রংপুরের কাউনিয়ায় নিখোঁজের ৪০ দিন পর সেফটি ট্যাংক থেকে এক শিশুর গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। অপরদিকে, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর নিখোঁজ এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণের মরদেহ জামালপুরের সরিষাবাড়ীর একটি ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই বিষয়ে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর
রংপুর : রংপুরের কাউনিয়ায় নিখোঁজের ৪০ দিন পর সেফটি ট্যাংক থেকে দোলা মনি নামে ৪ বছর বয়সী এক শিশুর গলিত মরদেহ একটি উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। এই ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামী নুরল ইসলামসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ধর্মেশ্বর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে দোলামনি ১৭ জানুয়ারী বাড়ির বাইরে খেলার সময় নিখোঁজ হয়। এই ব্যাপারে কাউনিয়া থানায় জিডি করার পরেও শিশুটির কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। অবশেষে বৃহসপতিবার বিকেলে দোলা মনির স্বজনরা পীরগাছা কাউনিয়া সেনা ক্যাম্পে লিখিত আবেদন করে নিখোঁজ শিশুকে উদ্ধারে সহায়তা চায়। পরে রংপুর ৭২ বিগ্রেডের অধীনে দায়িত্বপ্রাপ্ত ৩০ বেঙ্গল ইউনিটের ক্যাপ্টেন মেহেদী হাসান নিয়নের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টিম রাত ১১টায় ধর্মেশ্বর গ্রামে অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী নুর ইসলামসহ ৭ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে নুর ইসলাম দোলা মনিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার কথা স্বীকার করে, শিশুটির মরদেহ তার বাড়ির কাছেই জনৈক আফজালের বাসার পেছনে টয়লেটের সেপ্টিক ট্যাংকে ফেলে রাখার কথা স্বীকার করে। পরে সেনাবাহিনী ওই সেপ্টিক ট্যাংক থেকে দোলা মনির গলিত মরদেহ উদ্ধার করে। সেনাবাহিনী হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত নুরল ইসলাম, তার ছেলে মামুন এবং সহযোগী সুমনকে গ্রেপ্তার করে কাউনিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। কাউনিয়া থানার ওসি আব্দুল লতিফ জানান, পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী নুরল ইসলাম এবং তার সহযোগীরা শিশু দোলা মনিকে অপহরণ করে হত্যা করে, মরদেহ টয়লেটের সেপ্টিক ট্যাংকে ফেলে রাখে। এই ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা দেলোয়ার হোসেন বাদি হয়ে কাউনিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। শুক্রবার বিকেলে গ্রেপ্তারকৃত ৩ আসামীকে আদালতে চালান দেয়া হলে, আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ধনবাড়ী (টাঙ্গাইল) : টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি এলাকায় মাজারের ওরশ থেকে নিখোঁজ হওয়া মোমিন মিয়া নামে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণের মরদেহ জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের পরমান্দপুর এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সরিষাবাড়ী থানার ওসি চাঁদ মিয়া জানান, পর্শবর্তী ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি এলাকার নঈম চাঁনের মাজারের ওরশ থেকে শনিবার রাতে নিখোঁজ হন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণ মোমিন মিয়া।
বৃহস্পতিবার সকালে জামালপুরের সরিষাবাড়ী এবং টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার সীমানাবর্তী এলাকার ঝিনাই নদীর পাশের পরমান্দপুর এলাকার এক কৃষকের ধানের ক্ষেতের কাঁদা মাটিতে পড়ে থাকা এক ওই যুবকের মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার ও আইনী কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত মোমিন মিয়া টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি বড় ঝোপনা এলাকার মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।
শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫
রংপুরের কাউনিয়ায় নিখোঁজের ৪০ দিন পর সেফটি ট্যাংক থেকে এক শিশুর গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। অপরদিকে, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর নিখোঁজ এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণের মরদেহ জামালপুরের সরিষাবাড়ীর একটি ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই বিষয়ে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর
রংপুর : রংপুরের কাউনিয়ায় নিখোঁজের ৪০ দিন পর সেফটি ট্যাংক থেকে দোলা মনি নামে ৪ বছর বয়সী এক শিশুর গলিত মরদেহ একটি উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। এই ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামী নুরল ইসলামসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ধর্মেশ্বর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে দোলামনি ১৭ জানুয়ারী বাড়ির বাইরে খেলার সময় নিখোঁজ হয়। এই ব্যাপারে কাউনিয়া থানায় জিডি করার পরেও শিশুটির কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। অবশেষে বৃহসপতিবার বিকেলে দোলা মনির স্বজনরা পীরগাছা কাউনিয়া সেনা ক্যাম্পে লিখিত আবেদন করে নিখোঁজ শিশুকে উদ্ধারে সহায়তা চায়। পরে রংপুর ৭২ বিগ্রেডের অধীনে দায়িত্বপ্রাপ্ত ৩০ বেঙ্গল ইউনিটের ক্যাপ্টেন মেহেদী হাসান নিয়নের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টিম রাত ১১টায় ধর্মেশ্বর গ্রামে অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী নুর ইসলামসহ ৭ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে নুর ইসলাম দোলা মনিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার কথা স্বীকার করে, শিশুটির মরদেহ তার বাড়ির কাছেই জনৈক আফজালের বাসার পেছনে টয়লেটের সেপ্টিক ট্যাংকে ফেলে রাখার কথা স্বীকার করে। পরে সেনাবাহিনী ওই সেপ্টিক ট্যাংক থেকে দোলা মনির গলিত মরদেহ উদ্ধার করে। সেনাবাহিনী হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত নুরল ইসলাম, তার ছেলে মামুন এবং সহযোগী সুমনকে গ্রেপ্তার করে কাউনিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। কাউনিয়া থানার ওসি আব্দুল লতিফ জানান, পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী নুরল ইসলাম এবং তার সহযোগীরা শিশু দোলা মনিকে অপহরণ করে হত্যা করে, মরদেহ টয়লেটের সেপ্টিক ট্যাংকে ফেলে রাখে। এই ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা দেলোয়ার হোসেন বাদি হয়ে কাউনিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। শুক্রবার বিকেলে গ্রেপ্তারকৃত ৩ আসামীকে আদালতে চালান দেয়া হলে, আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ধনবাড়ী (টাঙ্গাইল) : টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি এলাকায় মাজারের ওরশ থেকে নিখোঁজ হওয়া মোমিন মিয়া নামে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণের মরদেহ জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের পরমান্দপুর এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সরিষাবাড়ী থানার ওসি চাঁদ মিয়া জানান, পর্শবর্তী ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি এলাকার নঈম চাঁনের মাজারের ওরশ থেকে শনিবার রাতে নিখোঁজ হন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণ মোমিন মিয়া।
বৃহস্পতিবার সকালে জামালপুরের সরিষাবাড়ী এবং টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার সীমানাবর্তী এলাকার ঝিনাই নদীর পাশের পরমান্দপুর এলাকার এক কৃষকের ধানের ক্ষেতের কাঁদা মাটিতে পড়ে থাকা এক ওই যুবকের মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার ও আইনী কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত মোমিন মিয়া টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি বড় ঝোপনা এলাকার মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।