সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে
দুনীতির প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি-রেজিস্ট্রার
রাজধানীর শাহবাগ বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীনে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বুধবার ভার্সিটির সিন্ডিকেট মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ভাসিটির রেজিস্ট্রার ডা. নজরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার রাতে সংবাদকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শুধু তাই না নিয়োগ পরীক্ষার নানা অনিয়ম ও তথ্য প্রমাণ ভার্সিটি কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে পেয়েছেন। এরভিত্তিতে সিন্ডিকেট মিটিংয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করেছেন।
ডা. নজর জানান, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের নিয়োগ পরীক্ষার অনিয়ম নিয়ে মন্ত্রণালয় ও ভার্সিটির পৃথক ৩টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৩টি কমিটির সদস্যরা দীর্ঘ তদন্ত করে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছেন।
তা নিয়ে বৃহস্পতিবার সিন্ডিকেট মিটিংয়ে আলোচনা হয়। এরপর সিন্ডিকেট সদস্যদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুপার স্পেশালাইজ হাসপাতালের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে। এখন নতুন করে যোগ্যতা মেধারভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে তিনি আশাবাদী। টার্গেট সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালকে আধুনিকরণ ও রোগীদের উন্নত সেবা দেয়া।
জানা গেছে, আওয়ামীলীগ আমলে সাবেক ভিসি শারফুদ্দিন আহমেদের সময় ভার্সিটির সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ওই সময় মেডিকেল অফিসার থেকে শুরু করে বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তখন নানা অনিয়মের আশ্রয় নেয়া হয়। এতে ভার্সিটি যে হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে বিশ্বমানের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল করার টার্গেট ছিল তা ভেস্তে গেছে। ওই সময় এ নিয়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনা হয়েছে। হয়েছে তদন্ত কমিটি।
পরবর্তীতে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন করে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেন। তারা তদন্ত করে নানা অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে। সবমিলিয়ে অবশেষে বৃহস্পতিবার সিন্ডিকেটে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, প্রতিটি পদে নিয়োগের জন্য আগে টাকা নেয়া হয়েছে। তা নিয়ে এখন ভার্সিটিতে আলোচনা চলছে। আর বিশেষ করে গোপালগঞ্জসহ অন্যান্য এলাকার রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আনেকেই আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে। অনেকেই নিয়োগ বাণিজ্য করে ফ্ল্যাট কিনেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, সাবেক ভিসি শারফুদ্দিনের সময় তাকে ভার্সিটির গেটে রিসিভ করার জন্য অনেকেই সারিবদ্ধ ভাবে লম্বা লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতেন। সালাম দিতেন। তাকে চেয়ারা একজন দেখালে মিলতো সুবিধা ও পাওয়া যেতো লোভনীয় পদ। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর তারা এখন নব্য বিএনপি সেজে আবার পায়দা লুটার চেষ্টা করছেন।
সাবেক ভিসি প্রাণ গোপালের আমলে দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সেখানে মেধাবীদের স্থান ছিল না। প্রাণ গোপালের আমলে কুমিল্লার অনেকেই তার মিছিল মিটিংয়ে গেছেন। আবার প্রমোশন নিয়েছেন। ভোট ডাকাতি করেছেন। তদন্ত করলে প্রমাণ পাওয়া যাবে। এখন অন্য দলের হয়ে আবার তৎপরতা চালাচ্ছেন।
কয়েকজন অরাজনৈতিক কর্মকর্তা বলেন, সাবেক ভিসি ডা. হাদীর আমলে যারা নিয়োগ পেয়েছেন। আওয়ামী লীগ আমলে তাদেরকে বিএনপি জামায়াত বলা হতো। তারা রাজনীতি করে না। তারপরও কিছু কিছু অতি উৎসাহী কর্মকর্তা তাদেরকে ফ্যাসিস্ট বলে বাজে আচরণ করছেন। যার কারণে ভার্সিটিতে কাজে অস্থিরতা বিরাজ করছে।
ভার্সিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি জানলেও নব্য দলবাজদের কারণে তারাও এখন চুপ।
শিক্ষক ও ডাক্তারদের মধ্যে এই প্রক্রিয়া না থাকলেও কর্মকর্তা ও স্টাফদের মধ্যে কয়েকজন লাভবান হতে এই তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে
