পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর, জলাশয়, ডোবা ও বিল-ঝিলে পানি কমে যাওয়ায় নিরবিঘ্নে ছোট-বড় মাছ ধরার মহোৎসব কুরু হয়। শীত মৌসুমের এই সময় পলো দিয়ে মাছ ধরার উৎসব চলতে থাকে। কিন্তু কালের আবর্তে জনপ্রিয় এই উৎসব বিলুপ্ত হতে চলছে।
উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন খালে পেশাদার ও অপেশাদার জেলেরা মাছ ধরার পলো নিয়ে খালে ঝাপিয়ে পড়ে। উপজেলার মাছের ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত আলীপুরা, বাঁশবাড়িয়া, রনগোপালদী, চরবোরহান, দশমিনা, বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নসহ চরাঞ্চল এখন মাছশূন্য হয়ে গেছে। উল্লেখিত এলাকায় বোয়াল, মাগুর, শিং, কৈ, টেংরা, শোল, টাকি, পুটি, গজার, চাপিলা, খৈইলশা, পাবদা, আইড়, চিংড়ি, মলা, বাইন, বেলেসহ অর্ধশতাধিক প্রজাতির মাছ প্রায় বিলুপ্ত হওয়ার পথে রয়েছে। ফলে পলো দিয়ে মাছ ধরার দৃশ্য এখন আর আগের মতো দেখা যায় না।
উপজেলার সর্বত্র নিষিদ্ধ ঘোষিত জালের অবাধ ব্যবহার, কৃষিজমিতে সার ও কীটনাশকের ব্যাপক ব্যবহার, বর্ষাকালে প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মা মাছসহ পোনা নিধন, শুস্ক মৌসুমে মাছ ধরার প্রবণতা এবং মাছের বিচরন ক্ষেত্র কমে যাওয়াসহ প্রভৃতি কারণে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক ফসল হিসাবে পরিচিত মৎস্যসম্পদ আজ বিলুপ্ত হতে চলছে।
এছাড়া মাছের প্রজনন মৌসুম ও পোনা মাছের বৃদ্ধিকালীন অবাধে ছোট-বড় মাছ ধরা এবং মৎস্য আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় মৎস্যসম্পদ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। বিগত ২২ বছর আগে গ্রামাঞ্চলে সর্বত্র দেশি প্রজাতির মাছ পাওয়া গেলেও এখন আর সেই অবস্থা নেই। চাষকৃত মাছের কাছে দেশি প্রজাতির মাছ টিকতে না পেরে হারিয়ে যাচ্ছে। মাছ না থাকায় পলো উৎসব এখন আর আগের মত জমছে না।
রোববার, ০২ মার্চ ২০২৫
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর, জলাশয়, ডোবা ও বিল-ঝিলে পানি কমে যাওয়ায় নিরবিঘ্নে ছোট-বড় মাছ ধরার মহোৎসব কুরু হয়। শীত মৌসুমের এই সময় পলো দিয়ে মাছ ধরার উৎসব চলতে থাকে। কিন্তু কালের আবর্তে জনপ্রিয় এই উৎসব বিলুপ্ত হতে চলছে।
উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন খালে পেশাদার ও অপেশাদার জেলেরা মাছ ধরার পলো নিয়ে খালে ঝাপিয়ে পড়ে। উপজেলার মাছের ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত আলীপুরা, বাঁশবাড়িয়া, রনগোপালদী, চরবোরহান, দশমিনা, বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নসহ চরাঞ্চল এখন মাছশূন্য হয়ে গেছে। উল্লেখিত এলাকায় বোয়াল, মাগুর, শিং, কৈ, টেংরা, শোল, টাকি, পুটি, গজার, চাপিলা, খৈইলশা, পাবদা, আইড়, চিংড়ি, মলা, বাইন, বেলেসহ অর্ধশতাধিক প্রজাতির মাছ প্রায় বিলুপ্ত হওয়ার পথে রয়েছে। ফলে পলো দিয়ে মাছ ধরার দৃশ্য এখন আর আগের মতো দেখা যায় না।
উপজেলার সর্বত্র নিষিদ্ধ ঘোষিত জালের অবাধ ব্যবহার, কৃষিজমিতে সার ও কীটনাশকের ব্যাপক ব্যবহার, বর্ষাকালে প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মা মাছসহ পোনা নিধন, শুস্ক মৌসুমে মাছ ধরার প্রবণতা এবং মাছের বিচরন ক্ষেত্র কমে যাওয়াসহ প্রভৃতি কারণে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক ফসল হিসাবে পরিচিত মৎস্যসম্পদ আজ বিলুপ্ত হতে চলছে।
এছাড়া মাছের প্রজনন মৌসুম ও পোনা মাছের বৃদ্ধিকালীন অবাধে ছোট-বড় মাছ ধরা এবং মৎস্য আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় মৎস্যসম্পদ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। বিগত ২২ বছর আগে গ্রামাঞ্চলে সর্বত্র দেশি প্রজাতির মাছ পাওয়া গেলেও এখন আর সেই অবস্থা নেই। চাষকৃত মাছের কাছে দেশি প্রজাতির মাছ টিকতে না পেরে হারিয়ে যাচ্ছে। মাছ না থাকায় পলো উৎসব এখন আর আগের মত জমছে না।