গাঁও গ্রামের আবুল কাসেম নামের এক উস্তাদের কাছে বাঁশিতে সুর তোলা ও বাঁশি তৈরির কৌশল শেখা তিন। আস্তে আস্তে একসময়
নিজেই বাঁশি তৈরি করে তা বিক্রির কাজ শুরু করেন।
চোখে-মুখে দুশ্চিন্তার ভাঁজ নিয়ে বাঁশিওয়ালা আমির বলেন, বয়স বাড়ছে, দেহে রোগ বালাই আসছে, সংসারই চলে না, ওষুধ খাব কেমনে। বাঁশি বিক্রি করে যা পাই, তাই দিয়ে সংসার চালাই। এখন আর তেমন বিত্রি হয় না। তাই সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে।
বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খবিরুল আহসান বলেন, বাঁশি বাংলা সংস্কৃতির প্রাচীন একটি নিদর্শন। প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে আধুনিক সংগীতেও বাঁশির ব্যবহার রয়েছে। বাঁশি তৈরির কারিগর আমির হোসেনের খোঁজখবর আমরা নিবো, এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করবো।
রোববার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বাঁশি কারিগর আমির হোসেন, শৈশবে বাঁশি সঙ্গে সখ্যতা গড়েছিল যার। আর তখন থেকেই বাঁশি বাজিয়েই কেটে গেল এক জীবন। কিন্তু সেই জীবনে এখন পড়েছে ভাটা। সুর থাকলেও, শোনার নেই শ্রোতা, হাতে বাঁশি থাকলেও নেই বিক্রেতা। তাই বর্তমানে খড়স্রোতে সময় প্রবাহ করছেন তিনি।
বিগত ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে কাঁধে ব্যাগ আর হাতে বাঁশি নিয়ে গ্রামগঞ্জের হাট-বাজারে তা বাজিয়ে ও বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন কৈলাটি গ্রামের বাসিন্দা আমির হোসেন। তার নিজ হাতে তৈরি বাঁশি ব্যাপক পরিচিত প্রত্যেক শিল্পী ও সঙ্গীত প্রেমী মানুষদের কাছে।
আমির হোসেন নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার আসমা ইউনিয়নের কৈলাটি গ্রামের বাসিন্দা। ছোটবেলায় শখের বশে হাতে নিয়েছিল বাঁশি, এখন তিনিই হয়ে উঠেছেন বাঁশি তৈরির অন্যতম কারিগর। এছাড়া এই বাঁশিই এখন তার সংসার পরিচালনার একমাত্র উৎস। বাঁশিই এখন তার বেঁচে থাকার অবলম্বন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে বাঁশিওয়ালা আমিরের সঙ্গে দেখা ও কথা হয় দৈনিক সংবাদের এ প্রতিবেদকের। একান্ত আলাপচারিতায় বাঁশি তৈরির কারিগর জানান, ছোটকাল থেকে বাঁশির প্রতি শখ ছিল তার। এরপর একই ইউনিয়নের ছয়গাঁও গ্রামের আবুল কাসেম নামের এক উস্তাদের কাছে বাঁশিতে সুর তোলা ও বাঁশি তৈরির কৌশল শেখা তিন। আস্তে আস্তে একসময়
নিজেই বাঁশি তৈরি করে তা বিক্রির কাজ শুরু করেন।
চোখে-মুখে দুশ্চিন্তার ভাঁজ নিয়ে বাঁশিওয়ালা আমির বলেন, বয়স বাড়ছে, দেহে রোগ বালাই আসছে, সংসারই চলে না, ওষুধ খাব কেমনে। বাঁশি বিক্রি করে যা পাই, তাই দিয়ে সংসার চালাই। এখন আর তেমন বিত্রি হয় না। তাই সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে।
বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খবিরুল আহসান বলেন, বাঁশি বাংলা সংস্কৃতির প্রাচীন একটি নিদর্শন। প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে আধুনিক সংগীতেও বাঁশির ব্যবহার রয়েছে। বাঁশি তৈরির কারিগর আমির হোসেনের খোঁজখবর আমরা নিবো, এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করবো।