জামালপুরের মাদারগঞ্জে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তেঘরিয়া বাজারে সাহেদ আলী স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে চরপাকেরদহ ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের প্যান্ডেল প্রস্তত করার সময় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের ৯ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন স্থগিত করেছে উপজেলা বিএনপি। জানা গেছে, তেঘরিয়া বাজারে সাহেদ আলী স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে শুক্রাবার বিকেলে চরপাকেরদহ ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন হওয়ার কথা ছিলো। আসন্ন সম্মেলনে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পদ প্রত্যাশী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মো: মজনু ফকির ও যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া বিপ্লব তরফদার নিজেদের প্রার্থীতা ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার রাতে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের প্যান্ডেল ও মঞ্চ প্রস্ততের কাজ চলছিলো। এ সময় সভাপতি পদ প্রত্যাশী দুই নেতার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ চলাকালে সম্মেলনের মাঠে বিকট শব্দে দুইটি ককটেল বিস্ফোরনের শব্দ শোনা যায়। সম্মেলনের জন্য মাঠে থাকা প্রায় দুই হাজার চেয়ারে পেট্রোল ঢেলে আগুন জালিয়ে দেয়া হয়। স্কুল মাঠে সম্মেলনের জন্য তৈরি করা মঞ্চ এবং কয়েকটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৯ জন আহত হন।
তেঘরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মো. মজনু ফকির জানান, বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনের জন্য সাহেদ আলী স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে প্যান্ডেল ও মঞ্চ তৈরির কাজ চলছিলো। ইউনিয়ন বিএনপির বেশ কিছু নেতাকর্মী নিয়ে অফিসে বসে ছিলাম। রাত ৯টায় হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। পরে মানুষের চিৎকার চেচামেচি শুনে মাঠে গিয়ে দেখি উপজেলা বিএনপির সদস্য ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুখলেছুর রহমান, ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া বিপ্লব তরফদার, হুমায়ুন ও স্বপনসহ আরও কয়েকজন সম্মেলন মাঠে ককটেল বিস্ফোরন ঘটায় ও চেয়ারে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে বিএনপির বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দিলে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন স্থগিত করার জন্যই তারা এমন কর্মকান্ড ঘটিয়েছে। এই ঘটনার সাথে জড়িতদের বহিষ্কারের দাবী জানান তিনি। তবে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে তেঘরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া বিপ্লব তরফদার বলেন, ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে দেখা করে রাতে মিতালী বাজারে যাই। আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মী প্যান্ডেল ও মঞ্চ তৈরির কাজ পরিদর্শন করার জন্য স্কুল মাঠে গেলে মজনু ফকিরের নেতৃত্বে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহ মোহাম্মদ মোস্তাক ও তার লোকজন অতর্কিত হামলা করে। এতে আমাদের ৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। মজনু ফকিরের লোকজনই প্যান্ডেল ভাঙচুর করে ও চেয়ারে আগুন লাগিয়ে দেন। আমাদের নেতাকর্মীদের ৬টি মটর সাইকেল ভাঙচুর করেন তারা। মাঠে ককটেল বিস্ফোরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। মজনু ফকিরের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে।
মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মঞ্জুর কাদের বাবুল খান বলেন, চরপাকেরদহ ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। ওই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। মাদারগঞ্জ মডেল থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সম্মেলনের মঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুর করা হয়েছে। ককটেল বিস্ফোরনের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫
জামালপুরের মাদারগঞ্জে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তেঘরিয়া বাজারে সাহেদ আলী স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে চরপাকেরদহ ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের প্যান্ডেল প্রস্তত করার সময় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের ৯ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন স্থগিত করেছে উপজেলা বিএনপি। জানা গেছে, তেঘরিয়া বাজারে সাহেদ আলী স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে শুক্রাবার বিকেলে চরপাকেরদহ ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন হওয়ার কথা ছিলো। আসন্ন সম্মেলনে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পদ প্রত্যাশী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মো: মজনু ফকির ও যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া বিপ্লব তরফদার নিজেদের প্রার্থীতা ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার রাতে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের প্যান্ডেল ও মঞ্চ প্রস্ততের কাজ চলছিলো। এ সময় সভাপতি পদ প্রত্যাশী দুই নেতার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ চলাকালে সম্মেলনের মাঠে বিকট শব্দে দুইটি ককটেল বিস্ফোরনের শব্দ শোনা যায়। সম্মেলনের জন্য মাঠে থাকা প্রায় দুই হাজার চেয়ারে পেট্রোল ঢেলে আগুন জালিয়ে দেয়া হয়। স্কুল মাঠে সম্মেলনের জন্য তৈরি করা মঞ্চ এবং কয়েকটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৯ জন আহত হন।
তেঘরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মো. মজনু ফকির জানান, বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনের জন্য সাহেদ আলী স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে প্যান্ডেল ও মঞ্চ তৈরির কাজ চলছিলো। ইউনিয়ন বিএনপির বেশ কিছু নেতাকর্মী নিয়ে অফিসে বসে ছিলাম। রাত ৯টায় হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। পরে মানুষের চিৎকার চেচামেচি শুনে মাঠে গিয়ে দেখি উপজেলা বিএনপির সদস্য ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুখলেছুর রহমান, ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া বিপ্লব তরফদার, হুমায়ুন ও স্বপনসহ আরও কয়েকজন সম্মেলন মাঠে ককটেল বিস্ফোরন ঘটায় ও চেয়ারে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে বিএনপির বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দিলে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন স্থগিত করার জন্যই তারা এমন কর্মকান্ড ঘটিয়েছে। এই ঘটনার সাথে জড়িতদের বহিষ্কারের দাবী জানান তিনি। তবে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে তেঘরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া বিপ্লব তরফদার বলেন, ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে দেখা করে রাতে মিতালী বাজারে যাই। আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মী প্যান্ডেল ও মঞ্চ তৈরির কাজ পরিদর্শন করার জন্য স্কুল মাঠে গেলে মজনু ফকিরের নেতৃত্বে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহ মোহাম্মদ মোস্তাক ও তার লোকজন অতর্কিত হামলা করে। এতে আমাদের ৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। মজনু ফকিরের লোকজনই প্যান্ডেল ভাঙচুর করে ও চেয়ারে আগুন লাগিয়ে দেন। আমাদের নেতাকর্মীদের ৬টি মটর সাইকেল ভাঙচুর করেন তারা। মাঠে ককটেল বিস্ফোরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। মজনু ফকিরের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে।
মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মঞ্জুর কাদের বাবুল খান বলেন, চরপাকেরদহ ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। ওই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। মাদারগঞ্জ মডেল থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সম্মেলনের মঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুর করা হয়েছে। ককটেল বিস্ফোরনের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।