ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) : মাঠে শুকাতে দেয়া গোবরের চটা ও খড়ের পালা -সংবাদ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুপক্ষের বিরোধ আর আধিপত্যের বলি হয়েছে একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এক সময়ে সাড়ে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরিচালিত উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি। কালের পরিক্রমায় লুন্দিয়া গ্রামের দীর্ঘ দিনের দ্বন্দ্বের কারণে ধ্বংসের পথে বিদ্যালয়টি। ফলে কাগজে কলমে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অর্ধশতাধিক হলেও বিধিমোতাবেক নিয়োগ নেই কোন শিক্ষক। আর এ কারণে উন্নতি বদলে হচ্ছে অবনতি। এদিকে স্থানীয়দের দাবি বিদ্যালয়টি সংস্কারের মাধ্যমে এমপিওভুক্ত করে নিম্ন মাধ্যমিক থেকে হাইস্কুলে রূপান্তর করা। তাহলে যেতে হবে না গ্রাম থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে শিক্ষার জন্য।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ে নেই কোনো সাইনবোর্ড, চোখে পড়েনি শিক্ষার্থীদের আনাগুনা। প্রথম দেখায় যে কারো মনে হবে পরিত্যক্ত গোয়াল ঘর। মাঠের মধ্যে গোবরের চটা ও ধানের খড়ের পালা। ফলে নেই কোনো শিক্ষার পরিবেশ। তারপরও এটি একটি নিম্ব মাধ্যমিক বিদ্যালয়। দুটি টিনশেড ঘরে চারটি কক্ষ রয়েছে। এরমধ্যে একটি কক্ষে অফিস ব্যবহার করা হচ্ছে। আর তিনটিতে কক্ষে কিছু টেবিল চেয়ার রয়েছে যার মধ্যে বেশির ভাগই পরিত্যক্ত বা নষ্ট। যদিও প্রতিটি রুমেই হয়ে আছে ভুতুড়ে পরিবেশ। স্থানীয়রা বলছেন, ২০০৪ সালে ৫৩ শতাংশ জায়গা নিয়ে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। তাদের তথ্যমতে, প্রতিষ্ঠার দশ বছর পর ২০১৪ সালে পাঠদানের স্বীকৃতি পায় বিদ্যালয়টি। শুরুতে বিদ্যালয়টিতে লুন্দিয়াসহ আশপাশের গ্রামের ৩৫০ জন ছাত্রছাত্রী ছিল। এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে আরও দশ বছর। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ২০ বছরেও হয়নি উন্নয়ন ও এমপিওভুক্ত। বর্তমানে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে রয়েছে ৩৬ জন, ৭ম শ্রেণীতে ২৪ জন ও ৮ম শ্রেণীতে রয়েছে ২৮ জন শিক্ষার্থী। ৫ জন শিক্ষক নিয়ে বিদ্যালয়টি পরিচালিত হচ্ছে। বিধিমোতাবেক নিয়োগ না থাকায় শিক্ষকরা পাচ্ছেন না বেতন ভাতা। বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী তৃষা, শুভা ও মারুফ জানান, আমরা যখন বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছি তখন এখানে কয়েক শতাধিক ছাত্রছাত্রী ছিল। শিক্ষার মান ছিল মানসম্মত। এলাকায় ঝগড়ার কারণে বিদ্যালয় ধ্বংসের পথে। এখন বিদ্যালয়ে পাঠদানের কোন পরিবেশ নাই। দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। এখানকার শিক্ষার্থীরা ৪ কিলোমিটার হেঁটে অন্য স্কুলে যেতে হচ্ছে। আমরা চাই এই নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে উন্নয়ন করে হাইস্কুলে রূপান্তর করা হোক। স্থানীয় বাসিন্দা তাজুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর গ্রামে গ্রামে গিয়ে ছাত্রছাত্রী এনেছিলাম। এলাকার আধিপত্যের কারণে বিদ্যালয়টি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ঝড় তুফান হলে বিদ্যালয়টি যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। এই বিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করে অন্যান্য বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দিতো। আজ সেই বিদ্যালয়গুলো এমপিওভুক্ত হয়ে গেছে। আমাদের বিদ্যালয়ের কোন উন্নয়ন নেই। বিদ্যালয়ের খ-কালীন শিক্ষিকা ইসরাত জাহান বলেন, আমরা ৫ জন শিক্ষক নিয়ে বিদ্যালয়টি চালাতে হচ্ছে। আমরা ৬ মাস যাবত কোনো বেতন পাই না। এদিকে ছাত্রছাত্রীদের কোনো সুযোগ সুবিধা দিতে পারছি না বলে দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। আমরা চাই সরকার আমাদের স্কুলের দিকে সুনজর দিক। আমরা যেন শিক্ষার্থীদের সঠিক শিক্ষা দিতে পারি।
