গোপালগঞ্জ : পরিষ্কার করার পর যেন প্রাণ ফিরে পেল খাল সংবাদ
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালে কচুরিপানা ও আবর্জনায় ভর্তি ছিল। এতে ভোগান্তিতে ছিলো খালপাড়ের কয়েক গ্রামের মুসল্লিরা। কারণ ঐ খালপাড়ের আশে পাশে রয়েছে অন্তত ১০টি মসজিদ।
প্রায় ৪ বছর পর কচুরিপানা ও আবর্জনা পরিস্কার করার পর যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালটি। শুরু হয়েছে খালের পানি প্রবাহ। প্রায় দুই কিলোমিটার খালের কচুরিপানা ও আবর্জনা পরিস্কার করে টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা কতৃপক্ষ।
জানা যায়, গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালটির সাথে বাঘিয়ার নদীর সংযোগ রয়েছে। নদী থেকে কচুরিপানা ও আবর্জনা খালে ঢুকে জমাট বেঁধে ছিলো দীর্ঘদিন। তাই ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে খালের পানি। পানি কালো হওয়ায় অজু-গোসল বন্ধ ছিল। এছাড়া খালপাড়ের কয়েক গ্রামের মহিলারা থালা বাসন ধোয়ার কাজ করতে পারতো না। পরে টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার প্রশাসক মো. মঈনুল হক প্রথম রোজার মধ্যে খাল পরিস্কারের নির্দেশ দেন।
গিমাডাঙ্গা গ্রামের ৭০ বছর বয়সী লিটু শেখ ও টুঙ্গিপাড়া গ্রামের ছালু কাজী বলেন, খালপাড়ের পাশ দিয়ে প্রায় দশটি টি মসজিদ রয়েছে। কিন্তু খাল ব্যবহারের অনুপোযোগী থাকায় মুসল্লিদের নামাজ পড়তে সমস্যা হতো।
তাই আমরা কয়েকজন পৌর প্রশাসকের কাছে মৌখিকভাবে জানাই। তিনি তখন প্রথম রোজার মধ্যে খাল পরিস্কারের প্রতিশ্রুতি দেন। দুই দিনে খাল পরিস্কার করে এখন পানি প্রবাহ শুরু হয়েছে। এখন থেকে আর নামাজ পড়তে অনেক কষ্ট কমবে।
টুঙ্গিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হিমেল কাজী বলেন, খালের দুই পাশ সুন্দরভাবে বাধাই করা থাকলেও খালের পানি কেউই ব্যবহার করতে পারতো না। কারণ কচুরিপানা ও আবর্জনা খালটির সৌন্দর্য নষ্ট করে দিয়েছিলো। এখন পরিস্কার হওয়ার খালটি যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। খালপাড়ের বাসিন্দারা ধোয়ার কাজের পাশাপাশি গোসল ও অজু করতে পারছে।
টুঙ্গিপাড়া পৌর প্রশাসক মঈনুল হক বলেন, গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালটি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের অনুপযোগী ছিলো। দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের খালটি নিয়ে দূর্ভোগের কথা স্থানীয় মুসল্লিদের মাধ্যমে জানতে পেরে দুই দিনব্যাপী পরিস্কার অভিযান শুরু হয়।
এখন কচুরিপানা ও আবর্জনা পরিস্কারের মাধ্যমে খালটির পানি জনগণ নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করতে পারছে।
গোপালগঞ্জ : পরিষ্কার করার পর যেন প্রাণ ফিরে পেল খাল সংবাদ
সোমবার, ০৩ মার্চ ২০২৫
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালে কচুরিপানা ও আবর্জনায় ভর্তি ছিল। এতে ভোগান্তিতে ছিলো খালপাড়ের কয়েক গ্রামের মুসল্লিরা। কারণ ঐ খালপাড়ের আশে পাশে রয়েছে অন্তত ১০টি মসজিদ।
প্রায় ৪ বছর পর কচুরিপানা ও আবর্জনা পরিস্কার করার পর যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালটি। শুরু হয়েছে খালের পানি প্রবাহ। প্রায় দুই কিলোমিটার খালের কচুরিপানা ও আবর্জনা পরিস্কার করে টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা কতৃপক্ষ।
জানা যায়, গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালটির সাথে বাঘিয়ার নদীর সংযোগ রয়েছে। নদী থেকে কচুরিপানা ও আবর্জনা খালে ঢুকে জমাট বেঁধে ছিলো দীর্ঘদিন। তাই ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে খালের পানি। পানি কালো হওয়ায় অজু-গোসল বন্ধ ছিল। এছাড়া খালপাড়ের কয়েক গ্রামের মহিলারা থালা বাসন ধোয়ার কাজ করতে পারতো না। পরে টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার প্রশাসক মো. মঈনুল হক প্রথম রোজার মধ্যে খাল পরিস্কারের নির্দেশ দেন।
গিমাডাঙ্গা গ্রামের ৭০ বছর বয়সী লিটু শেখ ও টুঙ্গিপাড়া গ্রামের ছালু কাজী বলেন, খালপাড়ের পাশ দিয়ে প্রায় দশটি টি মসজিদ রয়েছে। কিন্তু খাল ব্যবহারের অনুপোযোগী থাকায় মুসল্লিদের নামাজ পড়তে সমস্যা হতো।
তাই আমরা কয়েকজন পৌর প্রশাসকের কাছে মৌখিকভাবে জানাই। তিনি তখন প্রথম রোজার মধ্যে খাল পরিস্কারের প্রতিশ্রুতি দেন। দুই দিনে খাল পরিস্কার করে এখন পানি প্রবাহ শুরু হয়েছে। এখন থেকে আর নামাজ পড়তে অনেক কষ্ট কমবে।
টুঙ্গিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হিমেল কাজী বলেন, খালের দুই পাশ সুন্দরভাবে বাধাই করা থাকলেও খালের পানি কেউই ব্যবহার করতে পারতো না। কারণ কচুরিপানা ও আবর্জনা খালটির সৌন্দর্য নষ্ট করে দিয়েছিলো। এখন পরিস্কার হওয়ার খালটি যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। খালপাড়ের বাসিন্দারা ধোয়ার কাজের পাশাপাশি গোসল ও অজু করতে পারছে।
টুঙ্গিপাড়া পৌর প্রশাসক মঈনুল হক বলেন, গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালটি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের অনুপযোগী ছিলো। দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের খালটি নিয়ে দূর্ভোগের কথা স্থানীয় মুসল্লিদের মাধ্যমে জানতে পেরে দুই দিনব্যাপী পরিস্কার অভিযান শুরু হয়।
এখন কচুরিপানা ও আবর্জনা পরিস্কারের মাধ্যমে খালটির পানি জনগণ নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করতে পারছে।