মহানবী সাঃ কে অবমাননা করার প্রতিবাদ এবং গ্রামবাসির উপর হামলাকারী হিজবুত তাওহীদের হেলমেট ধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসি। শুক্রবার বিকেলে রংপুরের পীরঘাচা উপজেলার দেওতি বাজারে বিক্ষোভ শেষে রংপুর গাইবান্ধার সুন্দরগজ্ঞ মহাসড়ক অবরোধ করেছে হাজার হাজার এলাকাবাসি। এ সময় ঘন্টা ব্যাপি মহাসড়কের দুপার্শ্বে যান চলাচল বন্ধ ছিলো।
বিক্ষোভ ও সমাবেশে বক্তব্য দেন,হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুর রহমান, হাফেজ মাওলানা গোলাম মোস্তফা , ইসলামী আন্দোলনের রংপুর মহানগর সাধারণ সম্পাদক মুফতি সালেহ আহমেদ মুহিত, মাওলানা মাসুদুর রহমান, মাওলানা মিজানুর রহমান, দেউতি জামে মসজিদের খতিব নুরল আজম নওশাদ, হাফ পাঁচ তলা জামে মসজিদের খতিব সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন , দীর্ঘদিন থেকে হিজবুত তাহওহীদ রাসুল সাঃ এবং ইসলামকে নিয়ে নানাধরণের বিরুপ মন্তব্য এবং ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ড করে আসছে। এর আগে আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় তারা এসব ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ড করে। এখনও সেই তৎপরতা অব্যাহত রাখছে। কোন ধরণের কারণ ছাড়াই গ্রামবাসিদের উপর হেলমেট পড়ে অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তারা হামলা চালিয়ে প্রমান করেছে তারা উগ্রবাদি জঙ্গি। বক্তারা ২৪ ঘন্টার মধ্যে হিজবুত তাওহীদ নিষিদ্ধ এবং হামলাকারীদের গ্রেফতার করার আলটিমেটাম দেন। অন্যথায় থানা ঘেরাওসহ বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে ঘোষনা দেয়া হয়।
উল্লেখ্য পীরগাছা উপজেলার সিদাম বাজার এলাকায় হিজবুত তাওহীদের জেলা সভাপতি আব্দুল কুদ্দুসের বাড়িতে গত ২৪ ফেরুয়ারী সোমবার অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছিল। এ সময় হিজবুত তাওহীদের নেতাকর্মীদের সাথে কয়েকজন এলাকাবাসীর কথা কাটাকাটি হয়।
এ ঘটনার জেরে হিজবুত তাওহীদের নেতাকর্মীরা মাথায় হেলমেট পরিধান করে বিভিন্ন অস্ত্র ও লাঠিসোডা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে হিজবুত তাওহীদের ৭ জন ছাড়াও অন্তত ২৫ জন এলাকাবাসি আহত হয়। এদের মধ্যে এলাকাবাসি ইমান আলী, রবিউল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, ফিরোজ মিয়া, আব্দুল্লাহ, খুরশিদ আলম, বদিউজ্জামাল, আবুল বাশার, মোশাররফ হোসেন, মনছুর আহম্মেদ, রিক্সা চালক আব্দুর রহিম, মফিজ মিয়া, ছাত্র আল আমিন, হাফিজুর রহমান, আবুল হোসেন, খোরশেদ আলম গুরতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছেন।
এ ব্যাপারে পীরগাছা থানার ওসি নুরল আলম জানান, হিযবুত তাওহীদের হেলমেটা বাহিনী নিরীহ গ্রামবাসির উপর হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসি একত্রিত হয়ে পাল্টা আক্রমণ করে। দুইপক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা কয়েকটি বাড়ি ও মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় উল্টো পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ওপরও চড়াও হয় হিজবুত তাওহীদের লোকজন। এ ঘটনায় হিজবুত তাওহীদের ৩৯ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ এবং ৩০০ জনে অজ্ঞাতনামার নামে মামলা করেছেন পবিত্রঝাড় দোকানিপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মিজানুর রহমান। ওই মামলায় ইতিমধ্যে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
