সিরাজগঞ্জ : নদীর বুকজুড়ে পলিমাটিযুক্ত চরে বাদামের বাম্পার ফলন -সংবাদ
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর বুক জুড়ে পজগে উঠা পলিমাটিযুক্ত চরে বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক আবাদ হচ্ছে। এই সব চরে স্বল্প খরচ ও কম পরিশ্রমে ফসলের আশাতীত ফলন হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় কৃষিবিভাগ ও কৃষকরা। গম, কাউন, ভুট্টা, বাদাম, মিষ্টি আলু, তিল, তিসি, লাউ, মরিচ, হলুদ, শসা, সিম, কুমড়া, বেগুন, ধান এবং নানা প্রকারের শাক-সবজি সহ নানা ধরনের ফসলের আবাদ হচ্ছে। এছাড়াও অনেকে গবাদি পশু পালন করেও নিজেদের স্বাবলম্বী করে তুলছেন । এতে করে চরের মানুষ আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বীর পাশাপাশি চরের অর্থনীতি হচ্ছে মজবুত। অথচ গত ২০-২৫ বছর আগেও চরে এই রকম আবাদ হয়নি বলে জানা গেছে।
জেলা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা যায়, জেলার চরাঞ্চলে মোট জমির পরিমাণ ৬৮ হাজার ৩৫ হেক্টর জমি এর মধ্যে এর মধ্যে ৪৬ হাজার ৭৫০হেক্টর জমিতে নানা ধরনের ফসলের আবাদ হচ্ছে।
এ বছর চরাঞ্চলে বাদাম, ৫ হাজার ৮৯১ হেঃ , মুসুর কালাই ৩ হাজার ৯০ হেঃ,মরিচ ৯৫০হেঃ , খেসারি ৫হাজার ৩৬৪ হেঃ , ভুট্টা ১০ হাজার হেঃ, আখ ৭ শত হেঃ, তরমুজ ৩ হেঃ ,ধনিয়া ১৬১ হেঃ, কালোজিরা ১৩৪ হেঃ । এছাড়াও সবজি ৫ শত হেক্টর জমিতে আবাদ হচ্ছে । এছাড়া জেলার মোট ধান উৎপাদনের ১১ ভাগই ধানের আবাদ হচ্ছে চরে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মেছড়া চরের কৃষক আজমাদ আলী বলেন,চারবার নদী ভাঙগনের কবলে পড়ে ঘরবাড়ী হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে এখন মেছড়া চরে বসবাস করছি। এখানে তিন বিঘা জমিতে বিভিন্ন ফসলের আবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করছি। এখন অনেকটা ভাল আছি।
কাজিপুর উপজেলার নাটুয়াপাড়া চরের কৃষক আব্দুল মজিদ জানান, ২০-২৫ বছর আগেও চরে এই রকম আবাদ হয়নি। তখন আমরা চরবাসীরা অর্ধাহার অনাহারে দিন কাটাইতাম। এখন চরবাসীরা খুব ভাল আছি। কৃষি বিভাগের সহায়তা ও পরামর্শে বাদাম, মরিচ, ধান, বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে আমরা অর্থনৈতিকভাবে অনেকটাই স্বাবলম্বী হয়েছি ।
কাজিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার চরাঞ্চলে বিভিন্ন ফসলের আবাদ হওয়ায় নদী ভাঙ্গন কৃত এলাকার মানুষ অনেকটাই আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার আনোয়ার সাদাত জানান, চরে আবাদের জন্য কৃষকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণসহ নানা পরামর্শ দেয়া হয় কৃষি বিভাগ থেকে । এছাড়া কৃষিতে সরকারি প্রনদনা চরে কৃষিতে কল্পনাতীত সাফল্য এসেছে ।
সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আঃ জা মু আহসান শহীদ সরকার বলেন, জেলার ৫টি উপজেলায় চরাঞ্চলে ৬৮ হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। এরমধ্যে ৮০ ভাগ জমি নিম্নাঞ্চলে হওয়ায় সেখানে ভূট্টা,গম, বাদমসহ অন্যান্য ফসলের উৎপাদন আশাতিত। পলি পড়ায় জমিগুলো উরর্বর । এসব ফসল কোন ভাবে রোপন করলে উৎপাদন হয় ধারনার বাইরে। চাষাবাদে খরচ ও কম এতে এলাকার কৃষকেরা লাভবান হচ্ছে। তাদের ভাগ্য পরিবর্তন হচ্ছে। পক্ষান্তরে ধানের জন্য সেচ সুবিধা উচু জমির পরিমান মাত্র ২০ ভাগের মত। এবার চরাঞ্চলে ভূট্টা , গম, মরিচ, বাদাম সহ অন্যান্য ফসলের ফলনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সিরাজগঞ্জ : নদীর বুকজুড়ে পলিমাটিযুক্ত চরে বাদামের বাম্পার ফলন -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর বুক জুড়ে পজগে উঠা পলিমাটিযুক্ত চরে বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক আবাদ হচ্ছে। এই সব চরে স্বল্প খরচ ও কম পরিশ্রমে ফসলের আশাতীত ফলন হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় কৃষিবিভাগ ও কৃষকরা। গম, কাউন, ভুট্টা, বাদাম, মিষ্টি আলু, তিল, তিসি, লাউ, মরিচ, হলুদ, শসা, সিম, কুমড়া, বেগুন, ধান এবং নানা প্রকারের শাক-সবজি সহ নানা ধরনের ফসলের আবাদ হচ্ছে। এছাড়াও অনেকে গবাদি পশু পালন করেও নিজেদের স্বাবলম্বী করে তুলছেন । এতে করে চরের মানুষ আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বীর পাশাপাশি চরের অর্থনীতি হচ্ছে মজবুত। অথচ গত ২০-২৫ বছর আগেও চরে এই রকম আবাদ হয়নি বলে জানা গেছে।
জেলা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা যায়, জেলার চরাঞ্চলে মোট জমির পরিমাণ ৬৮ হাজার ৩৫ হেক্টর জমি এর মধ্যে এর মধ্যে ৪৬ হাজার ৭৫০হেক্টর জমিতে নানা ধরনের ফসলের আবাদ হচ্ছে।
এ বছর চরাঞ্চলে বাদাম, ৫ হাজার ৮৯১ হেঃ , মুসুর কালাই ৩ হাজার ৯০ হেঃ,মরিচ ৯৫০হেঃ , খেসারি ৫হাজার ৩৬৪ হেঃ , ভুট্টা ১০ হাজার হেঃ, আখ ৭ শত হেঃ, তরমুজ ৩ হেঃ ,ধনিয়া ১৬১ হেঃ, কালোজিরা ১৩৪ হেঃ । এছাড়াও সবজি ৫ শত হেক্টর জমিতে আবাদ হচ্ছে । এছাড়া জেলার মোট ধান উৎপাদনের ১১ ভাগই ধানের আবাদ হচ্ছে চরে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মেছড়া চরের কৃষক আজমাদ আলী বলেন,চারবার নদী ভাঙগনের কবলে পড়ে ঘরবাড়ী হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে এখন মেছড়া চরে বসবাস করছি। এখানে তিন বিঘা জমিতে বিভিন্ন ফসলের আবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করছি। এখন অনেকটা ভাল আছি।
কাজিপুর উপজেলার নাটুয়াপাড়া চরের কৃষক আব্দুল মজিদ জানান, ২০-২৫ বছর আগেও চরে এই রকম আবাদ হয়নি। তখন আমরা চরবাসীরা অর্ধাহার অনাহারে দিন কাটাইতাম। এখন চরবাসীরা খুব ভাল আছি। কৃষি বিভাগের সহায়তা ও পরামর্শে বাদাম, মরিচ, ধান, বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে আমরা অর্থনৈতিকভাবে অনেকটাই স্বাবলম্বী হয়েছি ।
কাজিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার চরাঞ্চলে বিভিন্ন ফসলের আবাদ হওয়ায় নদী ভাঙ্গন কৃত এলাকার মানুষ অনেকটাই আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার আনোয়ার সাদাত জানান, চরে আবাদের জন্য কৃষকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণসহ নানা পরামর্শ দেয়া হয় কৃষি বিভাগ থেকে । এছাড়া কৃষিতে সরকারি প্রনদনা চরে কৃষিতে কল্পনাতীত সাফল্য এসেছে ।
সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আঃ জা মু আহসান শহীদ সরকার বলেন, জেলার ৫টি উপজেলায় চরাঞ্চলে ৬৮ হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। এরমধ্যে ৮০ ভাগ জমি নিম্নাঞ্চলে হওয়ায় সেখানে ভূট্টা,গম, বাদমসহ অন্যান্য ফসলের উৎপাদন আশাতিত। পলি পড়ায় জমিগুলো উরর্বর । এসব ফসল কোন ভাবে রোপন করলে উৎপাদন হয় ধারনার বাইরে। চাষাবাদে খরচ ও কম এতে এলাকার কৃষকেরা লাভবান হচ্ছে। তাদের ভাগ্য পরিবর্তন হচ্ছে। পক্ষান্তরে ধানের জন্য সেচ সুবিধা উচু জমির পরিমান মাত্র ২০ ভাগের মত। এবার চরাঞ্চলে ভূট্টা , গম, মরিচ, বাদাম সহ অন্যান্য ফসলের ফলনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।