alt

সারাদেশ

শরীয়তপুরে গণপিটুনির ঘটনায় আরও এক ডাকাতের মৃত্যু

প্রতিনিধি, শরীয়তপুর : রোববার, ০২ মার্চ ২০২৫

শরীয়তপুরে ডাকাতি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় গণপিটুনির ঘটনায় আরেকজন ডাকাতের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ডাকাত সদস্যের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে গণপিটুনির ঘটনায় তিন ব্যক্তির মৃত্যু হলো। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত একজনের পরিচয় জানতে পেরেছে পুলিশ।

নিহতদের মধ্যে যার পরিচয় মিলেছে তার নাম এবাদুল ব্যাপারী (৪৮)। তিনি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কানারগাঁও এলাকার রহমত আলীর ছেলে। আঙুলের ছাপের (ফিঙ্গার প্রিন্ট) সাহায্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের পর এবাদুলের মরদেহ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের কাছে মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঘটনার সূত্রপাত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া এলাকার কীর্তিনাশা নদীতে। পুলিশ বলছে, ডাকাতি করতে গিয়ে পালানোর সময় স্থানীয় জনতার রোষানলে পড়ে গণপিটুনির শিকার হয় একদল ডাকাত। এ সময় ডাকাত দলের এলোপাতাড়ি গুলিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে অন্তত ৮ জন আহত হন।

নিহত দুই ব্যক্তির পরিচয় এখনও পায়নি পুলিশ। তাদের পরিচয় শনাক্তের জন্য হাত ও আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের অপরাধ তদন্ত বিশ্লেষণ শাখা। আহত ডাকাত দলের সদস্যদের দেয়া তথ্যে চারজনের পরিচয় পেয়েছে পুলিশ। তারা হলেন মুন্সীগঞ্জের কালিয়ারচর এলাকার রিপন (৪০), বাংলাবাজার এলাকার রাকিব গাজী (৩০), শরীয়তপুরের জাজিরার কুণ্ডেরচর এলাকার আনোয়ার দেওয়ান (৫০), মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকার সজীব(৩০)।

শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, গণপিটুনির ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাস্থলে দুজন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে একজন মারা গেছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গেছে। ওই ব্যক্তি আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের একাধিক মামলা রয়েছে।

শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রাজারচর এলাকায় কীর্তিনাশা নদীতে বাল্কহেডে করে ডাকাতি করতে আসে ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল। তখন ওই এলাকার নৌযানের শ্রমিক ও স্থানীয় জনতা ডাকাত দলকে ধাওয়া করেন। তখন ডাকাত দলের সদস্যরা গুলি, ককটেল, বোমা ছুড়ে স্পিডবোটে করে কীর্তিনাশা নদী দিয়ে পালাতে থাকেন।

গাজীপুরে নারী শ্রমিকের মৃত্যু: মহাসড়ক অবরোধ, ভাংচুর-অগ্নি সংযোগ, ১২ কারখানায় ছুটি

নড়াইলে নির্বাচন কর্মকর্তার ঘুষের প্রতিবাদ করায় ইউপি সদস্যসহ দুইজন গ্রেপ্তার মানববন্ধন-বিক্ষোভ মিছিল

নরসিংদীতে তিন বছরের শিশুকে হত্যা করেছে মা

মুন্সীগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় চালক নিহত

শ্রমিক আন্দোলনের মুখে এসকিউ সেলসিয়াস অনির্দিষ্টকালের বন্ধ

টেকনাফে অপহরণের পর নৌবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার ১

মাগুরা মেডিকেল কলেজ বন্ধ করে একীভূত করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ

মহম্মদপুরে বইমেলা, গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

সৈয়দপুরে রঙিন ফুলকপি চাষে লাভবান কৃষক

‘জবই বিলের মৎস্যজীবীদের ভাগ্য উন্নয়নে নতুন প্রকল্প করা হবে’

দামুড়হুদায় ভুট্টা চাষে বিপ্লব

জাতীয় ভোটার দিবস পালিত

কুয়াকাটায় ইয়াবা ও ফিশিং ট্রলারসহ ১৬ পাচারকারী আটক

সুন্দরবনের অস্ত্রসহ দস্যু বাহিনীর ৭ সদস্য আটক

বাঁশখালীতে অটোচালককে ছুরকিাঘাতে হত্যা

দশমিনায় বিলুপ্তির পথে পলো উৎসব

পটুয়াখালীতে সন্ত্রাসীদের ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীর পরিবার

ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণ গেল কৃষকের

বাগেরহাটে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৬

রাতেই পাল্টাপাল্টি মিছিল সংবাদ সম্মেলন

শেষ হয়নি মেরামতের কাজ, ভোগান্তিতে সেবাপ্রার্থীরা

মধুপুর আবিমা অঞ্চলে এখনো টিকে আছে গারোদের খিম্মা সঙা

শৈলকুপায় দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৫০

সিলেটজুড়ে খেজুরে সয়লাব, চাহিদা অনুযায়ী দাম নেই

গোবিন্দগঞ্জে ভুট্টা চাষে ঝুঁকছে কৃষকরা

সাতক্ষীরার চ্যাপা শুঁটকি যাচ্ছে ভারতে

কলারোয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা

বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবকের মরদেহ হস্তান্তর

এনাম মেডিকেলের বেতন-বোনাস বৃদ্ধির দাবিতে কর্মবিরতি

মীরসরাইয়ে নারীর ছিন্নভিন্ন মরদেহ উদ্ধার

শিবগঞ্জে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

কালিয়াকৈরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০

চাটখিলে সন্ত্রাসী হামলায় আহত ৪, থানায় অভিযোগ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রবাসীর গাড়িতে ডাকাতি

বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটে উৎপাদন শুরু

সূলভ মূল্যে পণ্যসামগ্রী বিক্রি হবে - মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

tab

সারাদেশ

শরীয়তপুরে গণপিটুনির ঘটনায় আরও এক ডাকাতের মৃত্যু

প্রতিনিধি, শরীয়তপুর

রোববার, ০২ মার্চ ২০২৫

শরীয়তপুরে ডাকাতি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় গণপিটুনির ঘটনায় আরেকজন ডাকাতের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ডাকাত সদস্যের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে গণপিটুনির ঘটনায় তিন ব্যক্তির মৃত্যু হলো। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত একজনের পরিচয় জানতে পেরেছে পুলিশ।

নিহতদের মধ্যে যার পরিচয় মিলেছে তার নাম এবাদুল ব্যাপারী (৪৮)। তিনি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কানারগাঁও এলাকার রহমত আলীর ছেলে। আঙুলের ছাপের (ফিঙ্গার প্রিন্ট) সাহায্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের পর এবাদুলের মরদেহ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের কাছে মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঘটনার সূত্রপাত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া এলাকার কীর্তিনাশা নদীতে। পুলিশ বলছে, ডাকাতি করতে গিয়ে পালানোর সময় স্থানীয় জনতার রোষানলে পড়ে গণপিটুনির শিকার হয় একদল ডাকাত। এ সময় ডাকাত দলের এলোপাতাড়ি গুলিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে অন্তত ৮ জন আহত হন।

নিহত দুই ব্যক্তির পরিচয় এখনও পায়নি পুলিশ। তাদের পরিচয় শনাক্তের জন্য হাত ও আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের অপরাধ তদন্ত বিশ্লেষণ শাখা। আহত ডাকাত দলের সদস্যদের দেয়া তথ্যে চারজনের পরিচয় পেয়েছে পুলিশ। তারা হলেন মুন্সীগঞ্জের কালিয়ারচর এলাকার রিপন (৪০), বাংলাবাজার এলাকার রাকিব গাজী (৩০), শরীয়তপুরের জাজিরার কুণ্ডেরচর এলাকার আনোয়ার দেওয়ান (৫০), মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকার সজীব(৩০)।

শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, গণপিটুনির ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাস্থলে দুজন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে একজন মারা গেছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গেছে। ওই ব্যক্তি আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের একাধিক মামলা রয়েছে।

শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রাজারচর এলাকায় কীর্তিনাশা নদীতে বাল্কহেডে করে ডাকাতি করতে আসে ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল। তখন ওই এলাকার নৌযানের শ্রমিক ও স্থানীয় জনতা ডাকাত দলকে ধাওয়া করেন। তখন ডাকাত দলের সদস্যরা গুলি, ককটেল, বোমা ছুড়ে স্পিডবোটে করে কীর্তিনাশা নদী দিয়ে পালাতে থাকেন।

back to top