নোয়াখালী জেলা সদরে দিনদুপুরে এক প্রবাসীর বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা তার বসতঘরে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করেই থামেনি। যাওয়ার সময় ঘরের সব আসবাবপত্র পুকুরে এবং সড়কের ওপর ফেলে দেয়।
শুক্রবার বিকেলে থেকে রাত পর্যন্ত সদর উপজেলার কাদির হানিফ ইউনিয়নের কৃষ্ণরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে একজনকে আটক করে। এ সময় বাকিরা পালিয়ে যায়।
জানা যায়, কৃষ্ণরামপুর গ্রামের মৃত হামিদ উল্যার ছেলে সৌদি প্রবাসী নুরুল আফসার সুমন(৪৫) এবং একই এলাকার শাহ্ আলমের দুই ছেলে আলমগীর(৩৫) ও জাহাঙ্গীরের(৩৭) সাথে জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। বিষয়টি মীমাংসার জন্য স্থানীয়ভাবে একাধিবার সালিশ বৈঠকও হয়। এর মধ্যে কয়েকদিন আগে আলমগীর একটি মামলায় জামিনে কারাগার থেকে বের হয়ে এসে সুমনকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন। শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে আলমগীর ও জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে ৬/৭টি মাইক্রোবাসযোগে অর্ধশতাধিক ভাড়াটে সন্ত্রাসী অতর্কিতে এসে সুমনের বাড়িতে হামলা শুরু করে দেয়। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা বসতঘরের গেইট ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে সুমনের স্ত্রী, শ্বাশুড়িসহ পরিবারের অন্যান্য নারী সদস্যদের বেদড়ক পিটিয়ে আহত করে। এ সময় প্রাণভয়ে তারা ঘর থেকে বেরিয়ে যান। পরে সন্ত্রাসীরা ঘরের প্রতিটি কক্ষে প্রবেশ করে সব মালপএ ভেঙ্গে তছনছ করে দেয় এবং নগদ টাকা, স্বার্ণালংকারসহ মূল্যবান মালামাল লুটে নেয়। যাওয়ার সময় তারা ঘরের খাট, লেপ তোষক, সোফা, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, হাড়ি পাতিলসহ মালামাল ঘর থেকে বের করে পাশের পুকুরে এবং সড়কে ফেলে দিয়ে যায়
প্রবাসী নুরুল আফসার সুমন অভিযোগ করে বলেন, আলমগীর একজন সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসী কাজে জড়িত সে জেল খাটে। জেল থেকে বের হয়ে সে আমাকে বার বার হুমকি দিয়ে আসছে। আমি বিষয়টি পুলিশকে জানিয়ে রেখেছিলাম। কিন্ত তারা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখেনি বলেই আজ আমাদের সবকিছু শেষ করে দিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। এ ঘটনায় মামলা নেয়া হয়েছে । ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার দুপুরের দিকে আসামিকে বিচারিক আদালতে চালান করা হয়েছে।
শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫
নোয়াখালী জেলা সদরে দিনদুপুরে এক প্রবাসীর বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা তার বসতঘরে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করেই থামেনি। যাওয়ার সময় ঘরের সব আসবাবপত্র পুকুরে এবং সড়কের ওপর ফেলে দেয়।
শুক্রবার বিকেলে থেকে রাত পর্যন্ত সদর উপজেলার কাদির হানিফ ইউনিয়নের কৃষ্ণরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে একজনকে আটক করে। এ সময় বাকিরা পালিয়ে যায়।
জানা যায়, কৃষ্ণরামপুর গ্রামের মৃত হামিদ উল্যার ছেলে সৌদি প্রবাসী নুরুল আফসার সুমন(৪৫) এবং একই এলাকার শাহ্ আলমের দুই ছেলে আলমগীর(৩৫) ও জাহাঙ্গীরের(৩৭) সাথে জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। বিষয়টি মীমাংসার জন্য স্থানীয়ভাবে একাধিবার সালিশ বৈঠকও হয়। এর মধ্যে কয়েকদিন আগে আলমগীর একটি মামলায় জামিনে কারাগার থেকে বের হয়ে এসে সুমনকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন। শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে আলমগীর ও জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে ৬/৭টি মাইক্রোবাসযোগে অর্ধশতাধিক ভাড়াটে সন্ত্রাসী অতর্কিতে এসে সুমনের বাড়িতে হামলা শুরু করে দেয়। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা বসতঘরের গেইট ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে সুমনের স্ত্রী, শ্বাশুড়িসহ পরিবারের অন্যান্য নারী সদস্যদের বেদড়ক পিটিয়ে আহত করে। এ সময় প্রাণভয়ে তারা ঘর থেকে বেরিয়ে যান। পরে সন্ত্রাসীরা ঘরের প্রতিটি কক্ষে প্রবেশ করে সব মালপএ ভেঙ্গে তছনছ করে দেয় এবং নগদ টাকা, স্বার্ণালংকারসহ মূল্যবান মালামাল লুটে নেয়। যাওয়ার সময় তারা ঘরের খাট, লেপ তোষক, সোফা, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, হাড়ি পাতিলসহ মালামাল ঘর থেকে বের করে পাশের পুকুরে এবং সড়কে ফেলে দিয়ে যায়
প্রবাসী নুরুল আফসার সুমন অভিযোগ করে বলেন, আলমগীর একজন সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসী কাজে জড়িত সে জেল খাটে। জেল থেকে বের হয়ে সে আমাকে বার বার হুমকি দিয়ে আসছে। আমি বিষয়টি পুলিশকে জানিয়ে রেখেছিলাম। কিন্ত তারা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখেনি বলেই আজ আমাদের সবকিছু শেষ করে দিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। এ ঘটনায় মামলা নেয়া হয়েছে । ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার দুপুরের দিকে আসামিকে বিচারিক আদালতে চালান করা হয়েছে।