নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় লঞ্চ ঘাটের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় উপজেলার তমরুদ্দি লঞ্চঘাটে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে লায়লা বেগম, কামরুল ইসলাম, আকলিমা বেগম ও নাফিসা বেগমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে লায়লা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তমরুদ্দি লঞ্চঘাটের আগের ইজারাদার ছিলেন আওয়ামী লীগের গোলাম মাওলা কাজল। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীরের নেতৃত্বে ঘাটের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিল। পরবর্তীতে গোলাম মাওলা কাজল ও আলমগীর সমঝোতায় পৌঁছান, যার ফলে আলমগীর ঘাটটি এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করছিলেন।
তবে তমরুদ্দি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তানভীর হায়দার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঘাটটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকালে তানভীরের অনুসারীরা দলবল নিয়ে ঘাট দখলে নিতে গেলে আলমগীরের পক্ষের লোকজন তাদের বাধা দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে শ্রমিকদের পরিবারের নারীরাও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষ চলাকালে বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর বলেন, "প্রতিদিন ঘাট থেকে আয়ের ৪০ শতাংশ টাকা ইজারাদার গোলাম মাওলা কাজল নিয়ে যান। আমি শুধু শ্রমিকদের দেখভাল করি।"
তমরুদ্দি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তানভীর হায়দার অভিযোগ করে বলেন, "আলমগীরকে নানা অপকর্মের জন্য বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে সমঝোতা করে ঘাট দখল করে রেখেছে।"
হাতিয়া থানা পরিদর্শক (তদন্ত) খোরশেদ আলম জানান, "তমরুদ্দি ঘাট নিয়ে বিএনপির তানভীর ও আলমগীরের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।"
বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় লঞ্চ ঘাটের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় উপজেলার তমরুদ্দি লঞ্চঘাটে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে লায়লা বেগম, কামরুল ইসলাম, আকলিমা বেগম ও নাফিসা বেগমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে লায়লা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তমরুদ্দি লঞ্চঘাটের আগের ইজারাদার ছিলেন আওয়ামী লীগের গোলাম মাওলা কাজল। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীরের নেতৃত্বে ঘাটের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিল। পরবর্তীতে গোলাম মাওলা কাজল ও আলমগীর সমঝোতায় পৌঁছান, যার ফলে আলমগীর ঘাটটি এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করছিলেন।
তবে তমরুদ্দি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তানভীর হায়দার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঘাটটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকালে তানভীরের অনুসারীরা দলবল নিয়ে ঘাট দখলে নিতে গেলে আলমগীরের পক্ষের লোকজন তাদের বাধা দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে শ্রমিকদের পরিবারের নারীরাও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষ চলাকালে বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর বলেন, "প্রতিদিন ঘাট থেকে আয়ের ৪০ শতাংশ টাকা ইজারাদার গোলাম মাওলা কাজল নিয়ে যান। আমি শুধু শ্রমিকদের দেখভাল করি।"
তমরুদ্দি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তানভীর হায়দার অভিযোগ করে বলেন, "আলমগীরকে নানা অপকর্মের জন্য বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে সমঝোতা করে ঘাট দখল করে রেখেছে।"
হাতিয়া থানা পরিদর্শক (তদন্ত) খোরশেদ আলম জানান, "তমরুদ্দি ঘাট নিয়ে বিএনপির তানভীর ও আলমগীরের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।"
বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানা গেছে।