দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পাঁচ দফা দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। শনিবার সকাল থেকে তারা এ কর্মসূচি পালন করছেন।
পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের সংগঠন ‘ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস’ শুক্রবার এক বিবৃতিতে কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। তবে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, সিসিইউ ও আইসিইউ এই কর্মসূচির আওতামুক্ত রেখেছেন।
শনিবার বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেবেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা বলে জানিয়েছেন ‘ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস’-এর সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুন নবী। সারাদেশে প্রায় ১০ হাজার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসক রয়েছেন।
শুক্রবার দেওয়া বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, মেডিকেল শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চললেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই। তাই পাঁচ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সকল সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসক কর্মবিরতি পালন করবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শনিবার সকালে মো. নুরুন নবী বলেন, “হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও ইনডোর কার্যক্রমে আমরা অংশ নিচ্ছি না। তবে জরুরি বিভাগ, আইসিইউ, সিসিইউ এই কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে।”
ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে দশম গ্রেডে শূন্য পদে নিয়োগ ও নতুন পদ তৈরির দাবিতে আন্দোলনে নামেন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টস ট্রেনিং স্কুল-ম্যাটস শিক্ষার্থীরা। সরকারের আশ্বাসে তারা আপাতত আন্দোলন স্থগিত করলেও এরপর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে যুক্ত হন।
পাঁচ দফা দাবিসমূহ:
এমবিবিএস/বিডিএস ছাড়া কেউ ‘ডাক্তার’ লিখতে পারবে না, বিএমডিসির নিবন্ধন কেবল এমবিবিএস/বিডিএস উত্তীর্ণদের দিতে হবে, ম্যাটসদের নিবন্ধন বন্ধ করতে হবে এবং বিএমডিসির আইনের বিরুদ্ধে করা রিট মামলা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে।
চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওটিসি (ওভার দ্য কাউন্টার) তালিকা হালনাগাদ করতে হবে এবং এমবিবিএস/বিডিএস ছাড়া কেউ ওটিসি তালিকার বাইরে ওষুধ লিখতে পারবে না।
চিকিৎসক সংকট নিরসনে দ্রুত ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিতে হবে এবং চিকিৎসকদের বিসিএসে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৪ বছর করতে হবে।
সব ধরনের ম্যাটস ও মানহীন সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ বন্ধ করতে হবে, ইতোমধ্যে পাস করা ম্যাটস শিক্ষার্থীদের ‘উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার’ পদবি বাতিল করে ‘মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট’ হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে।
চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।
এই পাঁচ দফা দাবির ভিত্তিতেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন মেডিকেল শিক্ষার্থী, ইন্টার্ন ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা।
শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫
দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পাঁচ দফা দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। শনিবার সকাল থেকে তারা এ কর্মসূচি পালন করছেন।
পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের সংগঠন ‘ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস’ শুক্রবার এক বিবৃতিতে কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। তবে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, সিসিইউ ও আইসিইউ এই কর্মসূচির আওতামুক্ত রেখেছেন।
শনিবার বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেবেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা বলে জানিয়েছেন ‘ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস’-এর সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুন নবী। সারাদেশে প্রায় ১০ হাজার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসক রয়েছেন।
শুক্রবার দেওয়া বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, মেডিকেল শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চললেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই। তাই পাঁচ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সকল সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসক কর্মবিরতি পালন করবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শনিবার সকালে মো. নুরুন নবী বলেন, “হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও ইনডোর কার্যক্রমে আমরা অংশ নিচ্ছি না। তবে জরুরি বিভাগ, আইসিইউ, সিসিইউ এই কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে।”
ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে দশম গ্রেডে শূন্য পদে নিয়োগ ও নতুন পদ তৈরির দাবিতে আন্দোলনে নামেন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টস ট্রেনিং স্কুল-ম্যাটস শিক্ষার্থীরা। সরকারের আশ্বাসে তারা আপাতত আন্দোলন স্থগিত করলেও এরপর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে যুক্ত হন।
পাঁচ দফা দাবিসমূহ:
এমবিবিএস/বিডিএস ছাড়া কেউ ‘ডাক্তার’ লিখতে পারবে না, বিএমডিসির নিবন্ধন কেবল এমবিবিএস/বিডিএস উত্তীর্ণদের দিতে হবে, ম্যাটসদের নিবন্ধন বন্ধ করতে হবে এবং বিএমডিসির আইনের বিরুদ্ধে করা রিট মামলা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে।
চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওটিসি (ওভার দ্য কাউন্টার) তালিকা হালনাগাদ করতে হবে এবং এমবিবিএস/বিডিএস ছাড়া কেউ ওটিসি তালিকার বাইরে ওষুধ লিখতে পারবে না।
চিকিৎসক সংকট নিরসনে দ্রুত ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিতে হবে এবং চিকিৎসকদের বিসিএসে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৪ বছর করতে হবে।
সব ধরনের ম্যাটস ও মানহীন সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ বন্ধ করতে হবে, ইতোমধ্যে পাস করা ম্যাটস শিক্ষার্থীদের ‘উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার’ পদবি বাতিল করে ‘মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট’ হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে।
চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।
এই পাঁচ দফা দাবির ভিত্তিতেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন মেডিকেল শিক্ষার্থী, ইন্টার্ন ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা।