মাহে রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় জীবিকার ব্যয় বাড়লেও রায়গঞ্জে কমেছে শ্রমিকের কাজ ও কাজের মূল্য। কাজের জন্য বসে থেকেও কাঙ্ক্ষিত কাজ না পাওয়ায় পরিবারের ব্যয় নির্বাহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
রায়গঞ্জের ধানগড়ার মধ্য বাজারে বেশ কয়েকজন দিনমজুর বসে আছেন। বুধবার দুপুর ১টা। কেউ বসে গল্প করছেন, আবার অনেকে মোবাইলে লুডু/ গেমস খেলছেন। কেউ কেউ অটোরিকশা, রিক্সা ও ভ্যান থামিয়ে যোগ দিচ্ছেন তাদের সাথে খেলায় এবং গল্পে। এদের মধ্যে ৫০ বছর বয়সী বেল্লাল হোসেন নামের এক অটোরিকশা চালকের সাথে কথা হলো। বেল্লাল হোসেনের বাড়ি উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের বুলাকী পুর গ্রামে। তিনি জানালেন, এই বাজারে প্রতিদিন শতাধিক ছোট- বড়ো যানবহন চলাচল করে থাকে। মাল উঠা-নামানোর জন্য শ্রমিকও রয়েছে শতাধিক। বিভিন্ন গ্রাম থেকেও আসে অনেক শ্রমিক শ্রম বিক্রির জন্য। রোজা শুরু হওয়ায় জনগণ চলাচল কম করছে, কাজও কিছুটা কমে গেছে। তাই সবাই ছায়ায় বসে আসি কাজের অপেক্ষায় । প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ শত টাকা রোজগার হলেও রমজান মাসে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ শত থেকে ২ শত ৫০ টাকায়। তিনি বলেন, রোজার মাসে খরচ বাড়লেও উপার্জন কমে যাওয়ায় পরিবারের ব্যয় নির্বাহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
অপর এক শ্রমিক আব্দুল অহেদ বলেন, কাজ না থাকলে আমরা মধ্য বাজার ও ধানগড়া স্কুল এলাকায় বিশ্রাম নিয়ে থাকি। আমাদের নিজেদের বসা বা বিশ্রাম নেওয়ার নির্ধারিত কোনো জায়গা নেই। তাই পৌরসভা ও প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি, উপজেলার পাশে একটি বসার জায়গা তৈরি করে দেওয়ার।
বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫
মাহে রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় জীবিকার ব্যয় বাড়লেও রায়গঞ্জে কমেছে শ্রমিকের কাজ ও কাজের মূল্য। কাজের জন্য বসে থেকেও কাঙ্ক্ষিত কাজ না পাওয়ায় পরিবারের ব্যয় নির্বাহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
রায়গঞ্জের ধানগড়ার মধ্য বাজারে বেশ কয়েকজন দিনমজুর বসে আছেন। বুধবার দুপুর ১টা। কেউ বসে গল্প করছেন, আবার অনেকে মোবাইলে লুডু/ গেমস খেলছেন। কেউ কেউ অটোরিকশা, রিক্সা ও ভ্যান থামিয়ে যোগ দিচ্ছেন তাদের সাথে খেলায় এবং গল্পে। এদের মধ্যে ৫০ বছর বয়সী বেল্লাল হোসেন নামের এক অটোরিকশা চালকের সাথে কথা হলো। বেল্লাল হোসেনের বাড়ি উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের বুলাকী পুর গ্রামে। তিনি জানালেন, এই বাজারে প্রতিদিন শতাধিক ছোট- বড়ো যানবহন চলাচল করে থাকে। মাল উঠা-নামানোর জন্য শ্রমিকও রয়েছে শতাধিক। বিভিন্ন গ্রাম থেকেও আসে অনেক শ্রমিক শ্রম বিক্রির জন্য। রোজা শুরু হওয়ায় জনগণ চলাচল কম করছে, কাজও কিছুটা কমে গেছে। তাই সবাই ছায়ায় বসে আসি কাজের অপেক্ষায় । প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ শত টাকা রোজগার হলেও রমজান মাসে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ শত থেকে ২ শত ৫০ টাকায়। তিনি বলেন, রোজার মাসে খরচ বাড়লেও উপার্জন কমে যাওয়ায় পরিবারের ব্যয় নির্বাহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
অপর এক শ্রমিক আব্দুল অহেদ বলেন, কাজ না থাকলে আমরা মধ্য বাজার ও ধানগড়া স্কুল এলাকায় বিশ্রাম নিয়ে থাকি। আমাদের নিজেদের বসা বা বিশ্রাম নেওয়ার নির্ধারিত কোনো জায়গা নেই। তাই পৌরসভা ও প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি, উপজেলার পাশে একটি বসার জায়গা তৈরি করে দেওয়ার।