উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় ১২ মাসই বিভিন্ন প্রজাতির মাছ উৎপাদন হয়। এসব মাছের মধ্যে লোনা পানির বাগদা ও গলদা চিংড়ি ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়। এছাড়া মিঠাপানির মাছ উৎপাদন হয় বছরে দেড় লক্ষাধিক টন, যার ৮০ শতাংশই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। তবে কয়েক বছর ধরে চ্যাপা শুঁটকি রফতানি হচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে।
জেলার বিনেরপোতা এলাকার বেতনা নদীর পাড়ে গড়ে উঠেছে শুঁটকিপল্লী। প্রতিদিন নদী থেকে পুঁটি মাছ সংগ্রহ করার পর তা বিশেষ প্রক্রিয়ায় শুঁটকি করা হয়। শুঁটকিপল্লী ঘিরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে অনেকের। শুঁটকি উৎপাদন বাড়াতে জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাসও দেয়া হচ্ছে।
শুঁটকি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স প্রান্তি এন্টাপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী প্রশান্ত কুমার জানান, জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মিঠাপানির পুঁটি মাছ সংগ্রহ করার পর তাতে লবণ মিশিয়ে শুঁটকি করা হয়।
এরপর বাছাই করে তা নীলফামারী, রংপুর ও চট্টগ্রামে সরবরাহ করা হয়। প্রতি কেজি শুঁটকি ২৮০-৩০০ টাকায় বিক্রি করেন। ভারতেও রপ্তানি হয় এসব শুঁটকি। বছরে ৪০০-৪৫০ মণ শুঁটকি উৎপাদন করেন তিনি।
সাতক্ষীরার বল্লী গ্রামের সাধন কুমার পুঁটি মাছের পাশাপাশি সিলভার কার্প, মৃগেল ও তেলাপায়িা মাছ শুঁটকি করে বিক্রি করেন।
প্রতি বছর ৩০০-৩৫০ মণ শুঁটকি উৎপাদন করেন তিনি। এরপর এসব শুঁটকি চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। প্রকারভেদে প্রতি মণ শুঁটকি ১১-১২ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
শুঁটকি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান নীলফামারীর সৈয়দপুরের মেসার্স সাহরিয়ার এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. সাহাবুদ্দিন জানান, ভারতের বাজারে চ্যাপা শুঁটকির বেশ চাহিদা রয়েছে। প্রতি মৌসুমে সাতক্ষীরা থেকে ৪৫০-৫০০ টন শুঁটকি সংগ্রহ করেন। এরপর তা ভারতে রপ্তানি করেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাতক্ষীরায় বিপুল পরিমাণ মিঠাপানির মাছ উৎপাদন হয়। ভরা মৌসুমে অর্থাৎ ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এসব মাছের দাম থাকে তুলনামূলক কম। বছরের এ সময় এসব মাছ যদি শুঁটকি করে বাজারজাত করা হয়, তাহলে লাভবান হতে পারবেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জিএম সেলিম বলেন, মাছ চাষে সমৃদ্ধ জেলা সাতক্ষীরা। রপ্তানিজাত বাগদা ও গলদার পাশাপাশি বছরে বিপুল পরিমাণ মিঠাপানির মাছ উৎপাদন হচ্ছে এখানে।
কিছু ব্যবসায়ী বিচ্ছিন্নভাবে পুঁটিসহ মিঠাপানির মাছ শুঁটকি করে ভারতে রফতানি করছেন। ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল-মে পর্যন্ত বাজারে প্রচুর পরিমাণে মিঠাপানির মাছ পাওয়া যায়, যা বছরের অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক সাশ্রয় দামে বিক্রি হয়।
ওই সময় এসব মাছ শুঁটকি করে বিক্রি করতে পারলে ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। শুঁটকি উৎপাদনে এগিয়ে আসতে ব্যবসায়ীদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে তাদের সরকারিভাবে সহযোগিতাও করা হবে।
রোববার, ০২ মার্চ ২০২৫
উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় ১২ মাসই বিভিন্ন প্রজাতির মাছ উৎপাদন হয়। এসব মাছের মধ্যে লোনা পানির বাগদা ও গলদা চিংড়ি ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়। এছাড়া মিঠাপানির মাছ উৎপাদন হয় বছরে দেড় লক্ষাধিক টন, যার ৮০ শতাংশই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। তবে কয়েক বছর ধরে চ্যাপা শুঁটকি রফতানি হচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে।
জেলার বিনেরপোতা এলাকার বেতনা নদীর পাড়ে গড়ে উঠেছে শুঁটকিপল্লী। প্রতিদিন নদী থেকে পুঁটি মাছ সংগ্রহ করার পর তা বিশেষ প্রক্রিয়ায় শুঁটকি করা হয়। শুঁটকিপল্লী ঘিরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে অনেকের। শুঁটকি উৎপাদন বাড়াতে জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাসও দেয়া হচ্ছে।
শুঁটকি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স প্রান্তি এন্টাপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী প্রশান্ত কুমার জানান, জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মিঠাপানির পুঁটি মাছ সংগ্রহ করার পর তাতে লবণ মিশিয়ে শুঁটকি করা হয়।
এরপর বাছাই করে তা নীলফামারী, রংপুর ও চট্টগ্রামে সরবরাহ করা হয়। প্রতি কেজি শুঁটকি ২৮০-৩০০ টাকায় বিক্রি করেন। ভারতেও রপ্তানি হয় এসব শুঁটকি। বছরে ৪০০-৪৫০ মণ শুঁটকি উৎপাদন করেন তিনি।
সাতক্ষীরার বল্লী গ্রামের সাধন কুমার পুঁটি মাছের পাশাপাশি সিলভার কার্প, মৃগেল ও তেলাপায়িা মাছ শুঁটকি করে বিক্রি করেন।
প্রতি বছর ৩০০-৩৫০ মণ শুঁটকি উৎপাদন করেন তিনি। এরপর এসব শুঁটকি চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। প্রকারভেদে প্রতি মণ শুঁটকি ১১-১২ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
শুঁটকি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান নীলফামারীর সৈয়দপুরের মেসার্স সাহরিয়ার এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. সাহাবুদ্দিন জানান, ভারতের বাজারে চ্যাপা শুঁটকির বেশ চাহিদা রয়েছে। প্রতি মৌসুমে সাতক্ষীরা থেকে ৪৫০-৫০০ টন শুঁটকি সংগ্রহ করেন। এরপর তা ভারতে রপ্তানি করেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাতক্ষীরায় বিপুল পরিমাণ মিঠাপানির মাছ উৎপাদন হয়। ভরা মৌসুমে অর্থাৎ ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এসব মাছের দাম থাকে তুলনামূলক কম। বছরের এ সময় এসব মাছ যদি শুঁটকি করে বাজারজাত করা হয়, তাহলে লাভবান হতে পারবেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জিএম সেলিম বলেন, মাছ চাষে সমৃদ্ধ জেলা সাতক্ষীরা। রপ্তানিজাত বাগদা ও গলদার পাশাপাশি বছরে বিপুল পরিমাণ মিঠাপানির মাছ উৎপাদন হচ্ছে এখানে।
কিছু ব্যবসায়ী বিচ্ছিন্নভাবে পুঁটিসহ মিঠাপানির মাছ শুঁটকি করে ভারতে রফতানি করছেন। ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল-মে পর্যন্ত বাজারে প্রচুর পরিমাণে মিঠাপানির মাছ পাওয়া যায়, যা বছরের অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক সাশ্রয় দামে বিক্রি হয়।
ওই সময় এসব মাছ শুঁটকি করে বিক্রি করতে পারলে ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। শুঁটকি উৎপাদনে এগিয়ে আসতে ব্যবসায়ীদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে তাদের সরকারিভাবে সহযোগিতাও করা হবে।