মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) : কোয়াটারের পরিত্যক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন -সংবাদ
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর কোয়টার চত্বরে ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা কর্মচারীদের বসবাসকৃত কোয়াটার ভবন স্টোর রুমসহ ৬টি ভবন ঝুঁকির্পূণ অবস্থায় রয়েছে। যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কায়। বিগত ৩৪ বছরেও এ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা হয়নি।
সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিক বার লিখিত আবেদনে জানানো হলেও অদ্যবধি পর্যন্ত হয়নি কোনো ব্যবস্থা।
সরেজমিনে ও অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপকূলীয় বাগেরহাটে মোরেলগঞ্জ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নসহ ১টি পৌরসভার প্রায় ৪ লাখ মানুষের একমাত্র স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত এ হাসপাতালটি। ৮০ দশকে নির্মিত ৩৫ শয্যার হাসপাতাল পরবর্তীতে ৫০ শয্যায় রূপান্তরিত হলেও ডাক্তার, নার্সসহ বিভিন্ন শাখায় এদিকে যেমন রয়েছে জনবল সংকট, অন্যদিকে ৯০ দশকে নির্মিত স্টাফ কোয়াটারে থাকা ৬টি ভবন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পরে রয়েছে যুগের পর যুগ। যে কারণে ডাক্তার, নার্স ও স্টাফরা কোয়াটার ভবনে বসবাস করতে না পেরে দুরে কোথাও ভাড়ায় থেকে অফিস করতে প্রতিনিয়ত নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। অনেকেই আবার এ স্টেশনে থাকার আগ্রহ হারিয়ে তদবির করে অন্যত্র বদলি হয়ে চলে যাচ্ছেন।
এ কারণেই এর অনেকটা প্রভাব পরছে চিকিৎসা সেবায়। বর্তমানে এ কোয়াটার এরিয়ায় নার্স কোয়াটার ভবনটি ১০ বছর পূর্ব থেকেই সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত অবস্থায় থাকায় রাতের আধারে এ ভবনের দরজা, জানালা গ্রিল কয়েকবার চুরি হয়েছে। অনুরুপ ডক্টর কোয়াটার ভবন, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির ৪টি ভবনই জরাজীর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে পলেস্তরা খসে পরে ছাদ থেকে বেরিয়ে এসেছে রড। দীর্ঘ ৩৪ বছর ধরে এ ভবনগুলো আনুষ্ঠানিক পরিত্যক্ত ঘোষণা ছাড়াই পরে রয়েছে।
এছাড়াও হাসপাতালের অডিটরিয়াম ভবন ১৯৯৭ সালে নির্মিত হলেও এ ভবনটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। ভবনের দুটি রুমে ২ জন মেডিকেল অফিসার বসবাস করছেন। তার পাশেই ঝুঁকিপূর্ণ আরো একটি ভবনের নিচ তালায় ৩টি কক্ষে চলছে হাসপাতালের কার্যক্রম। ১টিতে পরিবার পরিকল্পনা এম সি এইচ ইউনিট কার্যক্রম, ২য় কক্ষে ব্রাকের জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি জিন এক্সপার্ট ল্যাবরেটরি।
এছাড়া অন্য একটি কক্ষে রয়েছে হাসপাতালের প্রধান অফিস সহকারী কাম হিসাব রক্ষকের দপ্তর।
এদিকে স্থানীয় সচেতনমহল ও হাসপাতালে কর্মরত একাধিক স্টাফরা বলেন, কোয়াটারের এ ভবনগুলো অচিরেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করে অপসারণ করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কায় পড়তে পারে। পাশাপাশি নতুন ভবন নির্মাণ করে ডাক্তার, নার্স স্টাফদের বসবাসের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করে তোলার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালের ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনগুলোর বিষয়ে ইতোপূর্বে জেলা সিভিল সার্জন এইচইডি দপ্তরে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে গত মাসে একটি টিম সরেজমিনে এসে দেখে গেছেন। ভবনগুলোর বৃদ্ধমান কাঠামো অক্ষত রেখে সংস্কার করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে এ কর্মকর্তা জানান
মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) : কোয়াটারের পরিত্যক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন -সংবাদ
সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর কোয়টার চত্বরে ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা কর্মচারীদের বসবাসকৃত কোয়াটার ভবন স্টোর রুমসহ ৬টি ভবন ঝুঁকির্পূণ অবস্থায় রয়েছে। যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কায়। বিগত ৩৪ বছরেও এ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা হয়নি।
সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিক বার লিখিত আবেদনে জানানো হলেও অদ্যবধি পর্যন্ত হয়নি কোনো ব্যবস্থা।
সরেজমিনে ও অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপকূলীয় বাগেরহাটে মোরেলগঞ্জ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নসহ ১টি পৌরসভার প্রায় ৪ লাখ মানুষের একমাত্র স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত এ হাসপাতালটি। ৮০ দশকে নির্মিত ৩৫ শয্যার হাসপাতাল পরবর্তীতে ৫০ শয্যায় রূপান্তরিত হলেও ডাক্তার, নার্সসহ বিভিন্ন শাখায় এদিকে যেমন রয়েছে জনবল সংকট, অন্যদিকে ৯০ দশকে নির্মিত স্টাফ কোয়াটারে থাকা ৬টি ভবন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পরে রয়েছে যুগের পর যুগ। যে কারণে ডাক্তার, নার্স ও স্টাফরা কোয়াটার ভবনে বসবাস করতে না পেরে দুরে কোথাও ভাড়ায় থেকে অফিস করতে প্রতিনিয়ত নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। অনেকেই আবার এ স্টেশনে থাকার আগ্রহ হারিয়ে তদবির করে অন্যত্র বদলি হয়ে চলে যাচ্ছেন।
এ কারণেই এর অনেকটা প্রভাব পরছে চিকিৎসা সেবায়। বর্তমানে এ কোয়াটার এরিয়ায় নার্স কোয়াটার ভবনটি ১০ বছর পূর্ব থেকেই সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত অবস্থায় থাকায় রাতের আধারে এ ভবনের দরজা, জানালা গ্রিল কয়েকবার চুরি হয়েছে। অনুরুপ ডক্টর কোয়াটার ভবন, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির ৪টি ভবনই জরাজীর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে পলেস্তরা খসে পরে ছাদ থেকে বেরিয়ে এসেছে রড। দীর্ঘ ৩৪ বছর ধরে এ ভবনগুলো আনুষ্ঠানিক পরিত্যক্ত ঘোষণা ছাড়াই পরে রয়েছে।
এছাড়াও হাসপাতালের অডিটরিয়াম ভবন ১৯৯৭ সালে নির্মিত হলেও এ ভবনটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। ভবনের দুটি রুমে ২ জন মেডিকেল অফিসার বসবাস করছেন। তার পাশেই ঝুঁকিপূর্ণ আরো একটি ভবনের নিচ তালায় ৩টি কক্ষে চলছে হাসপাতালের কার্যক্রম। ১টিতে পরিবার পরিকল্পনা এম সি এইচ ইউনিট কার্যক্রম, ২য় কক্ষে ব্রাকের জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি জিন এক্সপার্ট ল্যাবরেটরি।
এছাড়া অন্য একটি কক্ষে রয়েছে হাসপাতালের প্রধান অফিস সহকারী কাম হিসাব রক্ষকের দপ্তর।
এদিকে স্থানীয় সচেতনমহল ও হাসপাতালে কর্মরত একাধিক স্টাফরা বলেন, কোয়াটারের এ ভবনগুলো অচিরেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করে অপসারণ করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কায় পড়তে পারে। পাশাপাশি নতুন ভবন নির্মাণ করে ডাক্তার, নার্স স্টাফদের বসবাসের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করে তোলার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালের ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনগুলোর বিষয়ে ইতোপূর্বে জেলা সিভিল সার্জন এইচইডি দপ্তরে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে গত মাসে একটি টিম সরেজমিনে এসে দেখে গেছেন। ভবনগুলোর বৃদ্ধমান কাঠামো অক্ষত রেখে সংস্কার করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে এ কর্মকর্তা জানান