কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বালুভর্তি বস্তাচাপা অবস্থায় মো. শিহাব (১০) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।সোমবার সকালে উপজেলার চরসাদিপুর ইউনিয়নের চর ঘোষপুর এলাকার একটি মাঠে স্থানীয়রা লাশটি দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। শিহাব চর ঘোষপুর গ্রামের রতন শেখের ছেলে। বাবা নিরুদ্দেশ হওয়ার পর থেকে মা তাসলিমা খাতুনের সঙ্গে সরকারি আবাসন প্রকল্প গুচ্ছ গ্রামে থাকত। এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ ছিল শিহাব। নিহত শিশুর নানা আকাতুল্লাহ প্রামাণিক জানান, প্রতিদিন গরু নিয়ে মাঠে যেত শিহাব।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে মাঠ থেকে গরু নিয়ে বাড়ি ফেরে। সে সময় বিছানার নিচ থেকে পাঁচশ টাকা নিয়েছিস কিনা জানতে চাইলে ও স্বীকার করে দুইশ টাকা খরচ হয়ে গেছে। এরপর বাকি তিনশ টাকা নিয়ে শিহাব বের হয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি। মা তাসলিমা খাতুন বলেন, পাশেই আমার বাবার বাড়ি। বেশির ভাগ সময় সেখানেই থাকত। সেদিন বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আমরা ভেবেছিলাম ও খালা কিংবা ফুফুর বাড়িতে গেছে। একদিন পার হয়ে গেলেও না ফিরলে সব জায়গায় খুঁজেও শিহাবকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ সময় বিলাপ করতে করতে তিনি বলেন, ওর বাপ আমাদের ছেড়ে নিরুদ্দেশ হওয়ার পর অনেক কষ্টে ছেলেকে নিয়ে গুচ্ছ গ্রামে বাস করি। স্থানীয় একটি ইটভাটায় রান্না করে যা পাই তাই দিয়ে কোনো রকম সংসার চলে। এখন আমি কাকে নিয়ে থাকব। কতুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.সোলাইমান শেখ বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বালুভর্তি বস্তাচাপা অবস্থায় মো. শিহাব (১০) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।সোমবার সকালে উপজেলার চরসাদিপুর ইউনিয়নের চর ঘোষপুর এলাকার একটি মাঠে স্থানীয়রা লাশটি দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। শিহাব চর ঘোষপুর গ্রামের রতন শেখের ছেলে। বাবা নিরুদ্দেশ হওয়ার পর থেকে মা তাসলিমা খাতুনের সঙ্গে সরকারি আবাসন প্রকল্প গুচ্ছ গ্রামে থাকত। এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ ছিল শিহাব। নিহত শিশুর নানা আকাতুল্লাহ প্রামাণিক জানান, প্রতিদিন গরু নিয়ে মাঠে যেত শিহাব।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে মাঠ থেকে গরু নিয়ে বাড়ি ফেরে। সে সময় বিছানার নিচ থেকে পাঁচশ টাকা নিয়েছিস কিনা জানতে চাইলে ও স্বীকার করে দুইশ টাকা খরচ হয়ে গেছে। এরপর বাকি তিনশ টাকা নিয়ে শিহাব বের হয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি। মা তাসলিমা খাতুন বলেন, পাশেই আমার বাবার বাড়ি। বেশির ভাগ সময় সেখানেই থাকত। সেদিন বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আমরা ভেবেছিলাম ও খালা কিংবা ফুফুর বাড়িতে গেছে। একদিন পার হয়ে গেলেও না ফিরলে সব জায়গায় খুঁজেও শিহাবকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ সময় বিলাপ করতে করতে তিনি বলেন, ওর বাপ আমাদের ছেড়ে নিরুদ্দেশ হওয়ার পর অনেক কষ্টে ছেলেকে নিয়ে গুচ্ছ গ্রামে বাস করি। স্থানীয় একটি ইটভাটায় রান্না করে যা পাই তাই দিয়ে কোনো রকম সংসার চলে। এখন আমি কাকে নিয়ে থাকব। কতুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.সোলাইমান শেখ বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।