সৈয়দপুর (নীলফামারী) : সৈয়দপুর পৌর সবজি বাজার -সংবাদ
রমজানে ইফতারের অন্যতম পণ্য লেবু, শসা এবং কলা। রমজান মাসের শুরুতেই নীলফামারীর সৈয়দপুরে ইফতারের দরকারি পণ্য লেবু, শসা আর কলা চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। শুধু লেবু নয় কাঁচা মরিচ এবং বেগুনের বাজারেও আগুন। বেড়েছে কলার দামও। এগুলো যা রমজানের আগেও ১৫ থেকে ২০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে। অথচ বাজার তরাকরি করার কেউ নেই। সম্প্রতি সৈয়দপুর শহরের পৌর সবজি বাজার এবং কারখানা গেট ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়। রমজান মাসে বাজারে প্রায় সকল ইফতার পণ্যেরই দাম বেড়েছে। বাজারে এক হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। অথচ আগে লেবুর সর্বোচ্চ মূল্য ছিল ২০ টাকা হালি। সেই সময়ে ১৫ টাকাতেও এক হালি লেবু কেনা গেছে। এখন আকারে ছোট লেবু ৫০ টাকার নিচে মিলছে না। সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকারে বড় এক হালি লেবু ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইফতারির অন্যতম আরেক উপকরণ হলো শসা। বাজারে এখন ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে শসা। যা আগে ছিল ৩০ টাকা। এদিকে, বেগুনের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে এবং গোল বেগুন ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শুধু ক্রেতারাই নয়, খুচরা বিক্রেতারাও বলছেন লেবুর হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধি খুবই অস্বাভাবিক। রোজায় শরবত তৈরির জন্য লেবুর চাহিদা বেড়ে যায়। এটাকেই সুযোগ হিসেবে নিয়ে আড়তদার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, এখন লেবুর মৌসুম নয় বলে, দাম বাড়তি থাকা স্বাভাবিক। তবে যে হরে বেড়েছে তা স্বাভাবিক নয়। অপরদিকে ইফতারের অন্যতম ফল কলার দামও হাতের নাগালে নেই। আকারে ছোট এক হালি কলা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকারে বড় কলা ৬০ থেকে ৭০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। কাঁচা মরিচের দামেও আগুন লেগেছে। ৩০ টাকার এক কেজি মরিচ ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্য সবজির দামও ১০ থেকে ১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে কেজিতে। ফলের মধ্যে আপেল, আনারস, আনার, পেপে, পেয়ারা, আঙ্গুর, মাল্টার দাম আগের চেয়ে বেড়েছে কেজি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। তবে খেচুর, ছলা, ডাল, মুড়ি, গুড়ের দাম বাড়েনি, আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। শহরের হাতিখানা এলাকার ক্রেতা খালিদ হোসেন আরমান অভিযোগে জানান, রমজানে ইফতার পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার অসাধু পাইকার ব্যবসায়ীরা মুনাফা করার মোক্ষম সুযোগ নিচ্ছেন। বিশেষ করে বাজার তদারকির কোনো প্রশাসনিক তৎপরতা না থাকায় যথেচ্ছাভাবে পণ্যের দাম বাড়িয়ে যাচ্ছেন সব ধরনের ব্যবসায়ীরা। ভুক্তভোগী ক্রেতারা বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের জোরালো তদারকির দাবি জানান। সৈয়দপুর পৌর সবজি বাজারের লেবু ব্যবসায়ী শরিফ মোহাম্মদ বলেন, এখন লেবুর ফলনের মৌসুম। তবে রোজায় লেবুর চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। তাই আকার ভেদে লেবুর দাম দ্বিগুণেরও বেশি উঠেছে। পাইকারি বাজারে দাম বেশি হওয়ায় খুচরা বাজারেও বেশি দামে লেবু বিক্রি হচ্ছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-ই-আলম সিদ্দিকী জানান, রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিংয়ের সঙ্গে আমরাও নজরদারি করছি। এই ব্যাপারে স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও আমাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন।
