পার্বত্য চট্টগ্রামে বারবার রিট আবেদন করে অবৈধ ইটভাটা চালানোর অভিযোগে ৫৪ ভাটা মালিককে চার লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ছয় মাসের জন্য দেওয়া স্থিতাবস্থার আদেশ প্রত্যাহার করে রুল খারিজ করেছেন আদালত।
বিচারপতি ফাতেমা নজিব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন।
পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) জনস্বার্থে এক রিট আবেদন করলে হাইকোর্ট পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেন।
এইচআরপিবির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তিনি জানান, পাহাড় ধ্বংস করে অবৈধভাবে ইটভাটা চালানোর বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সংগঠনটি ২০২৩ সালে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করে।
আদালত রুল জারি করে সকল অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেন। কিন্তু আদেশ কার্যকরের সময় ইটভাটা মালিকরা নতুন করে রিট আবেদন করেন এবং আদালত থেকে স্থিতাবস্থা আদেশ নেন।
এইচআরপিবি সেই রিট মামলায় পক্ষভুক্ত হলে আদালত পুনরায় শুনানি শেষে রুল খারিজ করেন। এরপর ইটভাটা মালিকরা আপিল করেন এবং আপিল বিভাগ ২০২৩ সালের ৪ জুন তাদের আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। তবে কোনো ধরনের স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি।
কয়েক মাস পর, ইটভাটা মালিকরা পুনরায় নতুন রিট আবেদন করেন এবং ফের ছয় মাসের জন্য স্থিতাবস্থার আদেশ নেন। বিষয়টি জানতে পেরে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ আদালতকে অবহিত করেন যে, কিছু ইটভাটা মালিক একই বিষয়ের ওপর বারবার রিট আবেদন করে অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা করছেন।
শুনানি শেষে আদালত ছয় মাসের জন্য দেওয়া স্থিতাবস্থার আদেশ প্রত্যাহার করেন এবং রুল খারিজ করেন। একই সঙ্গে আদালত ৫৪টি ইটভাটার মালিকদের প্রত্যেককে চার লাখ টাকা করে জরিমানা করেন।
আদালত তাদের রায়ে বলেন, একই বিষয়ে বারবার রিট আবেদন করা আদালতের প্রক্রিয়াকে অপব্যবহার করা এবং এর মাধ্যমে অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া অগ্রহণযোগ্য।
আদালত নির্দেশ দেন, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জরিমানার অর্থ হাইকোর্টে জমা দিতে হবে।
এই ৫৪ জন মালিকের মধ্যে রয়েছেন—মোহাম্মদ ওয়ালীউল্লাহ, মোজাম্মেল হক, ওবায়দুল কবির, শামীমা আক্তার, গিয়াস উদ্দিন, এনামুল হক, নাসির উল আলম, মোহাম্মদ ইসলাম, বিপ্লব কান্তি ও আব্দুল কাদের।
শুনানিতে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ আরও বলেন, ইটভাটা মালিকরা পূর্বেও আদালতের আদেশ অমান্য করেছেন এবং জালিয়াতির মাধ্যমে বিভিন্ন আদেশ নিয়েছেন।
আদালত তাদের কর্মকাণ্ড বিবেচনা করে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আইন লঙ্ঘন করে ব্যবসা চালালে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আদালতের এই রায় ভবিষ্যতে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দৃষ্টান্ত তৈরি করবে। পরিবেশ রক্ষায় এবং পাহাড় ধ্বংস ঠেকাতে প্রশাসনেরও আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মত দিয়েছেন পরিবেশবিদরা।
বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫
পার্বত্য চট্টগ্রামে বারবার রিট আবেদন করে অবৈধ ইটভাটা চালানোর অভিযোগে ৫৪ ভাটা মালিককে চার লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ছয় মাসের জন্য দেওয়া স্থিতাবস্থার আদেশ প্রত্যাহার করে রুল খারিজ করেছেন আদালত।
বিচারপতি ফাতেমা নজিব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন।
পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) জনস্বার্থে এক রিট আবেদন করলে হাইকোর্ট পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেন।
এইচআরপিবির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তিনি জানান, পাহাড় ধ্বংস করে অবৈধভাবে ইটভাটা চালানোর বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সংগঠনটি ২০২৩ সালে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করে।
আদালত রুল জারি করে সকল অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেন। কিন্তু আদেশ কার্যকরের সময় ইটভাটা মালিকরা নতুন করে রিট আবেদন করেন এবং আদালত থেকে স্থিতাবস্থা আদেশ নেন।
এইচআরপিবি সেই রিট মামলায় পক্ষভুক্ত হলে আদালত পুনরায় শুনানি শেষে রুল খারিজ করেন। এরপর ইটভাটা মালিকরা আপিল করেন এবং আপিল বিভাগ ২০২৩ সালের ৪ জুন তাদের আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। তবে কোনো ধরনের স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি।
কয়েক মাস পর, ইটভাটা মালিকরা পুনরায় নতুন রিট আবেদন করেন এবং ফের ছয় মাসের জন্য স্থিতাবস্থার আদেশ নেন। বিষয়টি জানতে পেরে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ আদালতকে অবহিত করেন যে, কিছু ইটভাটা মালিক একই বিষয়ের ওপর বারবার রিট আবেদন করে অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা করছেন।
শুনানি শেষে আদালত ছয় মাসের জন্য দেওয়া স্থিতাবস্থার আদেশ প্রত্যাহার করেন এবং রুল খারিজ করেন। একই সঙ্গে আদালত ৫৪টি ইটভাটার মালিকদের প্রত্যেককে চার লাখ টাকা করে জরিমানা করেন।
আদালত তাদের রায়ে বলেন, একই বিষয়ে বারবার রিট আবেদন করা আদালতের প্রক্রিয়াকে অপব্যবহার করা এবং এর মাধ্যমে অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া অগ্রহণযোগ্য।
আদালত নির্দেশ দেন, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জরিমানার অর্থ হাইকোর্টে জমা দিতে হবে।
এই ৫৪ জন মালিকের মধ্যে রয়েছেন—মোহাম্মদ ওয়ালীউল্লাহ, মোজাম্মেল হক, ওবায়দুল কবির, শামীমা আক্তার, গিয়াস উদ্দিন, এনামুল হক, নাসির উল আলম, মোহাম্মদ ইসলাম, বিপ্লব কান্তি ও আব্দুল কাদের।
শুনানিতে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ আরও বলেন, ইটভাটা মালিকরা পূর্বেও আদালতের আদেশ অমান্য করেছেন এবং জালিয়াতির মাধ্যমে বিভিন্ন আদেশ নিয়েছেন।
আদালত তাদের কর্মকাণ্ড বিবেচনা করে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আইন লঙ্ঘন করে ব্যবসা চালালে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আদালতের এই রায় ভবিষ্যতে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দৃষ্টান্ত তৈরি করবে। পরিবেশ রক্ষায় এবং পাহাড় ধ্বংস ঠেকাতে প্রশাসনেরও আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মত দিয়েছেন পরিবেশবিদরা।