ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দাবি আদায়ের জন্য রেলপথ অবরোধ করেছেন জেলার বিক্ষুব্ধ জনতা।
ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলপথে বিশেষ ট্রেন চালু, আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি, আসন সংখ্যা বৃদ্ধি ও টিকিট কালোবাজারি বন্ধসহ একাধিক দাবিতে রেলপথ অবরোধ করেছেন জেলার বিক্ষুব্ধ জনতা। শুক্রবার সকাল সোয়া ১০টায় সম্মিলিত সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
অবরোধের ফলে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেস আখাউড়া স্টেশনে আটকে পড়ে। এক ঘণ্টারও বেশি সময় পর প্রশাসনের আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
দেশের পূর্বাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রুটের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত হওয়ায় এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রেল জংশন। প্রতিবছর সরকার এ জেলা থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করে। কিন্তু যাত্রীসেবার মান, ট্রেনের সংখ্যা ও যাত্রাবিরতির বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে চরম অবহেলার শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে জেলার মানুষ।
তারা অভিযোগ করেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে বেশ কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি নেই। পর্যাপ্ত ট্রেন না থাকায় ও আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ায় প্রতিদিন শত শত মানুষ দাঁড়িয়ে বা ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন। পাশাপাশি টিকেট কালোবাজারি চরম আকার ধারণ করেছে বলেও তাদের অভিযোগ।
বারবার আশ্বাস, হয়নি কাজ
বিক্ষোভকারীদের দাবি, দীর্ঘ সাত বছর ধরে জেলা নাগরিক ফোরাম ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন রেলসেবা উন্নয়নের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবারই শুধু আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রেনসেবা উন্নয়নের দাবিতে মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন ও স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো ফল না পাওয়ায় এবার বাধ্য হয়েই কঠোর কর্মসূচি হিসেবে রেলপথ অবরোধের মতো সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে জানান সংগঠকরা।
আন্দোলনকারীদের প্রধান দাবিগুলো
* ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে একটি নতুন আন্তঃনগর ট্রেন চালু,
* সুবর্ণ এক্সপ্রেস, সোনার বাংলা, কালনী, উপবন, বিজয় এক্সপ্রেসসহ গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলোর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাত্রাবিরতি নিশ্চিত করা
* ট্রেনের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি ও পুরোনো কোচ পরিবর্তন
* টিকেট কালোবাজারি বন্ধ ও অনিয়ম দূর করা
* ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও যাত্রীসেবার মানোন্নয়ন।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একাধিক ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকায় যেতে মাত্র ১০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সড়কপথে ‘চার থেকে ১২ ঘণ্টা’ লেগে যায়। আর রেলে যাত্রীসেবার ‘অব্যবস্থাপনার’ কারণে ট্রেনে যাতায়াতও ‘দুর্বিষহ’ হয়ে উঠেছে।
আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যদি দ্রুত তাদের দাবি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত না আসে, তাহলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিফাত মো. ইসতিয়াক ভূঁইয়া বলেন,
‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যাত্রীসেবা নিয়ে যে সমস্যা রয়েছে, তা ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেছেন। আজকের আন্দোলনের বিষয়টিও যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। আমাদের আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নিয়েছেন।’
অবরোধ তুলে নেওয়ার পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলেও আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবির পূর্ণ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দাবি আদায়ের জন্য রেলপথ অবরোধ করেছেন জেলার বিক্ষুব্ধ জনতা।
শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলপথে বিশেষ ট্রেন চালু, আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি, আসন সংখ্যা বৃদ্ধি ও টিকিট কালোবাজারি বন্ধসহ একাধিক দাবিতে রেলপথ অবরোধ করেছেন জেলার বিক্ষুব্ধ জনতা। শুক্রবার সকাল সোয়া ১০টায় সম্মিলিত সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
অবরোধের ফলে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেস আখাউড়া স্টেশনে আটকে পড়ে। এক ঘণ্টারও বেশি সময় পর প্রশাসনের আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
দেশের পূর্বাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রুটের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত হওয়ায় এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রেল জংশন। প্রতিবছর সরকার এ জেলা থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করে। কিন্তু যাত্রীসেবার মান, ট্রেনের সংখ্যা ও যাত্রাবিরতির বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে চরম অবহেলার শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে জেলার মানুষ।
তারা অভিযোগ করেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে বেশ কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি নেই। পর্যাপ্ত ট্রেন না থাকায় ও আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ায় প্রতিদিন শত শত মানুষ দাঁড়িয়ে বা ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন। পাশাপাশি টিকেট কালোবাজারি চরম আকার ধারণ করেছে বলেও তাদের অভিযোগ।
বারবার আশ্বাস, হয়নি কাজ
বিক্ষোভকারীদের দাবি, দীর্ঘ সাত বছর ধরে জেলা নাগরিক ফোরাম ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন রেলসেবা উন্নয়নের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবারই শুধু আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রেনসেবা উন্নয়নের দাবিতে মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন ও স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো ফল না পাওয়ায় এবার বাধ্য হয়েই কঠোর কর্মসূচি হিসেবে রেলপথ অবরোধের মতো সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে জানান সংগঠকরা।
আন্দোলনকারীদের প্রধান দাবিগুলো
* ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে একটি নতুন আন্তঃনগর ট্রেন চালু,
* সুবর্ণ এক্সপ্রেস, সোনার বাংলা, কালনী, উপবন, বিজয় এক্সপ্রেসসহ গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলোর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাত্রাবিরতি নিশ্চিত করা
* ট্রেনের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি ও পুরোনো কোচ পরিবর্তন
* টিকেট কালোবাজারি বন্ধ ও অনিয়ম দূর করা
* ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও যাত্রীসেবার মানোন্নয়ন।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একাধিক ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকায় যেতে মাত্র ১০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সড়কপথে ‘চার থেকে ১২ ঘণ্টা’ লেগে যায়। আর রেলে যাত্রীসেবার ‘অব্যবস্থাপনার’ কারণে ট্রেনে যাতায়াতও ‘দুর্বিষহ’ হয়ে উঠেছে।
আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যদি দ্রুত তাদের দাবি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত না আসে, তাহলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিফাত মো. ইসতিয়াক ভূঁইয়া বলেন,
‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যাত্রীসেবা নিয়ে যে সমস্যা রয়েছে, তা ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেছেন। আজকের আন্দোলনের বিষয়টিও যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। আমাদের আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নিয়েছেন।’
অবরোধ তুলে নেওয়ার পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলেও আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবির পূর্ণ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।