সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ ৮ জন দগ্ধ হয়েছেন। সোমবার (৩ মার্চ) ভোর রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের পশ্চিম ধনকুন্ডা শান্তিবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পাশাপাশি ২টি ঘরে বসবাসরত ৮ জন দগ্ধ হয়েছে। স্থানীয়রা দগ্ধ অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেছেন। দগ্ধরা হলেন- রিকশাচালক হান্নান (৪০), তার স্ত্রী নুরজাহান লাকী (৩০), মেয়ে জান্নাত (৩), সামিয়া (৯) ও ছেলে সাব্বির (১৬) এবং আরেক পরিবারের পোশাক শ্রমিক সোহাগ (২৩), তার স্ত্রী রুপালি (২০) ও তাদের একমাত্র দেড় বছর বয়সি মেয়ে সুমাইয়া।
জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের পশ্চিম ধনকুন্ডা শান্তিবাগ এলাকায় ইব্রাহিম খলিলের টিনশেড বাড়ীতে রিকশাচালক হান্নান ও পোশাক শ্রমিক সোহাগ ভাড়ায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। সোমবার ভোর রাতে হঠাৎ করেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলে ঘরে থাকা এই দুই পরিবারের ৮ জনই দগ্ধ হয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়। বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. কারণ বিন রহমান গণমাধ্যমকে জানান, হান্নানের শরীরে ৪৫ শতাংশ, নুরজাহানের ২২ শতাংশ, জান্নাতের ৩ শতাংশ, সামিয়ার ৭ শতাংশ, সাব্বিরের ২৭ শতাংশ, সোহাগের ৪০ শতাংশ, রুপালির ৩৪ শতাংশ ও সুমাইয়ার ৪৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। সে আরও জানায়, শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় আটজনের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনে দুই পরিবারের শিশুসহ আটজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার রাত আড়াইটার দিকে পশ্চিম ধনকুন্ডা এলাকায় ইব্রাহিম খলিলের টিনসেড বাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, দুই কক্ষবিশিষ্ট সেমিপাকা টিনসেড ঘরের নিচ দিয়ে গ্যাসের লাইন গেছে। সেখান থেকে কোনোভাবে গ্যাস লিকেজ হয় এবং এর থেকে কক্ষের ভেতর গ্যাস চেম্বারের সৃষ্টি হয়। যে কোনোভাবে আগুনের স্পার্কের সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটে এবং অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়।
দগ্ধরা হলেন— রিকশাচালক হান্নান (৪০), তার স্ত্রী পোশাক শ্রমিক নুরজাহান আক্তার লাকী (৩০), মেয়ে জান্নাত (৩), মেয়ে সামিয়া (৯), ছেলে সাব্বির (১৬) এবং আরেক পরিবারের পোশাক শ্রমিক সোহাগ (২৩), তার স্ত্রী পোশাক শ্রমিক রুপালি (২০) ও তাদের একমাত্র দেড় বছর বয়সি মেয়ে সুমাইয়া।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. কারণ বিন রহমান জানান, হান্নানের শরীরে ৪৫ শতাংশ, নুরজাহানের ২২ শতাংশ, জান্নাতের ৩ শতাংশ, সামিয়ার ৭ শতাংশ, সাব্বিরের ২৭ শতাংশ, সোহাগের ৪০ শতাংশ, রুপালির ৩৪ শতাংশ ও সুমাইয়ার ৪৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
ইনস্টিটিউটটির পরিচালক ডা. নাসির উদ্দিন জানান, শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় আটজনের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রাখা হয়েছে।
প্রতিবেশীরা জানান, বিস্ফোরণের শব্দ শুনে তারা ঘর থেকে হয়ে পাশাপাশি দুটি কক্ষে আগুন জ্বলতে দেখেন। দগ্ধ অবস্থায় সোহাগ ও রূপালী ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। পরে দরজা ভেঙে বাকি দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
আহত রূপালীর ভগ্নিপতি মোস্তাফিজুর রহমান রনি বলেন, ‘ঘটনার সময় সবাই ছিল ঘুমে। ঘুমন্ত অবস্থাতেই তারা দগ্ধ হন। ঘরের থেকে রান্নাঘর আরও ১০ মিটার দূরে হলেও ঘরের পাশে গ্যাস রাইজার আছে। সেইখান থেকে গ্যাস লিক হইতে পারে।’
চিকিৎসকের বরাতে তিনি জানান, রূপালী, তার স্বামী সোহাগ ও একমাত্র কন্যা সুমাইয়া তিনজনই আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। সুমাইয়াকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
