চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় চলতি রবি মৌসুমে ভুট্টা চাষের বিপ্লব ঘটেছে। অল্প পুঁজি ও স¦ল্প পরিশ্রমে অধিক লাভবান হওয়ায় এলাকার চাষিরা এবারও ব্যাপকভাবে ভুট্টা চাষে দিকে ঝুঁকে পড়ে। বাজার দর ভালো থাকায় গ্রামীণ অর্থণীতি চাঙ্গার হাত ছানি দিচ্ছে। প্রাকৃতিক কোনো বড় ধারনের দুর্যোগ দেখা না দিলে ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভবনা বিরাজ করছে।
উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা, মদনা, কুড়ালগাছি, চন্দ্রবাস, জুড়ানপুর, জয়রামপুর, দেউলি, নতিপোতা, কলাবাড়ি, গোপালপুর, লোকনাথপুর এলাকায় ব্যাপক ভাবে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। ভুট্টা চাষি দশমী গ্রামের হাফিজুর, বদন পুর গ্রামের মোফাজেজ্জল, নাপিতখালী গ্রামের নজরুল, জয়রামপুর গ্রামের সাত্তার বলেন, প্রতি বছর আমরা আগাম জাতের ভুট্টার চাষ করে থাকি। বছর ভুট্টা উঠার সঙ্গে সঙ্গে ডেপ ভুট্টা ভালো দামে বিক্রি করেছি। পরে দাম কমে গেলে ভুট্টা চাষিরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ভুট্টা কম বেশি যা-ই আবাদ হক। চাই ভুট্টার সুষ্ঠু বাজার দর। সরকারিভাবে ভুট্টার বাজার দর বেঁধে দিলে চাষিরা উপকৃত হবে। নচেৎ মধ্যস্বত্ত্বভোগিরা লাভবান হলেও লোকসানের বোঝা মাথায় চেপে যাবে চাষিদের। তারা বলেন, ভুট্টা চাষে একদিকে খরচ কম অন্যদিকে ফলন ও লাভও অনেক বেশি। কারণ হিসেবে তারা আরও বলেন, ভরা মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলেও এ ফসলের তেমন একটা ক্ষতি হয় না। কিন্তু অন্য ফসলে চাষিরা আর্থিকভাবে লোকসানের সম্মুখীন হন। অপর দিকে রবি মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়লেও ভুট্টার ফলন তুলনামুলক ভালো পাওয়া যায়। যেখানে সেচ সুবিধা আছে সেখানে ধানের পর পরই কৃষি আবাদের তালিকায় শীর্ষ স্থান দখল করে নিয়েছে ভুট্টা। বর্তমানে ভুট্টার বহুমুখী ব্যাবহার শুরু হয়েছে। আবার অন্যান্য ফসলের চেয়ে ভুট্টার ফলনও বেশি হয়। বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে চাষিরা বিঘাপ্রতি ২৫-৩০ মণ ভুট্টা ঘরে তুলতে পারে। প্রাকৃতিকভাবে সহনশীল, অল্প খরচ, রোগবালাই কম এবং অধিক ফলনের কারণে রবি মৌসুমে ভুট্টার আবাদ বেশি হয়ে থাকে। স্থানীয় বাজারে নুতন ভুট্টা বাজারে আসতে দেরি আছে।
রোববার, ০২ মার্চ ২০২৫
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় চলতি রবি মৌসুমে ভুট্টা চাষের বিপ্লব ঘটেছে। অল্প পুঁজি ও স¦ল্প পরিশ্রমে অধিক লাভবান হওয়ায় এলাকার চাষিরা এবারও ব্যাপকভাবে ভুট্টা চাষে দিকে ঝুঁকে পড়ে। বাজার দর ভালো থাকায় গ্রামীণ অর্থণীতি চাঙ্গার হাত ছানি দিচ্ছে। প্রাকৃতিক কোনো বড় ধারনের দুর্যোগ দেখা না দিলে ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভবনা বিরাজ করছে।
উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা, মদনা, কুড়ালগাছি, চন্দ্রবাস, জুড়ানপুর, জয়রামপুর, দেউলি, নতিপোতা, কলাবাড়ি, গোপালপুর, লোকনাথপুর এলাকায় ব্যাপক ভাবে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। ভুট্টা চাষি দশমী গ্রামের হাফিজুর, বদন পুর গ্রামের মোফাজেজ্জল, নাপিতখালী গ্রামের নজরুল, জয়রামপুর গ্রামের সাত্তার বলেন, প্রতি বছর আমরা আগাম জাতের ভুট্টার চাষ করে থাকি। বছর ভুট্টা উঠার সঙ্গে সঙ্গে ডেপ ভুট্টা ভালো দামে বিক্রি করেছি। পরে দাম কমে গেলে ভুট্টা চাষিরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ভুট্টা কম বেশি যা-ই আবাদ হক। চাই ভুট্টার সুষ্ঠু বাজার দর। সরকারিভাবে ভুট্টার বাজার দর বেঁধে দিলে চাষিরা উপকৃত হবে। নচেৎ মধ্যস্বত্ত্বভোগিরা লাভবান হলেও লোকসানের বোঝা মাথায় চেপে যাবে চাষিদের। তারা বলেন, ভুট্টা চাষে একদিকে খরচ কম অন্যদিকে ফলন ও লাভও অনেক বেশি। কারণ হিসেবে তারা আরও বলেন, ভরা মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলেও এ ফসলের তেমন একটা ক্ষতি হয় না। কিন্তু অন্য ফসলে চাষিরা আর্থিকভাবে লোকসানের সম্মুখীন হন। অপর দিকে রবি মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়লেও ভুট্টার ফলন তুলনামুলক ভালো পাওয়া যায়। যেখানে সেচ সুবিধা আছে সেখানে ধানের পর পরই কৃষি আবাদের তালিকায় শীর্ষ স্থান দখল করে নিয়েছে ভুট্টা। বর্তমানে ভুট্টার বহুমুখী ব্যাবহার শুরু হয়েছে। আবার অন্যান্য ফসলের চেয়ে ভুট্টার ফলনও বেশি হয়। বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে চাষিরা বিঘাপ্রতি ২৫-৩০ মণ ভুট্টা ঘরে তুলতে পারে। প্রাকৃতিকভাবে সহনশীল, অল্প খরচ, রোগবালাই কম এবং অধিক ফলনের কারণে রবি মৌসুমে ভুট্টার আবাদ বেশি হয়ে থাকে। স্থানীয় বাজারে নুতন ভুট্টা বাজারে আসতে দেরি আছে।