একটানা ১২ দিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৩য় ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে।
শনিবার বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে ২৭৫ মেগাওয়াটের তৃতীয় ইউনিট থেকে উৎপাদিত ১৮০-১৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিড সরবরাহ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটও উৎপাদনে রয়েছে। একসঙ্গে দুই ইউনিট চালু হওয়ায় এ অঞ্চলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা অনেকটা কমবে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া বন্ধ থাকা ২ নম্বরটি চালুর লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়ার কথা জানান তিনি।
১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল পোনে ৩টায় পানির বয়লারের পাইপ ফাটে ও বিয়ারিং ভেঙে ২৭৫ মেগাওয়াটের ৩ নম্বর ইউনিটটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বয়লারের টিউব ফেটে গেলে ১ নম্বর ইউনিটটিও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় ৫২৫ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের উৎপাদন কার্যক্রম। বিদুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি চার দিন বন্ধ থাকার পর মেরামত শেষে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ নম্বর ইউনিট উৎপাদন শুরু হয়। ১ নম্বর ইউনিটটি চালু রাখতে প্রতিদিন ৮০০ থেকে হাজার ৯০০ মেট্রিক টন কয়লা দরকার হচ্ছে।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট ২ নম্বর ইউনিটটি ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে সংস্কার কাজ চলায় ৪ বছর তিন মাস ধরে ২ নম্বর ইউনিটে উৎপাদন এখনও বন্ধ। ২ নম্বর ইউনিট ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার হলেও ৬৫-৭০ মেগাওয়াট উৎপাদন হতো। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির তিনটি ইউনিট চালু রেখে স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার ২শ’ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন পড়ে। তবে, আজ পর্যন্ত তিনটি ইউনিট একই সঙ্গে কখনই চালানো সম্ভব হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কোল ইয়ার্ডে কয়লা মজুত রয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার মে. টন কয়লা। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে দৈনিক কয়লা সরবরাহ করা হয় প্রায় ৪ হাজার মে. টন।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির সরবরাহকৃত কয়লার ওপর নির্ভর করে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।
রোববার, ০২ মার্চ ২০২৫
একটানা ১২ দিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৩য় ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে।
শনিবার বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে ২৭৫ মেগাওয়াটের তৃতীয় ইউনিট থেকে উৎপাদিত ১৮০-১৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিড সরবরাহ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটও উৎপাদনে রয়েছে। একসঙ্গে দুই ইউনিট চালু হওয়ায় এ অঞ্চলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা অনেকটা কমবে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া বন্ধ থাকা ২ নম্বরটি চালুর লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়ার কথা জানান তিনি।
১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল পোনে ৩টায় পানির বয়লারের পাইপ ফাটে ও বিয়ারিং ভেঙে ২৭৫ মেগাওয়াটের ৩ নম্বর ইউনিটটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বয়লারের টিউব ফেটে গেলে ১ নম্বর ইউনিটটিও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় ৫২৫ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের উৎপাদন কার্যক্রম। বিদুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি চার দিন বন্ধ থাকার পর মেরামত শেষে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ নম্বর ইউনিট উৎপাদন শুরু হয়। ১ নম্বর ইউনিটটি চালু রাখতে প্রতিদিন ৮০০ থেকে হাজার ৯০০ মেট্রিক টন কয়লা দরকার হচ্ছে।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট ২ নম্বর ইউনিটটি ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে সংস্কার কাজ চলায় ৪ বছর তিন মাস ধরে ২ নম্বর ইউনিটে উৎপাদন এখনও বন্ধ। ২ নম্বর ইউনিট ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার হলেও ৬৫-৭০ মেগাওয়াট উৎপাদন হতো। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির তিনটি ইউনিট চালু রেখে স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার ২শ’ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন পড়ে। তবে, আজ পর্যন্ত তিনটি ইউনিট একই সঙ্গে কখনই চালানো সম্ভব হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কোল ইয়ার্ডে কয়লা মজুত রয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার মে. টন কয়লা। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে দৈনিক কয়লা সরবরাহ করা হয় প্রায় ৪ হাজার মে. টন।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির সরবরাহকৃত কয়লার ওপর নির্ভর করে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।