দুনীতির প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি-রেজিস্ট্রার
বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
রাজধানীর শাহবাগ বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীনে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বুধবার ভার্সিটির সিন্ডিকেট মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ভাসিটির রেজিস্ট্রার ডা. নজরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার রাতে সংবাদকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শুধু তাই না নিয়োগ পরীক্ষার নানা অনিয়ম ও তথ্য প্রমাণ ভার্সিটি কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে পেয়েছেন। এরভিত্তিতে সিন্ডিকেট মিটিংয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করেছেন।
ডা. নজর জানান, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের নিয়োগ পরীক্ষার অনিয়ম নিয়ে মন্ত্রণালয় ও ভার্সিটির পৃথক ৩টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৩টি কমিটির সদস্যরা দীর্ঘ তদন্ত করে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছেন।
তা নিয়ে বৃহস্পতিবার সিন্ডিকেট মিটিংয়ে আলোচনা হয়। এরপর সিন্ডিকেট সদস্যদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুপার স্পেশালাইজ হাসপাতালের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে। এখন নতুন করে যোগ্যতা মেধারভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে তিনি আশাবাদী। টার্গেট সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালকে আধুনিকরণ ও রোগীদের উন্নত সেবা দেয়া।
জানা গেছে, আওয়ামীলীগ আমলে সাবেক ভিসি শারফুদ্দিন আহমেদের সময় ভার্সিটির সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ওই সময় মেডিকেল অফিসার থেকে শুরু করে বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তখন নানা অনিয়মের আশ্রয় নেয়া হয়। এতে ভার্সিটি যে হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে বিশ্বমানের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল করার টার্গেট ছিল তা ভেস্তে গেছে। ওই সময় এ নিয়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনা হয়েছে। হয়েছে তদন্ত কমিটি।
পরবর্তীতে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন করে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেন। তারা তদন্ত করে নানা অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে। সবমিলিয়ে অবশেষে বৃহস্পতিবার সিন্ডিকেটে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, প্রতিটি পদে নিয়োগের জন্য আগে টাকা নেয়া হয়েছে। তা নিয়ে এখন ভার্সিটিতে আলোচনা চলছে। আর বিশেষ করে গোপালগঞ্জসহ অন্যান্য এলাকার রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আনেকেই আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে। অনেকেই নিয়োগ বাণিজ্য করে ফ্ল্যাট কিনেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, সাবেক ভিসি শারফুদ্দিনের সময় তাকে ভার্সিটির গেটে রিসিভ করার জন্য অনেকেই সারিবদ্ধ ভাবে লম্বা লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতেন। সালাম দিতেন। তাকে চেয়ারা একজন দেখালে মিলতো সুবিধা ও পাওয়া যেতো লোভনীয় পদ। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর তারা এখন নব্য বিএনপি সেজে আবার পায়দা লুটার চেষ্টা করছেন।
সাবেক ভিসি প্রাণ গোপালের আমলে দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সেখানে মেধাবীদের স্থান ছিল না। প্রাণ গোপালের আমলে কুমিল্লার অনেকেই তার মিছিল মিটিংয়ে গেছেন। আবার প্রমোশন নিয়েছেন। ভোট ডাকাতি করেছেন। তদন্ত করলে প্রমাণ পাওয়া যাবে। এখন অন্য দলের হয়ে আবার তৎপরতা চালাচ্ছেন।
কয়েকজন অরাজনৈতিক কর্মকর্তা বলেন, সাবেক ভিসি ডা. হাদীর আমলে যারা নিয়োগ পেয়েছেন। আওয়ামী লীগ আমলে তাদেরকে বিএনপি জামায়াত বলা হতো। তারা রাজনীতি করে না। তারপরও কিছু কিছু অতি উৎসাহী কর্মকর্তা তাদেরকে ফ্যাসিস্ট বলে বাজে আচরণ করছেন। যার কারণে ভার্সিটিতে কাজে অস্থিরতা বিরাজ করছে।
ভার্সিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি জানলেও নব্য দলবাজদের কারণে তারাও এখন চুপ।
শিক্ষক ও ডাক্তারদের মধ্যে এই প্রক্রিয়া না থাকলেও কর্মকর্তা ও স্টাফদের মধ্যে কয়েকজন লাভবান হতে এই তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।