ছবি : প্রণব রায়
নারায়ণগঞ্জের মেধাবী কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার ১২ বছর পূর্তিতে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পন ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকালে বন্দর উপজেলায় সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের উদ্যোগে এই আয়োজনে বিভিন্ন নাগরিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘ বছরেও ত্বকী হত্যার বিচারকাজ শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ত্বকীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন শিশু সংগঠন খেলাঘর আসর, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট, বাসদ, কমিউনিস্ট পার্ট, গণসংহতি আন্দোলন, ওয়ার্কার্স পার্টি, ক্রান্তি খেলাঘর আসর, প্রথম আলো বন্ধুসভা, সামাজিক সংগঠন সমমনা, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশনের নেতারা।
নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি ভবানী শংকর রায় বলেন, “২০১৩ সালে মেধাবী কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীকে অপহরণের পর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ১২ বছর পেরিয়ে গেলেও এই হত্যার বিচার এখন পর্যন্ত হয়নি। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার এই বিচারকাজ বন্ধ রেখেছিল, কারণ খুনিরা ওই সরকারের অংশ ছিল। আমরা তখন ত্বকীর লাশ ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যে, যতদিন এই হত্যার বিচার না হবে ততদিন আমরা রাজপথে থাকবো।
“আমরা আমাদের সেই শপথ এখনও বজায় রেখেছি। বিচারের দাবিতে আমাদের আন্দোলন এখনও জারি রয়েছে। ভবিষ্যতেও যতদিন এই বিচার না হবে, ততদিন আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।”
গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ত্বকী হত্যা মামলায় ৬ জন আসামি গ্রেপ্তার হন। এতে ন্যায়বিচার নিয়ে আশাবাদী হয়েছিলেন জানিয়ে এ সাংস্কৃতিক সংগঠক আরও বলেন, “দীর্ঘবছর মামলাটির কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর নতুন করে ছয়জনকে গ্রেপ্তারের পর কিছুটা আশাবাদী হয়েছিলাম। কিন্তু মামলাটি আগে যেই তিমিরে ছিল, এখনও সেই তিমিরেই আছে বলে মনে হচ্ছে। তারপর আশা করছি, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে হলেও ত্বকী হত্যার বিচার দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করবে।”
মিলাদ মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন ত্বকীর পিতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাসুম, সিপিবি’র জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিমাংশু সাহা, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজল, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা কমিটির নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস, মহানগর কমিটির আহ্বায়ক নিয়ামুর রশীদ বিপ্লব, সমমনার সাবেক সভাপতি দুলাল সাহা, খেলাঘর আসরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, প্রথম আলো বন্ধুসভা নারায়ণগঞ্জের সাবেক সভাপতি জহিরুল ইসলাম মিন্টু, সাংস্কৃতিক সংগঠক পিন্টু সাহা, সিপিবির শহর কমিটির সভাপতি আব্দুল হাই শরীফ, ছাত্র ফেডারেশনের জেলা সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা, সাধারণ সম্পাদক সৃজয় সাহা প্রমুখ।
ছবি : প্রণব রায়
বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫
নারায়ণগঞ্জের মেধাবী কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার ১২ বছর পূর্তিতে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পন ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকালে বন্দর উপজেলায় সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের উদ্যোগে এই আয়োজনে বিভিন্ন নাগরিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘ বছরেও ত্বকী হত্যার বিচারকাজ শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ত্বকীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন শিশু সংগঠন খেলাঘর আসর, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট, বাসদ, কমিউনিস্ট পার্ট, গণসংহতি আন্দোলন, ওয়ার্কার্স পার্টি, ক্রান্তি খেলাঘর আসর, প্রথম আলো বন্ধুসভা, সামাজিক সংগঠন সমমনা, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশনের নেতারা।
নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি ভবানী শংকর রায় বলেন, “২০১৩ সালে মেধাবী কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীকে অপহরণের পর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ১২ বছর পেরিয়ে গেলেও এই হত্যার বিচার এখন পর্যন্ত হয়নি। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার এই বিচারকাজ বন্ধ রেখেছিল, কারণ খুনিরা ওই সরকারের অংশ ছিল। আমরা তখন ত্বকীর লাশ ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যে, যতদিন এই হত্যার বিচার না হবে ততদিন আমরা রাজপথে থাকবো।
“আমরা আমাদের সেই শপথ এখনও বজায় রেখেছি। বিচারের দাবিতে আমাদের আন্দোলন এখনও জারি রয়েছে। ভবিষ্যতেও যতদিন এই বিচার না হবে, ততদিন আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।”
গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ত্বকী হত্যা মামলায় ৬ জন আসামি গ্রেপ্তার হন। এতে ন্যায়বিচার নিয়ে আশাবাদী হয়েছিলেন জানিয়ে এ সাংস্কৃতিক সংগঠক আরও বলেন, “দীর্ঘবছর মামলাটির কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর নতুন করে ছয়জনকে গ্রেপ্তারের পর কিছুটা আশাবাদী হয়েছিলাম। কিন্তু মামলাটি আগে যেই তিমিরে ছিল, এখনও সেই তিমিরেই আছে বলে মনে হচ্ছে। তারপর আশা করছি, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে হলেও ত্বকী হত্যার বিচার দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করবে।”
মিলাদ মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন ত্বকীর পিতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাসুম, সিপিবি’র জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিমাংশু সাহা, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজল, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা কমিটির নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস, মহানগর কমিটির আহ্বায়ক নিয়ামুর রশীদ বিপ্লব, সমমনার সাবেক সভাপতি দুলাল সাহা, খেলাঘর আসরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, প্রথম আলো বন্ধুসভা নারায়ণগঞ্জের সাবেক সভাপতি জহিরুল ইসলাম মিন্টু, সাংস্কৃতিক সংগঠক পিন্টু সাহা, সিপিবির শহর কমিটির সভাপতি আব্দুল হাই শরীফ, ছাত্র ফেডারেশনের জেলা সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা, সাধারণ সম্পাদক সৃজয় সাহা প্রমুখ।