alt

সারাদেশ

দশমিনায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ৩ শতাধিক পান চাষী স্বাবলম্বী

প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী) : সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দশমিনা (পটুয়াখালী) : পানক্ষেত পরির্যায়ে সময় পার করছেন চাষী -সংবাদ

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এখন বাণিজ্যিকভাবে পানের চাষাবাদ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন প্রায় তিন শতাধিক পান চাষী। একটি পানের বরজ থাকলেই সারা বছরের বাজার খরচ নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। উৎপাদন খরচ কম এবং লাভও বেশি। তাই বছরের পর বছর বংশ পরস্পরায় পান চাষ করেন তারা। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আবাদি অনাবাদি ও পতিত জমিতে পান চাষে কৃষক-কৃষানিদের আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলছে। একদিকে যেমন চাঙ্গা হচ্ছে গ্রামীন অর্থনীতি, অন্যদিকে স্বাবলম্বী হচ্ছেন এলাকার প্রান্তিক কৃষক পরিবার। বর্তমানে হাট-বাজারে পানের দাম ও চাহিদা খুব বেশি। তাই অন্য ফসলের তুলনায় পান চাষ অধিক লাভজনক হওয়ায় অনেকেই পান চাষে ঝুঁকে পড়ছে।

জানা যায়, দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ছোট-বড় প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক পানের বরজ রয়েছে। এই সব এলাকার উৎপাদিত পান দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। উপজেলার প্রায় পাঁচ শতাধিক কৃষক পরিবার শুধুমাত্র পান চাষ করে স্বালম্বী হয়ে উঠছেন। তাদের অনেকেই শ্রম ও অধ্যবসায়কে কাজে লাগিয়ে পান চাষ করে বদলে দিচ্ছেন নিজেদের ভাগ্য। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলায় প্রায় ২ একর জমিতে ছোট-বড় প্রায় সাড়ে ৩ শতাধিক পানের বরজ রয়েছে। প্রতি একর জমিতে পানের উৎপাদন ব্যয় হয় গড়ে প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা। আর পান বিক্রি করে আয় হয় ৭-৮লাখ টাকা।

উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের পান চাষি সমির বাড়ৈই বলেন, দীর্ঘ ১৭-১৮ বছর যাবৎ আমি পানের বরজের ব্যবসা করে আসছি। এই বছরও প্রায় ৪ লাখ টাকা খরচ করে নতুন আরেকটি পানের বরজ করেছি। বরজ করতে খরচ কম আর লাভ বেশি। আমাদের এলাকায় প্রায় মানুষ পানের বরজ করে আসছে। একই এলাকার অন্য পান চাষি সুখরঞ্জন মিত্র বলেন, ছোটবেলা থেকেই পান চাষের সাথে জড়িত। পান চাষ তুলনামূলক লাভের দিকটাই বেশি। কেননা পান চাষের এক মাস থেকে দেড় মাসের মধ্যে বরজের পান বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠে। বর্ষার মৌসুমে পানের উৎপাদন একটু বেশি হয়। এই জন্য খুব একটা কাজের লোক রাখতে হয় না। শুধুমাত্র নিজেরাই নিজেদের কাজ করতে পানের বরজে। প্রতিমাসে ২০-২৫ হাজার টাকা আয় হয়।

এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ বলেন, কৃষকরা পান চাষে দিন দিন আগ্রহ দেখাচ্ছে। বাজারে বর্তমানে দামও ভালো পাচ্ছেন। কৃষকদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তবে সরকারিভাবে কোনো সাহায্য সহযোগিতা নেই। তবুও তাদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

ছবি

সাজেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ে ছাই ৯৪ রিসোর্ট-কটেজ

ছবি

শরণখোলায় মাছের ঘের থেকে ৮ ফুট লম্বা অজগর সাপ উদ্ধার

ছবি

সুবিধা বঞ্চিত মায়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার মাধ্যমে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব

পিতাকে খুন করায় ছেলে গ্রেপ্তার

প্রথমবার মা-বাবা হওয়া দম্পতিদের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা জরুরি

ছবি

ধর্মপাশায় মাজারে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

গাজীপুরে বারি পেঁয়াজ-৪ এর প্রজনন বীজ উৎপাদন

ছবি

হিজবুত তাওহীদ কর্মীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ, আহত ২০

বগুড়ায় করতোয়া নদী রক্ষা সম্মেলন অনুষ্ঠিত

খামারিকে আটকে গোয়াল ঘরে আগুন

খোকসায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

ছবি

কালের আবর্তে হারিয়ে যাচ্ছে মৃৎশিল্পের নান্দনিক তৈজসপত্র

ছবি

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি শ্রীমঙ্গলের লাল টিলা

লোগো ও লাইন পদ্ধতিতে ধান চাষের আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

