শরীয়তপুর সদরের কীর্তিনাশা নদীর দুই পাড় ও নদীতে নেমে সন্দেহভাজন ডাকাতদের ধাওয়া করেন স্থানীয় লোকজন। পালানোর সময় ডাকাত দল গুলি ও ককটেল ছুড়লেও তাদের থামানো যায়নি। পরে দলটির সদস্যরা একটি ইটভাটায় আশ্রয় নিলে স্থানীয়রা তাদের ঘিরে ফেলে পিটুনি দেয়। এতে দুজন মারা যান।
শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রাজারচর এলাকায় কীর্তিনাশা নদীতে বালু পরিবহনের নৌযান বাল্কহেডে হানা দেয় ১০ থেকে ১২ জনের একটি ডাকাত দল। নৌযানের শ্রমিক ও স্থানীয়রা তাদের ধাওয়া করলে ডাকাতরা গুলি ও ককটেল ছুড়ে স্পিডবোটে করে পালানোর চেষ্টা করে। খবর ছড়িয়ে পড়লে শরীয়তপুরের দাদপুর থেকে ডোমসার তেঁতুলিয়া পর্যন্ত নদীর দুই পাড়ে স্থানীয়রা ডাকাতদের ধাওয়া করতে থাকেন।
একপর্যায়ে ডাকাত দল ডোমসার তেঁতুলিয়া এলাকায় নদীতে স্পিডবোট ফেলে একটি ইটভাটায় আশ্রয় নেয়। স্থানীয় জনতা ইটভাটাটি ঘিরে ফেলে এবং সাতজনকে আটক করে পিটুনি দেয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে আহত ডাকাতদের উদ্ধার করেন। রাত একটার দিকে পুলিশ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এখনো তাদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
স্থানীয়দের ধাওয়ায় ডাকাত দলের ছোড়া গুলিতে আটজন আহত হয়েছেন, এর মধ্যে তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে। এছাড়া গণপিটুনিতে আরও পাঁচ ডাকাত আহত হয়েছেন, তাদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মুনতাসির খান জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে ডাকাতদের গুলিতে আহত চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়, যাদের মধ্যে দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়। পরে রাত ১২টার পর তিন দফায় আরও সাতজনকে আনা হয়, যাদের মধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম জানান, মাদারীপুরের রাজারচর এলাকায় ডাকাতির চেষ্টাকালে স্থানীয়রা ডাকাত দলকে ধাওয়া করেন। পালানোর সময় তারা এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। পরে স্থানীয়দের গণপিটুনিতে দুইজন নিহত হন। নিহতদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি স্পিডবোট ও একটি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করেছে পুলিশ।
শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫
শরীয়তপুর সদরের কীর্তিনাশা নদীর দুই পাড় ও নদীতে নেমে সন্দেহভাজন ডাকাতদের ধাওয়া করেন স্থানীয় লোকজন। পালানোর সময় ডাকাত দল গুলি ও ককটেল ছুড়লেও তাদের থামানো যায়নি। পরে দলটির সদস্যরা একটি ইটভাটায় আশ্রয় নিলে স্থানীয়রা তাদের ঘিরে ফেলে পিটুনি দেয়। এতে দুজন মারা যান।
শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রাজারচর এলাকায় কীর্তিনাশা নদীতে বালু পরিবহনের নৌযান বাল্কহেডে হানা দেয় ১০ থেকে ১২ জনের একটি ডাকাত দল। নৌযানের শ্রমিক ও স্থানীয়রা তাদের ধাওয়া করলে ডাকাতরা গুলি ও ককটেল ছুড়ে স্পিডবোটে করে পালানোর চেষ্টা করে। খবর ছড়িয়ে পড়লে শরীয়তপুরের দাদপুর থেকে ডোমসার তেঁতুলিয়া পর্যন্ত নদীর দুই পাড়ে স্থানীয়রা ডাকাতদের ধাওয়া করতে থাকেন।
একপর্যায়ে ডাকাত দল ডোমসার তেঁতুলিয়া এলাকায় নদীতে স্পিডবোট ফেলে একটি ইটভাটায় আশ্রয় নেয়। স্থানীয় জনতা ইটভাটাটি ঘিরে ফেলে এবং সাতজনকে আটক করে পিটুনি দেয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে আহত ডাকাতদের উদ্ধার করেন। রাত একটার দিকে পুলিশ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এখনো তাদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
স্থানীয়দের ধাওয়ায় ডাকাত দলের ছোড়া গুলিতে আটজন আহত হয়েছেন, এর মধ্যে তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে। এছাড়া গণপিটুনিতে আরও পাঁচ ডাকাত আহত হয়েছেন, তাদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মুনতাসির খান জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে ডাকাতদের গুলিতে আহত চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়, যাদের মধ্যে দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়। পরে রাত ১২টার পর তিন দফায় আরও সাতজনকে আনা হয়, যাদের মধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম জানান, মাদারীপুরের রাজারচর এলাকায় ডাকাতির চেষ্টাকালে স্থানীয়রা ডাকাত দলকে ধাওয়া করেন। পালানোর সময় তারা এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। পরে স্থানীয়দের গণপিটুনিতে দুইজন নিহত হন। নিহতদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি স্পিডবোট ও একটি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করেছে পুলিশ।