কুষ্টিয়ার খোকসায় মুক্তিযোদ্ধার ইজারাকৃত জমি মাটি ভরাট করে দখল নেয়ার চেষ্টাসহ ওই মুক্তিযোদ্ধার ঘর নির্মাণে বাধা দেয়া অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। তবে বিএনপির নেতার দাবি আলোচনা সাপেক্ষে এলাকারাসীর জন্য রাস্তা নির্মাণের প্রয়োজনে যা করার ,তাই করেছেন।
বীর মুত্তিযোদ্ধ মো. রফিকুল আলম তালম জানান, খোকসা রেল স্টেশনের পূর্ব ও উত্তরে প্রায় ১০০ ফুট লম্বা ব্যানিজিক ও প্রায় ১০০ ফুট লম্বা কৃষি জমি তার স্ত্রী আরিফা খাতুনের নামে ইজারা নিয়ে ভোগ দখল করে আসছিলেন। ৫ আগস্টের পর উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান কাজলের চোখ পরে তার জমির উপর। তিনি জমি দখলের পাঁয়তারা শুরু করেন। সম্প্রতি তিনি ব্যক্তি উদ্যোগে গ্রামবাসীর কথা বলে তার গোটা জমি দখলের চেষ্টা করছে। ইতেমধ্যে তারা প্রায় ১০০ ফুট লম্বা একটি জমিতে মাটি ফেলে দখল নিয়েছেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, তার স্ত্রীর নামে রেলওয়ে থেকে ইজারাকৃত অপর একটি জমিতে ঘর নির্মাণ কাজ করাচ্ছিলেন। গত দুই তিন দিন ধরে ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধের চেষ্টা কর ছিলেন ওই নেতা। তিনি নিজে লোক জন নিয়ে ঘর নির্মাণে বাধা দেন। সব চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে রবিবার সকালে পুলিশ পাঠিয়ে ঘরের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, পোড়াদাহ-রাজবাড়ী রেল রুটের খোকসা রেল স্টেশনের পেছনে দীর্ঘ একটি ডোবা। স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম সংলগ্ন কাচা দোকানগুলোর ডোবার উপর দিয়ে তৈরি। দোকান গুলোর পেছনের এই ডোবাটির একাংশ মাটি দিয়ে ভরাট কাজ করা হচ্ছে। একটু এগিয়ে গিয়েই স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম শেষ হতেই সবুজ টিনের তৈরি শত ফুট লম্বা একটি ঘর। নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম তালম রেলওয়ে থেকে ইজারা নিয়ে এই জমি ভোগদখল করছিলেন। এই জমির পেছনেও তারই জমি। কিন্তু হঠাৎ করে কেন যে রাস্তার প্রয়োজন পরল এ বিষয় তাদের বোধগম্য নয়।
ঘটনা স্থলেই কথা হয় উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ার মনিরুজ্জামান কজলের সাথে। তিনির দাবি করেন এলাবাসীর প্রয়োজনে রাস্তা করা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধার সাথে আলোচনা করেই মাটি ফেলা হয়েছে। তিনি স্পষ্টত জানিয়ে দেন কার ইজারা আছে তার ব্যাপার নয়। জনগনের অধিকার সবার আগে। রাস্তা জনগণের অধিকার।
ঘর নির্মাণে বাধার বিষয়ে তিনি একই কথা বলেন, জনগণের টাকায় রাস্তা করার হচ্ছে। জনগণ তাকে টাকা দিয়েছেন তাই রাস্তা হচ্ছে। এটা কোন সরকারি প্রকল্প নয় বলেও তিনি স্বীকার করেন।
রেলওয়ের খোকসার স্টেশন মাস্টারের সাথে কথা বলারে চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ডেপুটেশনে থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ নাইমুল ইসলাম বলেন, হাজার বছরেও রাস্তা করার প্রয়োজন হয়নি। পুকুরের মধ্যদিয়ে রাস্তা করা নিছক হিংসা। তবে দুই পক্ষকে একত্রে বসিয়ে সমাধান করা যায় কি না সে চেষ্টা করা হচ্ছে।
সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
কুষ্টিয়ার খোকসায় মুক্তিযোদ্ধার ইজারাকৃত জমি মাটি ভরাট করে দখল নেয়ার চেষ্টাসহ ওই মুক্তিযোদ্ধার ঘর নির্মাণে বাধা দেয়া অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। তবে বিএনপির নেতার দাবি আলোচনা সাপেক্ষে এলাকারাসীর জন্য রাস্তা নির্মাণের প্রয়োজনে যা করার ,তাই করেছেন।
বীর মুত্তিযোদ্ধ মো. রফিকুল আলম তালম জানান, খোকসা রেল স্টেশনের পূর্ব ও উত্তরে প্রায় ১০০ ফুট লম্বা ব্যানিজিক ও প্রায় ১০০ ফুট লম্বা কৃষি জমি তার স্ত্রী আরিফা খাতুনের নামে ইজারা নিয়ে ভোগ দখল করে আসছিলেন। ৫ আগস্টের পর উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান কাজলের চোখ পরে তার জমির উপর। তিনি জমি দখলের পাঁয়তারা শুরু করেন। সম্প্রতি তিনি ব্যক্তি উদ্যোগে গ্রামবাসীর কথা বলে তার গোটা জমি দখলের চেষ্টা করছে। ইতেমধ্যে তারা প্রায় ১০০ ফুট লম্বা একটি জমিতে মাটি ফেলে দখল নিয়েছেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, তার স্ত্রীর নামে রেলওয়ে থেকে ইজারাকৃত অপর একটি জমিতে ঘর নির্মাণ কাজ করাচ্ছিলেন। গত দুই তিন দিন ধরে ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধের চেষ্টা কর ছিলেন ওই নেতা। তিনি নিজে লোক জন নিয়ে ঘর নির্মাণে বাধা দেন। সব চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে রবিবার সকালে পুলিশ পাঠিয়ে ঘরের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, পোড়াদাহ-রাজবাড়ী রেল রুটের খোকসা রেল স্টেশনের পেছনে দীর্ঘ একটি ডোবা। স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম সংলগ্ন কাচা দোকানগুলোর ডোবার উপর দিয়ে তৈরি। দোকান গুলোর পেছনের এই ডোবাটির একাংশ মাটি দিয়ে ভরাট কাজ করা হচ্ছে। একটু এগিয়ে গিয়েই স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম শেষ হতেই সবুজ টিনের তৈরি শত ফুট লম্বা একটি ঘর। নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম তালম রেলওয়ে থেকে ইজারা নিয়ে এই জমি ভোগদখল করছিলেন। এই জমির পেছনেও তারই জমি। কিন্তু হঠাৎ করে কেন যে রাস্তার প্রয়োজন পরল এ বিষয় তাদের বোধগম্য নয়।
ঘটনা স্থলেই কথা হয় উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ার মনিরুজ্জামান কজলের সাথে। তিনির দাবি করেন এলাবাসীর প্রয়োজনে রাস্তা করা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধার সাথে আলোচনা করেই মাটি ফেলা হয়েছে। তিনি স্পষ্টত জানিয়ে দেন কার ইজারা আছে তার ব্যাপার নয়। জনগনের অধিকার সবার আগে। রাস্তা জনগণের অধিকার।
ঘর নির্মাণে বাধার বিষয়ে তিনি একই কথা বলেন, জনগণের টাকায় রাস্তা করার হচ্ছে। জনগণ তাকে টাকা দিয়েছেন তাই রাস্তা হচ্ছে। এটা কোন সরকারি প্রকল্প নয় বলেও তিনি স্বীকার করেন।
রেলওয়ের খোকসার স্টেশন মাস্টারের সাথে কথা বলারে চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ডেপুটেশনে থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ নাইমুল ইসলাম বলেন, হাজার বছরেও রাস্তা করার প্রয়োজন হয়নি। পুকুরের মধ্যদিয়ে রাস্তা করা নিছক হিংসা। তবে দুই পক্ষকে একত্রে বসিয়ে সমাধান করা যায় কি না সে চেষ্টা করা হচ্ছে।