নওগাঁর মহাদেবপুরে স্থানীয় জনপ্রিয় ফেইসবুক আইডি, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও পরীক্ষামূলক সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের উদ্যোগে আত্রাই নদীর ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনের পর অবশেষে আত্রাই নদীর মহাদেবপুর উজান ও ভাটি অংশের বালুমহাল আর ইজারা না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নওগাঁ জেলা প্রশাসন। তবে আত্রাই নদীর আত্রাই, মান্দা, পত্নীতলা ও ধামইরহাট উপজেলার কয়েকটি পয়েন্টের ইজারা দেয়া অব্যাহত থাকবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত মাসে মহাদেবপুর উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুজ্জামান প্রথমে ওই সিদ্ধান্তের বিষয় জানান। এছাড়া জানতে চাইলে মোবাইলফোনে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সোহেল রানাও জানান একই কথা। সবশেষ গত ২০ ফেব্রুয়ারি জেলা বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল স্বাক্ষরিত জেলার বালুমহাল ইজারা দরপত্র বিজ্ঞপ্তিতে মহাদেবপুরের নাম রাখা হয়নি। বিজ্ঞপ্তিতে জেলার মান্দা উপজেলার উজান অংশে একটি ও ভাটি অংশে ২টি মৌজা, পত্নীতলা উপজেলার ৪টি, আত্রাই উপজেলার ২টি ও ধামইরহাট উপজেলার ৪টি মৌজা থেকে বালু উত্তোলনের ইজারা দেয়ার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। গতবছর এসব উপজেলার সঙ্গে মহাদেবপুরের আত্রাই নদীর উজান ও ভাটি অংশ থেকেও বালু উত্তোলনের ইজারা দেয়ার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, মহাদেবপুরে আত্রাই নদীর তলদেশ থেকে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মহাদেবপুর দর্পণ পরিবারের উদ্যোগে গত ২২ জানুয়ারি সকালে উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ডে এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। নওগাঁ জেলা সদর, মান্দা, মহাদেবপুর ও পত্নীতলা উপজেলায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মী, পরিবেশ কর্মী ও সমাজকর্মীরা এতে অংশ নেন। মানববন্ধনে দাবি করা হয় যে, মহাদেবপুর উপজেলার কোথাও আত্রাই নদীর সারফেস অংশে বালু নেই। জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা নিয়মানুযায়ী প্রয়োজনীয় জরিপ না করেই মনগড়াভাবে নদীর উপরিভাগের বালুর পরিমাণ ও ইজারামূল্য নির্ধারণ করে থাকেন। ইজারাদাররা নিয়ম ভেঙে শক্তিশালী অবৈধ খননযন্ত্র বসিয়ে নদীর তলদেশ থেকে দিন রাত ২৪ ঘণ্টা ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করছে। ফলে এলাকায় নদী ভাঙ্গনে বিনষ্ট হচ্ছে বিঘার পর বিঘা ফসলী জমি, ঘরবাড়ি। নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলনের স্থানে শতাধিক মিটার গভীর খাদ সৃষ্টি হয়। এসব খাদে পড়ে কমপক্ষে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মহিষবাথান পয়েন্টে অধিক গর্ত হওয়ায় সেখানে পাকা ব্রিজ নির্মাণ করা যায়নি। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ হলেও উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ও উপজেলা সদরের দুটি ব্রিজ থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরে বালু উত্তোলন করা হয়। এসব বালুদস্যুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও বালুমহাল আর ইজারা না দেয়ার দাবি জানানো হয়।
গত ২৪ জানুয়ারি দৈনিক সংবাদে এসংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়।
এই মানববন্ধনের পর দেশের বিভিন্ন এজেন্সি বিষয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন ও প্রয়োজনীয় জরিপ করে জানতে পারে যে, আত্রাই নদীর মহাদেবপুর উজান ও ভাটি অংশের কোথাও উপরিভাগে বালু মজুত নেই। সবস্থান থেকেই শুধুমাত্র ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষ এখানকার বালুমহাল আর ইজারা না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। স্থানীয়রা এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫
নওগাঁর মহাদেবপুরে স্থানীয় জনপ্রিয় ফেইসবুক আইডি, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও পরীক্ষামূলক সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের উদ্যোগে আত্রাই নদীর ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনের পর অবশেষে আত্রাই নদীর মহাদেবপুর উজান ও ভাটি অংশের বালুমহাল আর ইজারা না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নওগাঁ জেলা প্রশাসন। তবে আত্রাই নদীর আত্রাই, মান্দা, পত্নীতলা ও ধামইরহাট উপজেলার কয়েকটি পয়েন্টের ইজারা দেয়া অব্যাহত থাকবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত মাসে মহাদেবপুর উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুজ্জামান প্রথমে ওই সিদ্ধান্তের বিষয় জানান। এছাড়া জানতে চাইলে মোবাইলফোনে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সোহেল রানাও জানান একই কথা। সবশেষ গত ২০ ফেব্রুয়ারি জেলা বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল স্বাক্ষরিত জেলার বালুমহাল ইজারা দরপত্র বিজ্ঞপ্তিতে মহাদেবপুরের নাম রাখা হয়নি। বিজ্ঞপ্তিতে জেলার মান্দা উপজেলার উজান অংশে একটি ও ভাটি অংশে ২টি মৌজা, পত্নীতলা উপজেলার ৪টি, আত্রাই উপজেলার ২টি ও ধামইরহাট উপজেলার ৪টি মৌজা থেকে বালু উত্তোলনের ইজারা দেয়ার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। গতবছর এসব উপজেলার সঙ্গে মহাদেবপুরের আত্রাই নদীর উজান ও ভাটি অংশ থেকেও বালু উত্তোলনের ইজারা দেয়ার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, মহাদেবপুরে আত্রাই নদীর তলদেশ থেকে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মহাদেবপুর দর্পণ পরিবারের উদ্যোগে গত ২২ জানুয়ারি সকালে উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ডে এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। নওগাঁ জেলা সদর, মান্দা, মহাদেবপুর ও পত্নীতলা উপজেলায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মী, পরিবেশ কর্মী ও সমাজকর্মীরা এতে অংশ নেন। মানববন্ধনে দাবি করা হয় যে, মহাদেবপুর উপজেলার কোথাও আত্রাই নদীর সারফেস অংশে বালু নেই। জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা নিয়মানুযায়ী প্রয়োজনীয় জরিপ না করেই মনগড়াভাবে নদীর উপরিভাগের বালুর পরিমাণ ও ইজারামূল্য নির্ধারণ করে থাকেন। ইজারাদাররা নিয়ম ভেঙে শক্তিশালী অবৈধ খননযন্ত্র বসিয়ে নদীর তলদেশ থেকে দিন রাত ২৪ ঘণ্টা ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করছে। ফলে এলাকায় নদী ভাঙ্গনে বিনষ্ট হচ্ছে বিঘার পর বিঘা ফসলী জমি, ঘরবাড়ি। নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলনের স্থানে শতাধিক মিটার গভীর খাদ সৃষ্টি হয়। এসব খাদে পড়ে কমপক্ষে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মহিষবাথান পয়েন্টে অধিক গর্ত হওয়ায় সেখানে পাকা ব্রিজ নির্মাণ করা যায়নি। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ হলেও উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ও উপজেলা সদরের দুটি ব্রিজ থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরে বালু উত্তোলন করা হয়। এসব বালুদস্যুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও বালুমহাল আর ইজারা না দেয়ার দাবি জানানো হয়।
গত ২৪ জানুয়ারি দৈনিক সংবাদে এসংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়।
এই মানববন্ধনের পর দেশের বিভিন্ন এজেন্সি বিষয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন ও প্রয়োজনীয় জরিপ করে জানতে পারে যে, আত্রাই নদীর মহাদেবপুর উজান ও ভাটি অংশের কোথাও উপরিভাগে বালু মজুত নেই। সবস্থান থেকেই শুধুমাত্র ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষ এখানকার বালুমহাল আর ইজারা না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। স্থানীয়রা এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।