সোমবার, ০৩ মার্চ ২০২৫
সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ ৮ জন দগ্ধ হয়েছেন। সোমবার (৩ মার্চ) ভোর রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের পশ্চিম ধনকুন্ডা শান্তিবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পাশাপাশি ২টি ঘরে বসবাসরত ৮ জন দগ্ধ হয়েছে। স্থানীয়রা দগ্ধ অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেছেন। দগ্ধরা হলেন- রিকশাচালক হান্নান (৪০), তার স্ত্রী নুরজাহান লাকী (৩০), মেয়ে জান্নাত (৩), সামিয়া (৯) ও ছেলে সাব্বির (১৬) এবং আরেক পরিবারের পোশাক শ্রমিক সোহাগ (২৩), তার স্ত্রী রুপালি (২০) ও তাদের একমাত্র দেড় বছর বয়সি মেয়ে সুমাইয়া।
জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের পশ্চিম ধনকুন্ডা শান্তিবাগ এলাকায় ইব্রাহিম খলিলের টিনশেড বাড়ীতে রিকশাচালক হান্নান ও পোশাক শ্রমিক সোহাগ ভাড়ায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। সোমবার ভোর রাতে হঠাৎ করেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলে ঘরে থাকা এই দুই পরিবারের ৮ জনই দগ্ধ হয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়। বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. কারণ বিন রহমান গণমাধ্যমকে জানান, হান্নানের শরীরে ৪৫ শতাংশ, নুরজাহানের ২২ শতাংশ, জান্নাতের ৩ শতাংশ, সামিয়ার ৭ শতাংশ, সাব্বিরের ২৭ শতাংশ, সোহাগের ৪০ শতাংশ, রুপালির ৩৪ শতাংশ ও সুমাইয়ার ৪৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। সে আরও জানায়, শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় আটজনের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনে দুই পরিবারের শিশুসহ আটজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার রাত আড়াইটার দিকে পশ্চিম ধনকুন্ডা এলাকায় ইব্রাহিম খলিলের টিনসেড বাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, দুই কক্ষবিশিষ্ট সেমিপাকা টিনসেড ঘরের নিচ দিয়ে গ্যাসের লাইন গেছে। সেখান থেকে কোনোভাবে গ্যাস লিকেজ হয় এবং এর থেকে কক্ষের ভেতর গ্যাস চেম্বারের সৃষ্টি হয়। যে কোনোভাবে আগুনের স্পার্কের সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটে এবং অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়।
দগ্ধরা হলেন— রিকশাচালক হান্নান (৪০), তার স্ত্রী পোশাক শ্রমিক নুরজাহান আক্তার লাকী (৩০), মেয়ে জান্নাত (৩), মেয়ে সামিয়া (৯), ছেলে সাব্বির (১৬) এবং আরেক পরিবারের পোশাক শ্রমিক সোহাগ (২৩), তার স্ত্রী পোশাক শ্রমিক রুপালি (২০) ও তাদের একমাত্র দেড় বছর বয়সি মেয়ে সুমাইয়া।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. কারণ বিন রহমান জানান, হান্নানের শরীরে ৪৫ শতাংশ, নুরজাহানের ২২ শতাংশ, জান্নাতের ৩ শতাংশ, সামিয়ার ৭ শতাংশ, সাব্বিরের ২৭ শতাংশ, সোহাগের ৪০ শতাংশ, রুপালির ৩৪ শতাংশ ও সুমাইয়ার ৪৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
ইনস্টিটিউটটির পরিচালক ডা. নাসির উদ্দিন জানান, শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় আটজনের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রাখা হয়েছে।
প্রতিবেশীরা জানান, বিস্ফোরণের শব্দ শুনে তারা ঘর থেকে হয়ে পাশাপাশি দুটি কক্ষে আগুন জ্বলতে দেখেন। দগ্ধ অবস্থায় সোহাগ ও রূপালী ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। পরে দরজা ভেঙে বাকি দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
আহত রূপালীর ভগ্নিপতি মোস্তাফিজুর রহমান রনি বলেন, ‘ঘটনার সময় সবাই ছিল ঘুমে। ঘুমন্ত অবস্থাতেই তারা দগ্ধ হন। ঘরের থেকে রান্নাঘর আরও ১০ মিটার দূরে হলেও ঘরের পাশে গ্যাস রাইজার আছে। সেইখান থেকে গ্যাস লিক হইতে পারে।’
চিকিৎসকের বরাতে তিনি জানান, রূপালী, তার স্বামী সোহাগ ও একমাত্র কন্যা সুমাইয়া তিনজনই আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। সুমাইয়াকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।