সিরাজগঞ্জের বাউ হাঁস পালন দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কম সময়ে বেশি ওজন বৃদ্ধি ও মৃত্যুহার কম হওয়ায় স্থানীয় খামারিরা লাভবান হচ্ছেন। উল্লাপাড়ার চয়রা গ্রামেই ২০টির বেশি খামার গড়ে উঠেছে, যেখানে বাউ হাঁস পালন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেশি ও বিদেশি জাতের সংকরায়নের মাধ্যমে নতুন জাতের হাঁস উদ্ভাবন করেছেন, যা অধিক মাংস ও ডিম উৎপাদনে সক্ষম। গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক ড. সামছুল আলম ভূঞা জানান, নতুন এই জাতের নাম ‘বাউ সাদা-কালো’। এটি বাংলাদেশের আবহাওয়ায় উপযোগী এবং লাভজনক হাঁস হিসেবে ইতোমধ্যে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
স্থানীয় খামারি ঝর্ণা খাতুন জানান, পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের সহায়তায় তারা প্রথম পর্যায়ে ৫০টি বাউ হাঁস পালন শুরু করেন। দুই মাসেই প্রতিটি হাঁস গড়ে দুই কেজির বেশি ওজন অর্জন করেছে এবং কোনো হাঁস মারা যায়নি। এতে তিনি লাভবান হওয়ায় দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ১০০টি হাঁস পালনের পরিকল্পনা করছেন।
আব্দুস সালাম, হামিদসহ অন্য খামারিদের মতে, স্থানীয় বাজারে বাউ হাঁসের চাহিদা বাড়ছে। কারণ এর মাংস সুস্বাদু ও ডিমের উৎপাদন বেশি। ফলে ছোট-বড় অনেকেই এখন এই হাঁস পালনের দিকে ঝুঁকছেন। সরকারি সহায়তা পেলে খামারিরা আরও বড় পরিসরে বাউ হাঁস পালন করতে পারবেন বলে বিশেষজ্ঞরা অভিমত ব্যক্ত করেন। এই হাঁস পালন বাড়ালে স্থানীয় কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি পাবে বলেও তারা আশাবাদী।
এদিকে, সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, বাউ হাঁস পালনের জন্য আরও বেশি খামারিদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে এবং তাদের জন্য সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করা হতে পারে, যাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে এই হাঁসের খামার গড়ে ওঠে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শেখ এম এ মতিন জানান, বাউ হাঁস বাংলাদেশের আবহাওয়ার জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এটি অল্পদিনে বেশি ওজন অর্জন করে এবং বেশি ডিম দেয়। এছাড়া রোগবালাইও তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় খামারিরা সহজেই লাভবান হচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, এই হাঁস ১০-১২ সপ্তাহে ২ থেকে আড়াই কেজি ওজনের হয়ে যায় এবং বছরে ২২০-২৩৫টি ডিম দিতে পারে। হাঁসের খামার পরিচালনার জন্য খামারিদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও টিকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে, যাতে তারা আরও বেশি লাভবান হতে পারেন।
শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সিরাজগঞ্জের বাউ হাঁস পালন দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কম সময়ে বেশি ওজন বৃদ্ধি ও মৃত্যুহার কম হওয়ায় স্থানীয় খামারিরা লাভবান হচ্ছেন। উল্লাপাড়ার চয়রা গ্রামেই ২০টির বেশি খামার গড়ে উঠেছে, যেখানে বাউ হাঁস পালন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেশি ও বিদেশি জাতের সংকরায়নের মাধ্যমে নতুন জাতের হাঁস উদ্ভাবন করেছেন, যা অধিক মাংস ও ডিম উৎপাদনে সক্ষম। গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক ড. সামছুল আলম ভূঞা জানান, নতুন এই জাতের নাম ‘বাউ সাদা-কালো’। এটি বাংলাদেশের আবহাওয়ায় উপযোগী এবং লাভজনক হাঁস হিসেবে ইতোমধ্যে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
স্থানীয় খামারি ঝর্ণা খাতুন জানান, পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের সহায়তায় তারা প্রথম পর্যায়ে ৫০টি বাউ হাঁস পালন শুরু করেন। দুই মাসেই প্রতিটি হাঁস গড়ে দুই কেজির বেশি ওজন অর্জন করেছে এবং কোনো হাঁস মারা যায়নি। এতে তিনি লাভবান হওয়ায় দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ১০০টি হাঁস পালনের পরিকল্পনা করছেন।
আব্দুস সালাম, হামিদসহ অন্য খামারিদের মতে, স্থানীয় বাজারে বাউ হাঁসের চাহিদা বাড়ছে। কারণ এর মাংস সুস্বাদু ও ডিমের উৎপাদন বেশি। ফলে ছোট-বড় অনেকেই এখন এই হাঁস পালনের দিকে ঝুঁকছেন। সরকারি সহায়তা পেলে খামারিরা আরও বড় পরিসরে বাউ হাঁস পালন করতে পারবেন বলে বিশেষজ্ঞরা অভিমত ব্যক্ত করেন। এই হাঁস পালন বাড়ালে স্থানীয় কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি পাবে বলেও তারা আশাবাদী।
এদিকে, সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, বাউ হাঁস পালনের জন্য আরও বেশি খামারিদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে এবং তাদের জন্য সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করা হতে পারে, যাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে এই হাঁসের খামার গড়ে ওঠে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শেখ এম এ মতিন জানান, বাউ হাঁস বাংলাদেশের আবহাওয়ার জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এটি অল্পদিনে বেশি ওজন অর্জন করে এবং বেশি ডিম দেয়। এছাড়া রোগবালাইও তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় খামারিরা সহজেই লাভবান হচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, এই হাঁস ১০-১২ সপ্তাহে ২ থেকে আড়াই কেজি ওজনের হয়ে যায় এবং বছরে ২২০-২৩৫টি ডিম দিতে পারে। হাঁসের খামার পরিচালনার জন্য খামারিদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও টিকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে, যাতে তারা আরও বেশি লাভবান হতে পারেন।