নওগাঁ জেলার বদলগাছীতে উপজেলা কৃষি অফিসার সাবাব ফারহানের দিকনির্দেশনা ও পরামর্শে দিনদিন লাইন, লোগো ও পার্চিং পদ্ধতিতে ধান চাষে চারা রোপনে কৃষকদের। মাঝে লাইন, লোগো পদ্ধতিতে ধান চাষ করলে ধানের ফলন বেশি হয়। তাছাড়া ফসলে পোকামাকড় কম হওয়ায় জমিতে কীটনাশক ব্যবহার কম করতে হয়। এতে লাভবান হওয়া যায়। লাগসই কৃষির আধুনিক এই পদ্ধতিতে ধান চাষে রোগবালাই কম হওয়ায় ও অধিক ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা থাকায়, কম খরচে বাড়তি উৎপাদনের জন্য সহজেই এ পদ্ধতি গ্রহণ করছে কৃষকরা।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, লোগো পদ্ধতি ধান চাষের এটি একটি আধুনিক প্রযুক্তি। লাইন,লোগো ও পার্চিং পদ্ধতিতে ধান চাষ পরিবেশবান্ধব। এবং ধানের ভালো ফলন পাওয়া যায়। ফলন বাড়ানো এবং ধান চাষের খরচ কমানোর জন্য লাগসই আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই। তাই উপজেলা কৃষি অফিস সব কৃষকদের ধান চাষের জন্য আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও লোগো পদ্ধতি ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ১১ হাজার ৬৫৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। লাইন ও লোগো পদ্ধতিতে ধান চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়াতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিভিন্ন জাতের ধানের এই পর্যন্ত ৬৯ টি প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে এবং উপজেলায় আনুঃ ২৫০হেক্টর জমিতে লাইন, লগো ও পার্চিং পদ্ধতিতে ধানচাষ করা হচ্ছে। এবার উপজেলায় রোপন হচ্ছে উন্নত ফলনশীল জাতের ব্রিধান-৮৯,৯২,১০২,১০৪, ১০৫, ৫৮,৬৩,৮১,৮৪, ২৮,২৯,ও জিরাশাইল, গোল্ডেন আতপ, কাঠারি জাতের ধান। বদলগাছী সদর ইউনিয়নের কৃষক আয়নাল বলেন,লাইন পদ্ধতিতে ধান চাষ করলে ধানের ফলন বাড়ে। সঠিকভাবে চাষ করলে ধানের পরিচর্যা ও সার প্রয়োগ করা সহজ হয়। যার কারণে ধানের ফলন বিঘা প্রতি ৫/৭ মণ বাড়তে পারে। তাছাড়া পোকামাকড় কম হওয়ায় কীটনাশক ব্যবহার কম করতে হয়। এতে লাভবান হওয়া যায়। আর আমি কৃষি অফিসারের পরামর্শে দুই বছর আগে থেকে এই প্রদ্ধতিতে ধান চাষ করে আসছি।
বিলাসবাড়ী ইউনিয়নের কৃষক তালেব বলেন, লোগো পদ্ধতি ধান চাষ নতুন একটি প্রযুক্তি। এ পদ্ধতিতে ধান চাষ করলে পোকামাকড়ের আক্রমণ কমে যায়। আগাছা দমন হয় ও জমিতে সঠিকভাবে সার প্রয়োগ করতে সহজ হয়। পাশাপাশি ধানের ফলনও অনেক বাড়ে বলে পরামর্শ দিয়েছেন আমাদের এলাকার কৃষকদের উপজেলা কৃষি অফিসার ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। তাই আমি সহ এলাকার অনেক কৃষক এবার এই প্রদ্ধতিতে ধান চাষ করছি। মিঠাপুর ইউনিয়নের হারুন বলেন, তার সেচ পাম্পের আওতায় প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এখানে ৭/৮ জন কৃষক লাইন ও লোগো পদ্ধতিতে ধানের চারা রোপন করেছে।তারা লোগো পদ্ধতিতে রোপণ করার কারনে জমিগুলোকে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। এই পদ্ধতিতে ধান রোপনে খরচ অনেক কম হয়েছে। তার আশা করছে ফলোনও নাকি ভালো হবে। আমিও আগামী থেকে এই প্রদ্ধতিতে ধান চাষ করবো।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার সাবাব ফারহান বলেন, লাইন,লোগো ও পার্চিং পদ্ধতি হলো আধুনিক কৃষি পদ্ধতি। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে উপজেলার কৃষকদের এভাবে ধান চাষের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ,উঠান বৈঠক এবং মাঠ পর্যায়ে এ ব্যাপক ভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
যেমন চারা বয়স ৩৫ থেকে ৪০ দিন হওয়ার সাথে সাথে জমিতে চারা রোপন করা, জমিতে প্রচুরপরিমানে জৈব সার ব্যবহার করা,ধান লাইন (১৫-২০সেমি:দুরত্বে) রোপন করা, প্রতি বিঘা জমিতে ৫টি করে খুটি পুতিয়ে পাখি বসানোর ব্যবস্থা করা (পার্চিং পদ্ধতিতে) একটি লাইনের পরপর আর একটি লাইন গ্যাপ দিয়ে চারা রোপণ করা।সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ করার জন্যা।
তিনি আরও বলেন, লাইন-লোগো পদ্ধতিতে ধান রোপণ করলে চারার প্রতিটি গোছায় অধিক কুশি ছড়ায়। ফসলের জমিতে প্রয়োজনীয় আলো-বাতাস চলাচল করতে পারে। পোকা-মাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য সহজে পরিমিত মাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগ ও সারের ব্যবহার করা যায় এবং আন্তঃপরিচর্যা করতে সুবিধা হয়। ফলে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
