চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় মসজিদের মাইকে ডাকাত আসার ঘোষণা দেওয়ার পর গণপিটুনিতে নিহত দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
তাঁরা হলেন উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের মধ্যম কাঞ্চনা এলাকার মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন (৪৫) ও গুরগুরি এলাকার মোহাম্মদ ছালেক (৩৫)।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, তাঁদের সালিস বৈঠকের নামে ডেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
কী ঘটেছিল সেদিন?
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, সোমবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে ৪-৫টি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নেজাম উদ্দিনসহ একদল যুবক ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় যান। তাঁদের দেখে স্থানীয় মসজিদের মাইকে ‘ডাকাত পড়েছে’ বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর এলাকাবাসী তাঁদের ধরতে জড়ো হন।
এ সময় সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয় এবং গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে স্থানীয়রা নেজাম ও ছালেককে পিটিয়ে হত্যা করেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন চারজন—ওবায়দুল হক (২২), নাসির উদ্দিন (৩৮), আব্বাস উদ্দিন (৩৮) ও মো. মামুনুর রশিদ (৪৫)।
রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও পূর্ব বিরোধ
জামায়াতে ইসলামীর সাতকানিয়া উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের সেক্রেটারি জায়েদ হোছেন দাবি করেছেন, নিহত দুজন জামায়াতের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। সালিস বৈঠকের কথা বলে তাঁদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
তবে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া জামায়াতের আমির মাওলানা কামাল উদ্দিন জানান, নিহতরা জামায়াতের তালিকাভুক্ত কর্মী ছিলেন না। তবে যেহেতু ওই এলাকায় জামায়াতের জনসমর্থন বেশি, তাই তাঁরা হয়তো জামায়াতকে সমর্থন করতেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে জানিয়েছেন, নেজাম উদ্দিনের সঙ্গে এলাকার আরেক পক্ষের বিরোধ চলছিল। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি এলাকায় ফেরেন এবং তখন থেকেই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উত্তেজনা চলছিল।
সম্প্রতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলামের মাছের খামার ও ইটভাটায় লুটের ঘটনায় নেজাম উদ্দিনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। নজরুলের স্ত্রী এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, আটটি গুলির খোসা ও একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “নিহত যুবকেরা রাতে ওই এলাকায় কেন গিয়েছিলেন এবং তাঁদের পিটিয়ে কেন হত্যা করা হয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি। তবে পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং আহতরা সেখানেই চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় মসজিদের মাইকে ডাকাত আসার ঘোষণা দেওয়ার পর গণপিটুনিতে নিহত দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
তাঁরা হলেন উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের মধ্যম কাঞ্চনা এলাকার মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন (৪৫) ও গুরগুরি এলাকার মোহাম্মদ ছালেক (৩৫)।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, তাঁদের সালিস বৈঠকের নামে ডেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
কী ঘটেছিল সেদিন?
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, সোমবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে ৪-৫টি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নেজাম উদ্দিনসহ একদল যুবক ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় যান। তাঁদের দেখে স্থানীয় মসজিদের মাইকে ‘ডাকাত পড়েছে’ বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর এলাকাবাসী তাঁদের ধরতে জড়ো হন।
এ সময় সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয় এবং গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে স্থানীয়রা নেজাম ও ছালেককে পিটিয়ে হত্যা করেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন চারজন—ওবায়দুল হক (২২), নাসির উদ্দিন (৩৮), আব্বাস উদ্দিন (৩৮) ও মো. মামুনুর রশিদ (৪৫)।
রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও পূর্ব বিরোধ
জামায়াতে ইসলামীর সাতকানিয়া উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের সেক্রেটারি জায়েদ হোছেন দাবি করেছেন, নিহত দুজন জামায়াতের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। সালিস বৈঠকের কথা বলে তাঁদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
তবে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া জামায়াতের আমির মাওলানা কামাল উদ্দিন জানান, নিহতরা জামায়াতের তালিকাভুক্ত কর্মী ছিলেন না। তবে যেহেতু ওই এলাকায় জামায়াতের জনসমর্থন বেশি, তাই তাঁরা হয়তো জামায়াতকে সমর্থন করতেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে জানিয়েছেন, নেজাম উদ্দিনের সঙ্গে এলাকার আরেক পক্ষের বিরোধ চলছিল। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি এলাকায় ফেরেন এবং তখন থেকেই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উত্তেজনা চলছিল।
সম্প্রতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলামের মাছের খামার ও ইটভাটায় লুটের ঘটনায় নেজাম উদ্দিনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। নজরুলের স্ত্রী এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, আটটি গুলির খোসা ও একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “নিহত যুবকেরা রাতে ওই এলাকায় কেন গিয়েছিলেন এবং তাঁদের পিটিয়ে কেন হত্যা করা হয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি। তবে পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং আহতরা সেখানেই চিকিৎসাধীন।