মহানবী সাঃ কে অবমাননা করার প্রতিবাদ এবং গ্রামবাসির উপর হামলাকারী হিজবুত তাওহীদের হেলমেট ধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসি। শুক্রবার বিকেলে রংপুরের পীরঘাচা উপজেলার দেওতি বাজারে বিক্ষোভ শেষে রংপুর গাইবান্ধার সুন্দরগজ্ঞ মহাসড়ক অবরোধ করেছে হাজার হাজার এলাকাবাসি। এ সময় ঘন্টা ব্যাপি মহাসড়কের দুপার্শ্বে যান চলাচল বন্ধ ছিলো।
বিক্ষোভ ও সমাবেশে বক্তব্য দেন,হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুর রহমান, হাফেজ মাওলানা গোলাম মোস্তফা , ইসলামী আন্দোলনের রংপুর মহানগর সাধারণ সম্পাদক মুফতি সালেহ আহমেদ মুহিত, মাওলানা মাসুদুর রহমান, মাওলানা মিজানুর রহমান, দেউতি জামে মসজিদের খতিব নুরল আজম নওশাদ, হাফ পাঁচ তলা জামে মসজিদের খতিব সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন , দীর্ঘদিন থেকে হিজবুত তাহওহীদ রাসুল সাঃ এবং ইসলামকে নিয়ে নানাধরণের বিরুপ মন্তব্য এবং ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ড করে আসছে। এর আগে আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় তারা এসব ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ড করে। এখনও সেই তৎপরতা অব্যাহত রাখছে। কোন ধরণের কারণ ছাড়াই গ্রামবাসিদের উপর হেলমেট পড়ে অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তারা হামলা চালিয়ে প্রমান করেছে তারা উগ্রবাদি জঙ্গি। বক্তারা ২৪ ঘন্টার মধ্যে হিজবুত তাওহীদ নিষিদ্ধ এবং হামলাকারীদের গ্রেফতার করার আলটিমেটাম দেন। অন্যথায় থানা ঘেরাওসহ বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে ঘোষনা দেয়া হয়।
উল্লেখ্য পীরগাছা উপজেলার সিদাম বাজার এলাকায় হিজবুত তাওহীদের জেলা সভাপতি আব্দুল কুদ্দুসের বাড়িতে গত ২৪ ফেরুয়ারী সোমবার অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছিল। এ সময় হিজবুত তাওহীদের নেতাকর্মীদের সাথে কয়েকজন এলাকাবাসীর কথা কাটাকাটি হয়।
এ ঘটনার জেরে হিজবুত তাওহীদের নেতাকর্মীরা মাথায় হেলমেট পরিধান করে বিভিন্ন অস্ত্র ও লাঠিসোডা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে হিজবুত তাওহীদের ৭ জন ছাড়াও অন্তত ২৫ জন এলাকাবাসি আহত হয়। এদের মধ্যে এলাকাবাসি ইমান আলী, রবিউল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, ফিরোজ মিয়া, আব্দুল্লাহ, খুরশিদ আলম, বদিউজ্জামাল, আবুল বাশার, মোশাররফ হোসেন, মনছুর আহম্মেদ, রিক্সা চালক আব্দুর রহিম, মফিজ মিয়া, ছাত্র আল আমিন, হাফিজুর রহমান, আবুল হোসেন, খোরশেদ আলম গুরতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছেন।
এ ব্যাপারে পীরগাছা থানার ওসি নুরল আলম জানান, হিযবুত তাওহীদের হেলমেটা বাহিনী নিরীহ গ্রামবাসির উপর হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসি একত্রিত হয়ে পাল্টা আক্রমণ করে। দুইপক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা কয়েকটি বাড়ি ও মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় উল্টো পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ওপরও চড়াও হয় হিজবুত তাওহীদের লোকজন। এ ঘটনায় হিজবুত তাওহীদের ৩৯ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ এবং ৩০০ জনে অজ্ঞাতনামার নামে মামলা করেছেন পবিত্রঝাড় দোকানিপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মিজানুর রহমান। ওই মামলায় ইতিমধ্যে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।