বাঁশখালী : বাঁশখালীর ইটভাটায় পোড়ানোর জন্য স্তূপ করে রাখা কাঠ -সংবাদ
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ৭ ইট ভাটা হজম করছে বনের কাঠ ও কৃষিজমির মাটি। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব ইট ভাটায় অবাধে পুড়ছে বনের কাঠ ও লাকড়ি। এছাড়া ইট তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে কৃষিজমি কিংবা পাহাড়ের মাটি। এক শ্রেণীর দুর্বৃত্ত কৃষিজমির মাটি ও সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে করছে সাবাড়। লাইসেন্সবিহীন এইসব ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযান পরিচালনার দাবি পরিবেশ বান্ধব জনগণের।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার সাধনপুরের লটমনিতে ৪টি, বাহারছড়ার ইলশা ও রতœপুরে ৫টি, সরল, চাম্বল, শেখেরখীল ও পুকুরিয়া ইউপিতে একটি করে মোট ১২টি ইট ভাটা রয়েছে। এরমধ্যে বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা ও নানা জটিলতার কারণে ৫টি বন্ধ থাকলেও বাকি সাতটি ইট ভাটা সচল রয়েছে।
শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চাম্বল এনটিবি ব্রিকস, সরল চৌধুরী ব্রিকস, বাহারছড়া এমবিএম ব্রিকস, চৌধুরী ব্রিকস ও জিবিএম ব্রিকসে পোড়ানোর জন্য হাজারও মন কাঠ স্তূপ করে রাখা হয়েছে। প্রত্যেকটি ইটভাটায় কয়লার পরিবর্তে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে।
ব্রিক ফিল্ডে কর্মরত শ্রমিকরা জানান, একবার ইট পোড়াতে প্রায় চার হাজার মণ কাঠ পোড়াতে হয়। এসব কাঠ জোগাড় হচ্ছে আশপাশের সংরক্ষিত বন থেকেই। প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে নিয়মিত ভাটাগুলোতে পুড়ানো হচ্ছে কাঠ। ফলে উজাড় হয়ে যাচ্ছে পাহাড়ের সংরক্ষিত বন। এতে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ বাড়ছে।
ইটভাটাগুলোতে কয়লার পরিবর্তে কাঠ পুড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে সরল চৌধুরী ব্রিকসের ম্যানেজার মো. মুফিজ বলেন, কয়লা সংকটের কারণে কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইটভাটা বন্ধ রাখার জন্য নোটিস বা মৌখিক বলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে কোনো ধরনের নোটিস আসেনি। তবে প্রশাসনের দাবি যে সমস্ত ইটভাটায় লাইসেন্স নেই সেইসব ভাটা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া আছে।
জলদী অভয়ারণ্যের রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ অবৈধ ইটভাটা ও করাত কলগুলো বন গিলে খাচ্ছে বলে দাবি করলেও একজন বনরক্ষক হিসেবে উনার সরবভাবে কোনো ভূমিকা নেই বলেও অভিযোগ সচেতন মহলের, তাদের মতে তিনি আওয়ামী ফ্যাসিস্টের একজন দোসর হয়ে দীর্ঘদিন থেকে এখানে কর্মরত আছেন। পাহাড়ের ভূমি বিক্রি করে ঘর নির্মাণ, গছ বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও করেন তার বিরুদ্ধে। আওয়ামী সরকারের আমলে তিনি কয়েকজন সংবাদকর্মী ও আওয়ামী নেতাদের সঙ্গে সখ্যতা রেখে নানা অপকর্ম করেছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে।
বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, অবৈধ ইটভাটা এবং কাঠ পোড়ানোর বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের সতর্ক নজরদারি, নিয়মিত অভিযান চালানো এবং ইটভাটা বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
যারা নির্দেশনা অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাঁশখালী : বাঁশখালীর ইটভাটায় পোড়ানোর জন্য স্তূপ করে রাখা কাঠ -সংবাদ
শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ৭ ইট ভাটা হজম করছে বনের কাঠ ও কৃষিজমির মাটি। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব ইট ভাটায় অবাধে পুড়ছে বনের কাঠ ও লাকড়ি। এছাড়া ইট তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে কৃষিজমি কিংবা পাহাড়ের মাটি। এক শ্রেণীর দুর্বৃত্ত কৃষিজমির মাটি ও সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে করছে সাবাড়। লাইসেন্সবিহীন এইসব ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযান পরিচালনার দাবি পরিবেশ বান্ধব জনগণের।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার সাধনপুরের লটমনিতে ৪টি, বাহারছড়ার ইলশা ও রতœপুরে ৫টি, সরল, চাম্বল, শেখেরখীল ও পুকুরিয়া ইউপিতে একটি করে মোট ১২টি ইট ভাটা রয়েছে। এরমধ্যে বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা ও নানা জটিলতার কারণে ৫টি বন্ধ থাকলেও বাকি সাতটি ইট ভাটা সচল রয়েছে।
শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চাম্বল এনটিবি ব্রিকস, সরল চৌধুরী ব্রিকস, বাহারছড়া এমবিএম ব্রিকস, চৌধুরী ব্রিকস ও জিবিএম ব্রিকসে পোড়ানোর জন্য হাজারও মন কাঠ স্তূপ করে রাখা হয়েছে। প্রত্যেকটি ইটভাটায় কয়লার পরিবর্তে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে।
ব্রিক ফিল্ডে কর্মরত শ্রমিকরা জানান, একবার ইট পোড়াতে প্রায় চার হাজার মণ কাঠ পোড়াতে হয়। এসব কাঠ জোগাড় হচ্ছে আশপাশের সংরক্ষিত বন থেকেই। প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে নিয়মিত ভাটাগুলোতে পুড়ানো হচ্ছে কাঠ। ফলে উজাড় হয়ে যাচ্ছে পাহাড়ের সংরক্ষিত বন। এতে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ বাড়ছে।
ইটভাটাগুলোতে কয়লার পরিবর্তে কাঠ পুড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে সরল চৌধুরী ব্রিকসের ম্যানেজার মো. মুফিজ বলেন, কয়লা সংকটের কারণে কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইটভাটা বন্ধ রাখার জন্য নোটিস বা মৌখিক বলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে কোনো ধরনের নোটিস আসেনি। তবে প্রশাসনের দাবি যে সমস্ত ইটভাটায় লাইসেন্স নেই সেইসব ভাটা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া আছে।
জলদী অভয়ারণ্যের রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ অবৈধ ইটভাটা ও করাত কলগুলো বন গিলে খাচ্ছে বলে দাবি করলেও একজন বনরক্ষক হিসেবে উনার সরবভাবে কোনো ভূমিকা নেই বলেও অভিযোগ সচেতন মহলের, তাদের মতে তিনি আওয়ামী ফ্যাসিস্টের একজন দোসর হয়ে দীর্ঘদিন থেকে এখানে কর্মরত আছেন। পাহাড়ের ভূমি বিক্রি করে ঘর নির্মাণ, গছ বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও করেন তার বিরুদ্ধে। আওয়ামী সরকারের আমলে তিনি কয়েকজন সংবাদকর্মী ও আওয়ামী নেতাদের সঙ্গে সখ্যতা রেখে নানা অপকর্ম করেছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে।
বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, অবৈধ ইটভাটা এবং কাঠ পোড়ানোর বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের সতর্ক নজরদারি, নিয়মিত অভিযান চালানো এবং ইটভাটা বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
যারা নির্দেশনা অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।