নওগাঁ জেলার বদলগাছীতে উপজেলা কৃষি অফিসার সাবাব ফারহানের দিকনির্দেশনা ও পরামর্শে দিনদিন লাইন, লোগো ও পার্চিং পদ্ধতিতে ধান চাষে চারা রোপনে কৃষকদের। মাঝে লাইন, লোগো পদ্ধতিতে ধান চাষ করলে ধানের ফলন বেশি হয়। তাছাড়া ফসলে পোকামাকড় কম হওয়ায় জমিতে কীটনাশক ব্যবহার কম করতে হয়। এতে লাভবান হওয়া যায়। লাগসই কৃষির আধুনিক এই পদ্ধতিতে ধান চাষে রোগবালাই কম হওয়ায় ও অধিক ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা থাকায়, কম খরচে বাড়তি উৎপাদনের জন্য সহজেই এ পদ্ধতি গ্রহণ করছে কৃষকরা।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, লোগো পদ্ধতি ধান চাষের এটি একটি আধুনিক প্রযুক্তি। লাইন,লোগো ও পার্চিং পদ্ধতিতে ধান চাষ পরিবেশবান্ধব। এবং ধানের ভালো ফলন পাওয়া যায়। ফলন বাড়ানো এবং ধান চাষের খরচ কমানোর জন্য লাগসই আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই। তাই উপজেলা কৃষি অফিস সব কৃষকদের ধান চাষের জন্য আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও লোগো পদ্ধতি ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ১১ হাজার ৬৫৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। লাইন ও লোগো পদ্ধতিতে ধান চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়াতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিভিন্ন জাতের ধানের এই পর্যন্ত ৬৯ টি প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে এবং উপজেলায় আনুঃ ২৫০হেক্টর জমিতে লাইন, লগো ও পার্চিং পদ্ধতিতে ধানচাষ করা হচ্ছে। এবার উপজেলায় রোপন হচ্ছে উন্নত ফলনশীল জাতের ব্রিধান-৮৯,৯২,১০২,১০৪, ১০৫, ৫৮,৬৩,৮১,৮৪, ২৮,২৯,ও জিরাশাইল, গোল্ডেন আতপ, কাঠারি জাতের ধান। বদলগাছী সদর ইউনিয়নের কৃষক আয়নাল বলেন,লাইন পদ্ধতিতে ধান চাষ করলে ধানের ফলন বাড়ে। সঠিকভাবে চাষ করলে ধানের পরিচর্যা ও সার প্রয়োগ করা সহজ হয়। যার কারণে ধানের ফলন বিঘা প্রতি ৫/৭ মণ বাড়তে পারে। তাছাড়া পোকামাকড় কম হওয়ায় কীটনাশক ব্যবহার কম করতে হয়। এতে লাভবান হওয়া যায়। আর আমি কৃষি অফিসারের পরামর্শে দুই বছর আগে থেকে এই প্রদ্ধতিতে ধান চাষ করে আসছি।
বিলাসবাড়ী ইউনিয়নের কৃষক তালেব বলেন, লোগো পদ্ধতি ধান চাষ নতুন একটি প্রযুক্তি। এ পদ্ধতিতে ধান চাষ করলে পোকামাকড়ের আক্রমণ কমে যায়। আগাছা দমন হয় ও জমিতে সঠিকভাবে সার প্রয়োগ করতে সহজ হয়। পাশাপাশি ধানের ফলনও অনেক বাড়ে বলে পরামর্শ দিয়েছেন আমাদের এলাকার কৃষকদের উপজেলা কৃষি অফিসার ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। তাই আমি সহ এলাকার অনেক কৃষক এবার এই প্রদ্ধতিতে ধান চাষ করছি। মিঠাপুর ইউনিয়নের হারুন বলেন, তার সেচ পাম্পের আওতায় প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এখানে ৭/৮ জন কৃষক লাইন ও লোগো পদ্ধতিতে ধানের চারা রোপন করেছে।তারা লোগো পদ্ধতিতে রোপণ করার কারনে জমিগুলোকে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। এই পদ্ধতিতে ধান রোপনে খরচ অনেক কম হয়েছে। তার আশা করছে ফলোনও নাকি ভালো হবে। আমিও আগামী থেকে এই প্রদ্ধতিতে ধান চাষ করবো।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার সাবাব ফারহান বলেন, লাইন,লোগো ও পার্চিং পদ্ধতি হলো আধুনিক কৃষি পদ্ধতি। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে উপজেলার কৃষকদের এভাবে ধান চাষের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ,উঠান বৈঠক এবং মাঠ পর্যায়ে এ ব্যাপক ভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
যেমন চারা বয়স ৩৫ থেকে ৪০ দিন হওয়ার সাথে সাথে জমিতে চারা রোপন করা, জমিতে প্রচুরপরিমানে জৈব সার ব্যবহার করা,ধান লাইন (১৫-২০সেমি:দুরত্বে) রোপন করা, প্রতি বিঘা জমিতে ৫টি করে খুটি পুতিয়ে পাখি বসানোর ব্যবস্থা করা (পার্চিং পদ্ধতিতে) একটি লাইনের পরপর আর একটি লাইন গ্যাপ দিয়ে চারা রোপণ করা।সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ করার জন্যা।
তিনি আরও বলেন, লাইন-লোগো পদ্ধতিতে ধান রোপণ করলে চারার প্রতিটি গোছায় অধিক কুশি ছড়ায়। ফসলের জমিতে প্রয়োজনীয় আলো-বাতাস চলাচল করতে পারে। পোকা-মাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য সহজে পরিমিত মাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগ ও সারের ব্যবহার করা যায় এবং আন্তঃপরিচর্যা করতে সুবিধা হয়। ফলে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।