সৈয়দপুর (নীলফামারী) : সৈয়দপুর পৌর সবজি বাজার -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫
রমজানে ইফতারের অন্যতম পণ্য লেবু, শসা এবং কলা। রমজান মাসের শুরুতেই নীলফামারীর সৈয়দপুরে ইফতারের দরকারি পণ্য লেবু, শসা আর কলা চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। শুধু লেবু নয় কাঁচা মরিচ এবং বেগুনের বাজারেও আগুন। বেড়েছে কলার দামও। এগুলো যা রমজানের আগেও ১৫ থেকে ২০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে। অথচ বাজার তরাকরি করার কেউ নেই। সম্প্রতি সৈয়দপুর শহরের পৌর সবজি বাজার এবং কারখানা গেট ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়। রমজান মাসে বাজারে প্রায় সকল ইফতার পণ্যেরই দাম বেড়েছে। বাজারে এক হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। অথচ আগে লেবুর সর্বোচ্চ মূল্য ছিল ২০ টাকা হালি। সেই সময়ে ১৫ টাকাতেও এক হালি লেবু কেনা গেছে। এখন আকারে ছোট লেবু ৫০ টাকার নিচে মিলছে না। সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকারে বড় এক হালি লেবু ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইফতারির অন্যতম আরেক উপকরণ হলো শসা। বাজারে এখন ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে শসা। যা আগে ছিল ৩০ টাকা। এদিকে, বেগুনের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে এবং গোল বেগুন ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শুধু ক্রেতারাই নয়, খুচরা বিক্রেতারাও বলছেন লেবুর হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধি খুবই অস্বাভাবিক। রোজায় শরবত তৈরির জন্য লেবুর চাহিদা বেড়ে যায়। এটাকেই সুযোগ হিসেবে নিয়ে আড়তদার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, এখন লেবুর মৌসুম নয় বলে, দাম বাড়তি থাকা স্বাভাবিক। তবে যে হরে বেড়েছে তা স্বাভাবিক নয়। অপরদিকে ইফতারের অন্যতম ফল কলার দামও হাতের নাগালে নেই। আকারে ছোট এক হালি কলা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকারে বড় কলা ৬০ থেকে ৭০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। কাঁচা মরিচের দামেও আগুন লেগেছে। ৩০ টাকার এক কেজি মরিচ ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্য সবজির দামও ১০ থেকে ১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে কেজিতে। ফলের মধ্যে আপেল, আনারস, আনার, পেপে, পেয়ারা, আঙ্গুর, মাল্টার দাম আগের চেয়ে বেড়েছে কেজি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। তবে খেচুর, ছলা, ডাল, মুড়ি, গুড়ের দাম বাড়েনি, আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। শহরের হাতিখানা এলাকার ক্রেতা খালিদ হোসেন আরমান অভিযোগে জানান, রমজানে ইফতার পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার অসাধু পাইকার ব্যবসায়ীরা মুনাফা করার মোক্ষম সুযোগ নিচ্ছেন। বিশেষ করে বাজার তদারকির কোনো প্রশাসনিক তৎপরতা না থাকায় যথেচ্ছাভাবে পণ্যের দাম বাড়িয়ে যাচ্ছেন সব ধরনের ব্যবসায়ীরা। ভুক্তভোগী ক্রেতারা বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের জোরালো তদারকির দাবি জানান। সৈয়দপুর পৌর সবজি বাজারের লেবু ব্যবসায়ী শরিফ মোহাম্মদ বলেন, এখন লেবুর ফলনের মৌসুম। তবে রোজায় লেবুর চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। তাই আকার ভেদে লেবুর দাম দ্বিগুণেরও বেশি উঠেছে। পাইকারি বাজারে দাম বেশি হওয়ায় খুচরা বাজারেও বেশি দামে লেবু বিক্রি হচ্ছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-ই-আলম সিদ্দিকী জানান, রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিংয়ের সঙ্গে আমরাও নজরদারি করছি। এই ব্যাপারে স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও আমাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন।