সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলা ভূমি অফিসে দুই মাস ধরে সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) পদটি শূন্য পড়ে আছে বলে জানা গেছে। এ কারণে উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন নামজারি ও জমাখারিজসহ ভূমিসংক্রান্ত নানা কাজে ধীরগতি দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে সেবাপ্রার্থী সাধারণ মানুষ।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ০৩/০৬/২০২৪ সালে তাহিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) হিসেবে যোগদান করেন সামস সাহাদত মাহমুদ উল্লাহ এবং বদলি- ৩১/১২ /২০২৪ ইং বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। এরপর থেকে এ দপ্তরে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম। বদলিজনিত কারণে চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম তারিখ থেকেই এ নিউজ লিখা পর্যন্ত এসিল্যান্ড পদটি শূন্য রয়েছে। বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হাসেম নিজ দায়িত্বের পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ঐ পদে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এসিল্যান্ড না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন জমির মালিকরা। দুইমাস যাবৎ সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) না থাকায় জমির নামজারি ও জমাখারিজ, ভূমিসংক্রান্ত মামলা সহ ভূমি বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সেবা নিতে উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আসা সাধারণ মানুষজন পড়েছেন ভোগান্তিতে। তাহিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি এর কার্যালয়ে ১৮ টি পদের মধ্যে কর্মরত আছে ১২ জন শূন্য রয়েছে ৬ টি পদ। কর্মরত ১২ জনের মধ্যে কানুনগো/প্রধান সহকারী/নাজির/অফিস সহকারী ও মিউ সহঃ ৬ জনের মধ্যে প্রেষণে আছে ২ জন। সহকারী কমিশনার ভূমি এর কার্যালয়ে সূত্রে জানাযায়, সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) বদলির পর দুই মাস যাবৎ শূন্য রয়েছে। সার্ভেয়ার ২ জনের মধ্যে কর্মরত আছে শূন্য পদ এক। জারিকারক ২টি পদের মধ্যে ২টি পদের রয়েছে শূন্য। মেইনম্যান ২ জনের মধ্যে কর্মরত আছে ১জন।
আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সরেজমিনে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি এর কার্যালয়ে গেলে তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বড়ছা গ্রামের মাজম আলী(৬৫), বুরুঙ্গাছড়া এরশাদ মিয়া(৪৮) দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামের এবাদ আলী, উত্তর বড়দল ইউনিয়নের আমতলী গ্রামের মিলন মিয়াসহ বিভিন্ন গ্রামে থেকে নামজারি করতে আসা আর ৬/৭ জন বাসিন্দা বলেন, তিন মাস আগে ঐ কার্যালয়ে তারা জমির নামজারি ও জমাখারিজ করার জন্য সহকারী কমিশনারের (ভূমি) বরাবর আবেদন করেন। এসিল্যান্ড বদলি হওয়ার আগে সার্ভার সমস্যার কারনে অনেকেই আবেদন জমা দিতে পারে কেউ পারে না। পরবর্তীতে এসিল্যান্ড বদলি। যার কারণে এখনো পর্যন্ত জমির নামজারি ও জমাখারিজ করা হয়নি। এ কারণে জমি বিক্রি করতে পারছেন না অনেকেই। কার্যালয়ে একাধিকবার এসেও কাজ হচ্ছে না। কবে কাজ হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না ঐ কার্যালয়ের কেউই। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি হয়রানিও হচ্ছেন তারা। ভুক্তভোগী অনেকেই জানান, জমির বিক্রি করে কেউ ছেলেকে বিদেশ পাঠেবে। কেউ আবার মেয়ে বিয়ে দেব। কেউ জমির নামজারি করে ব্যাংক থেকে ঋণ নেবে। জমির নামজারি করতে না পারায় তা পরেছেন বিপাকে।
নাম ও পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের এক তহশিলদার বলেন, সহকারী কমিশনার পদে লোক না থাকায় জানুয়ারি মাস থেকে এখনো পর্যন্ত অনেক ফাইল আটকে আছে।
ভূমিসংক্রান্ত অনেকগুলো মামলারও নিষ্পত্তি হচ্ছে না। জমির নামজারি ও জমাখারিজের অনেক আবেদন আটকে আছে দীর্ঘদিন ধরে। এগুলোয় সই না হওয়ায় আবেদনকারীরা হয়রানি হচ্ছে।
এ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম বলেন, ভূমি কার্যালয়ের সব কাজ ঠিকমতোই হচ্ছে। শূন্যপদ পূরণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলা ভূমি অফিসে দুই মাস ধরে সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) পদটি শূন্য পড়ে আছে বলে জানা গেছে। এ কারণে উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন নামজারি ও জমাখারিজসহ ভূমিসংক্রান্ত নানা কাজে ধীরগতি দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে সেবাপ্রার্থী সাধারণ মানুষ।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ০৩/০৬/২০২৪ সালে তাহিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) হিসেবে যোগদান করেন সামস সাহাদত মাহমুদ উল্লাহ এবং বদলি- ৩১/১২ /২০২৪ ইং বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। এরপর থেকে এ দপ্তরে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম। বদলিজনিত কারণে চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম তারিখ থেকেই এ নিউজ লিখা পর্যন্ত এসিল্যান্ড পদটি শূন্য রয়েছে। বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হাসেম নিজ দায়িত্বের পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ঐ পদে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এসিল্যান্ড না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন জমির মালিকরা। দুইমাস যাবৎ সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) না থাকায় জমির নামজারি ও জমাখারিজ, ভূমিসংক্রান্ত মামলা সহ ভূমি বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সেবা নিতে উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আসা সাধারণ মানুষজন পড়েছেন ভোগান্তিতে। তাহিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি এর কার্যালয়ে ১৮ টি পদের মধ্যে কর্মরত আছে ১২ জন শূন্য রয়েছে ৬ টি পদ। কর্মরত ১২ জনের মধ্যে কানুনগো/প্রধান সহকারী/নাজির/অফিস সহকারী ও মিউ সহঃ ৬ জনের মধ্যে প্রেষণে আছে ২ জন। সহকারী কমিশনার ভূমি এর কার্যালয়ে সূত্রে জানাযায়, সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) বদলির পর দুই মাস যাবৎ শূন্য রয়েছে। সার্ভেয়ার ২ জনের মধ্যে কর্মরত আছে শূন্য পদ এক। জারিকারক ২টি পদের মধ্যে ২টি পদের রয়েছে শূন্য। মেইনম্যান ২ জনের মধ্যে কর্মরত আছে ১জন।
আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সরেজমিনে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি এর কার্যালয়ে গেলে তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বড়ছা গ্রামের মাজম আলী(৬৫), বুরুঙ্গাছড়া এরশাদ মিয়া(৪৮) দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামের এবাদ আলী, উত্তর বড়দল ইউনিয়নের আমতলী গ্রামের মিলন মিয়াসহ বিভিন্ন গ্রামে থেকে নামজারি করতে আসা আর ৬/৭ জন বাসিন্দা বলেন, তিন মাস আগে ঐ কার্যালয়ে তারা জমির নামজারি ও জমাখারিজ করার জন্য সহকারী কমিশনারের (ভূমি) বরাবর আবেদন করেন। এসিল্যান্ড বদলি হওয়ার আগে সার্ভার সমস্যার কারনে অনেকেই আবেদন জমা দিতে পারে কেউ পারে না। পরবর্তীতে এসিল্যান্ড বদলি। যার কারণে এখনো পর্যন্ত জমির নামজারি ও জমাখারিজ করা হয়নি। এ কারণে জমি বিক্রি করতে পারছেন না অনেকেই। কার্যালয়ে একাধিকবার এসেও কাজ হচ্ছে না। কবে কাজ হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না ঐ কার্যালয়ের কেউই। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি হয়রানিও হচ্ছেন তারা। ভুক্তভোগী অনেকেই জানান, জমির বিক্রি করে কেউ ছেলেকে বিদেশ পাঠেবে। কেউ আবার মেয়ে বিয়ে দেব। কেউ জমির নামজারি করে ব্যাংক থেকে ঋণ নেবে। জমির নামজারি করতে না পারায় তা পরেছেন বিপাকে।
নাম ও পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের এক তহশিলদার বলেন, সহকারী কমিশনার পদে লোক না থাকায় জানুয়ারি মাস থেকে এখনো পর্যন্ত অনেক ফাইল আটকে আছে।
ভূমিসংক্রান্ত অনেকগুলো মামলারও নিষ্পত্তি হচ্ছে না। জমির নামজারি ও জমাখারিজের অনেক আবেদন আটকে আছে দীর্ঘদিন ধরে। এগুলোয় সই না হওয়ায় আবেদনকারীরা হয়রানি হচ্ছে।
এ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম বলেন, ভূমি কার্যালয়ের সব কাজ ঠিকমতোই হচ্ছে। শূন্যপদ পূরণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।