কয়েলের আগুনে পুড়ে মরলো ৩টি গরু, বাঁচাতে গিয়ে ঝলসে গেল মালিক

নারী-শিশুসহ সবার নিরাপত্তার দাবিতে মানববন্ধন

ভৈরবে বসত ঘরে কবর তৈরি করে রেখেছেন সুফী সাধক সিদ্দিক শাহ সরেশ্বরী

পানির অভাবে জীবন-জীবিকার ঝুঁকিতে তিস্তাপাড়ের ২০ লাখ মানুষ

মুন্সীগঞ্জে কুকুরের কামড়ে আহত ৪০

লিবিয়ায় মাফিয়াদের দেয়া ইঞ্জেকশনে নাসিরনগরের যুবকের মৃত্যু

দুই জেলায় ২ মরদেহ উদ্ধার

বিয়ে বাড়িতে উচ্চশব্দে গান, প্রতিবেশীদের হামলায় নিহত ১

দুই জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধা ও স্কুলছাত্রের মৃত্যু

যৌতুক না দেয়ায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা

পঞ্চম বিয়ে করায় স্বামী কুপিয়ে খুন, স্ত্রী গ্রেপ্তার

বজ্রপাতে কৃষি শ্রমিকের মৃত্যু

বোয়ালখালীতে পোশাক কারখানায় আগুন

মেরামতের সময় এসি বিস্ফোরণ, ২ মিস্ত্রি নিহত

গরুর মাংস ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রশাসনের কড়া নির্দেশনা

ছবি

কালের আবর্তনে এখন বিলুপ্তির পথে হারিকেন

৩ পরিবারের ৪ গরু চুরি

প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি বিএনপি নেতাসহ ৩ ডাকাত গ্রেপ্তার

ছবি

চট্টগ্রাম মহানগরে বছরে বর্জ্য উৎপাদন হয় ১৯ লাখ টন

খোকসায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

৪ জেলার লক্ষাধিক কৃষক মহাসংকটে বোরো মৌসুমে পানি সরবরাহ নেই সেচ প্রকল্পে

ছবি

ভৈরবে ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনভ্রমণ করছেন যাত্রীরা, মানছেন না আইন-কানুন

tab

সারাদেশ

দশমিনায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ৩ শতাধিক পান চাষী স্বাবলম্বী

প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী)

দশমিনা (পটুয়াখালী) : পানক্ষেত পরির্যায়ে সময় পার করছেন চাষী -সংবাদ

সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এখন বাণিজ্যিকভাবে পানের চাষাবাদ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন প্রায় তিন শতাধিক পান চাষী। একটি পানের বরজ থাকলেই সারা বছরের বাজার খরচ নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। উৎপাদন খরচ কম এবং লাভও বেশি। তাই বছরের পর বছর বংশ পরস্পরায় পান চাষ করেন তারা। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আবাদি অনাবাদি ও পতিত জমিতে পান চাষে কৃষক-কৃষানিদের আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলছে। একদিকে যেমন চাঙ্গা হচ্ছে গ্রামীন অর্থনীতি, অন্যদিকে স্বাবলম্বী হচ্ছেন এলাকার প্রান্তিক কৃষক পরিবার। বর্তমানে হাট-বাজারে পানের দাম ও চাহিদা খুব বেশি। তাই অন্য ফসলের তুলনায় পান চাষ অধিক লাভজনক হওয়ায় অনেকেই পান চাষে ঝুঁকে পড়ছে।

জানা যায়, দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ছোট-বড় প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক পানের বরজ রয়েছে। এই সব এলাকার উৎপাদিত পান দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। উপজেলার প্রায় পাঁচ শতাধিক কৃষক পরিবার শুধুমাত্র পান চাষ করে স্বালম্বী হয়ে উঠছেন। তাদের অনেকেই শ্রম ও অধ্যবসায়কে কাজে লাগিয়ে পান চাষ করে বদলে দিচ্ছেন নিজেদের ভাগ্য। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলায় প্রায় ২ একর জমিতে ছোট-বড় প্রায় সাড়ে ৩ শতাধিক পানের বরজ রয়েছে। প্রতি একর জমিতে পানের উৎপাদন ব্যয় হয় গড়ে প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা। আর পান বিক্রি করে আয় হয় ৭-৮লাখ টাকা।

উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের পান চাষি সমির বাড়ৈই বলেন, দীর্ঘ ১৭-১৮ বছর যাবৎ আমি পানের বরজের ব্যবসা করে আসছি। এই বছরও প্রায় ৪ লাখ টাকা খরচ করে নতুন আরেকটি পানের বরজ করেছি। বরজ করতে খরচ কম আর লাভ বেশি। আমাদের এলাকায় প্রায় মানুষ পানের বরজ করে আসছে। একই এলাকার অন্য পান চাষি সুখরঞ্জন মিত্র বলেন, ছোটবেলা থেকেই পান চাষের সাথে জড়িত। পান চাষ তুলনামূলক লাভের দিকটাই বেশি। কেননা পান চাষের এক মাস থেকে দেড় মাসের মধ্যে বরজের পান বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠে। বর্ষার মৌসুমে পানের উৎপাদন একটু বেশি হয়। এই জন্য খুব একটা কাজের লোক রাখতে হয় না। শুধুমাত্র নিজেরাই নিজেদের কাজ করতে পানের বরজে। প্রতিমাসে ২০-২৫ হাজার টাকা আয় হয়।

এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ বলেন, কৃষকরা পান চাষে দিন দিন আগ্রহ দেখাচ্ছে। বাজারে বর্তমানে দামও ভালো পাচ্ছেন। কৃষকদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তবে সরকারিভাবে কোনো সাহায্য সহযোগিতা নেই। তবুও তাদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

back to top