ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ২০১৩ সালে মাধ্যমিক ও ২০১৫ সালে প্রাথমিক স্তরে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়। সে লক্ষ্যে তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞান সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) কর্তৃক একটি প্রকল্প পাশ হয়। প্রকল্পটির নাম ‘এস্টাব্লিসমেন্ট অব ১৬০ উপজেলা আইসিটি ট্রেনিং অ্যান্ড রিসোর্স সেন্টার ফর অ্যাডুকেশন (ইউআইটিআরসিই) ও আইসিটি ল্যাব স্থাপন’। নির্দিষ্ট সময়ে অন্যান্য উপজেলায় প্রকল্পটির কাজ শেষ হলেও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় প্রকল্পটির কাজ এখনও বাকি ৫০ ভাগ। এদিকে গত ৫ আগস্ট হতে প্রকল্পটির ঠিকাদার লাপাত্তা। ফলে ৭ মাসের অধিক সময় ধরে কাজ বন্ধ। যদিও প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২ বছর ৯ মাস আগেই।
প্রকল্পটির সঙ্গে যুক্ত আছেন এমন বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা নাম গোপন রাখার শর্তে প্রকল্পটির কাজ স্থগিত হওয়ার বিষয়ে জানান, প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করেছে কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংকের সহযোগিতায় ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট ফান্ড। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যানবেইস কর্তৃপক্ষ ৭ নভেম্বর ২০২১ সালে কোরিয়ান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘তাইহান কনসরটিআমের’ সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। অত্র প্রতিষ্ঠানটি আবার সাব-ঠিকাদার হিসাবে কাজ দিয়েছিল দেশীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জ্যাক্স ইন্টারন্যাশনালকে। প্রকল্পের বাজেট ৩ কোটি ২৯ লাখ টাকার উপরে। প্রকল্প বাস্তবায়নের নির্ধারিত সময় ছিল ২০০ দিন। চুক্তি অনুযায়ী কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সনের মে মাসে। কিন্তু ঠিকাদার নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করেনি। অতিরিক্ত সময় নিয়েছে দুই বছর নয় মাসের অধিক। অদ্যবধি পর্যন্ত কাজের মোট সময় চলছে তিন বছর তিন মাস। কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৫০ ভাগ। এদিকে ৫ আগস্ট হতে প্রকল্পটির কাজ বন্ধ। সেদিন থেকেই কোরিয়ান ও দেশীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ঢাকার গুলশান-২ এর শামছুদ্দিন ম্যানশনের ৬ নম্বর ফ্লোরের অফিসটি তালাবদ্ধ। কর্মকর্তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রকল্পটির বাকি কাজ শেষ করতে কবে নাগাদ পুনরায় কাজ শুরু হবে ব্যানবেইস কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আরিফা আখতার বলেন, ধীরগতিতে প্রকল্পটির কাজ চলছিল। এখন প্রকল্পটির কাজ বন্ধ আছে। কবে নাগাদ কাজ শুরু হবে এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে কোনো তথ্য নেই। ব্যানবেইসের মহাপরিচালক মো. মজিবুর রহমান বলেন, একটি বিশেষ কারণে প্রকল্পের কাজ বন্ধ আছে। পূর্বের ফার্মটি ডিসকোয়ালিফাই হয়েছে। নতুন ফার্মের সঙ্গে চুক্তির কাজ চলছে। খুব দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।
শনিবার, ০৮ মার্চ ২০২৫
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ২০১৩ সালে মাধ্যমিক ও ২০১৫ সালে প্রাথমিক স্তরে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়। সে লক্ষ্যে তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞান সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) কর্তৃক একটি প্রকল্প পাশ হয়। প্রকল্পটির নাম ‘এস্টাব্লিসমেন্ট অব ১৬০ উপজেলা আইসিটি ট্রেনিং অ্যান্ড রিসোর্স সেন্টার ফর অ্যাডুকেশন (ইউআইটিআরসিই) ও আইসিটি ল্যাব স্থাপন’। নির্দিষ্ট সময়ে অন্যান্য উপজেলায় প্রকল্পটির কাজ শেষ হলেও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় প্রকল্পটির কাজ এখনও বাকি ৫০ ভাগ। এদিকে গত ৫ আগস্ট হতে প্রকল্পটির ঠিকাদার লাপাত্তা। ফলে ৭ মাসের অধিক সময় ধরে কাজ বন্ধ। যদিও প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২ বছর ৯ মাস আগেই।
প্রকল্পটির সঙ্গে যুক্ত আছেন এমন বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা নাম গোপন রাখার শর্তে প্রকল্পটির কাজ স্থগিত হওয়ার বিষয়ে জানান, প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করেছে কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংকের সহযোগিতায় ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট ফান্ড। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যানবেইস কর্তৃপক্ষ ৭ নভেম্বর ২০২১ সালে কোরিয়ান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘তাইহান কনসরটিআমের’ সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। অত্র প্রতিষ্ঠানটি আবার সাব-ঠিকাদার হিসাবে কাজ দিয়েছিল দেশীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জ্যাক্স ইন্টারন্যাশনালকে। প্রকল্পের বাজেট ৩ কোটি ২৯ লাখ টাকার উপরে। প্রকল্প বাস্তবায়নের নির্ধারিত সময় ছিল ২০০ দিন। চুক্তি অনুযায়ী কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সনের মে মাসে। কিন্তু ঠিকাদার নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করেনি। অতিরিক্ত সময় নিয়েছে দুই বছর নয় মাসের অধিক। অদ্যবধি পর্যন্ত কাজের মোট সময় চলছে তিন বছর তিন মাস। কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৫০ ভাগ। এদিকে ৫ আগস্ট হতে প্রকল্পটির কাজ বন্ধ। সেদিন থেকেই কোরিয়ান ও দেশীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ঢাকার গুলশান-২ এর শামছুদ্দিন ম্যানশনের ৬ নম্বর ফ্লোরের অফিসটি তালাবদ্ধ। কর্মকর্তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রকল্পটির বাকি কাজ শেষ করতে কবে নাগাদ পুনরায় কাজ শুরু হবে ব্যানবেইস কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আরিফা আখতার বলেন, ধীরগতিতে প্রকল্পটির কাজ চলছিল। এখন প্রকল্পটির কাজ বন্ধ আছে। কবে নাগাদ কাজ শুরু হবে এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে কোনো তথ্য নেই। ব্যানবেইসের মহাপরিচালক মো. মজিবুর রহমান বলেন, একটি বিশেষ কারণে প্রকল্পের কাজ বন্ধ আছে। পূর্বের ফার্মটি ডিসকোয়ালিফাই হয়েছে। নতুন ফার্মের সঙ্গে চুক্তির কাজ চলছে। খুব দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।