এই বিষয়ে কথা হলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম বলেন, আধিপত্যের কারণে বিদ্যালয়টি এগিয়ে নিয়ে যেতে হিমশিম খেতে হয়েছে। কোনো রকম টিকে আছে বিদ্যালয়টি। বর্তমানে আধিপত্যের কোনো সুযোগ নেই। সরকার চাইলে এমপিওভুক্ত হলে বিদ্যালয়টি আগে রুপে ফিরে আসবে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর আলম বলেন, কোনো রকম টিকে আছি বিদ্যালয়টি নিয়ে। এক সময় লুন্দিয়া, খলাপাড়া ও চরপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার সাড়ে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী ছিল। এলাকার বংশীয় দ্বন্দ্বে বেশ কয়েকদিন বিদ্যালয়টি বন্ধ ছিল। এখন আবার বিদ্যালয়ে শিক্ষা কর্যক্রম শুরু হয়েছে। লুন্দিয়া ৪টি প্রাইমারি স্কুল রয়েছে। ওইসব বিদ্যালয় থেকে বছরে ২ শতাধিক ছাত্রছাত্রী বের হয়। কিন্তু পরিবেশ পরিস্থিতি ঠিক না থাকায় কোনো শিক্ষার্থী এখানে ভর্তি হতে চাই না। সরকার নজরদারি থাকলে বিদ্যালয়টি আগের রুপে ফিরে আসবে বলে জানান তিনি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল হোসেন বলেন, ভৈরবের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এটি। আমি নতুন এসেছি। বিদ্যালয়টি ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েও কেন এত দিন এমপিওভুক্ত হয়নি তা আমার বোধগম্য নয়। এই বিদ্যালয়ে বিধি মোতাবেক কোন শিক্ষক কর্মচারী নেই। ৮৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। স্কুলটি জরাজীর্ণ অবস্থা। এখানে শিক্ষার কোন পরিবেশ নাই। আমি এখনও বিদ্যালয়ে পরিদর্শন করিনি। তবে যতটুকু জেনেছি এলাকার আধিপত্যের কারণে বিদ্যালয়ের বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে। কোন রকম উন্নয়ন কাজ হয়নি। শিক্ষা কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে। আমি দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নিব। আমি চাই আগে স্কুলটি আধিপত্য মুক্ত হোক। তাহলেই শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন জানান, বিদ্যালয়টির বিষয়ে আমার জানা ছিল না। যেহেতু এ প্রতিনিধির মাধ্যমে জেনেছি আমি বিদ্যালয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিব।
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) : মাঠে শুকাতে দেয়া গোবরের চটা ও খড়ের পালা -সংবাদ
শনিবার, ০৮ মার্চ ২০২৫
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুপক্ষের বিরোধ আর আধিপত্যের বলি হয়েছে একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এক সময়ে সাড়ে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরিচালিত উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি। কালের পরিক্রমায় লুন্দিয়া গ্রামের দীর্ঘ দিনের দ্বন্দ্বের কারণে ধ্বংসের পথে বিদ্যালয়টি। ফলে কাগজে কলমে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অর্ধশতাধিক হলেও বিধিমোতাবেক নিয়োগ নেই কোন শিক্ষক। আর এ কারণে উন্নতি বদলে হচ্ছে অবনতি। এদিকে স্থানীয়দের দাবি বিদ্যালয়টি সংস্কারের মাধ্যমে এমপিওভুক্ত করে নিম্ন মাধ্যমিক থেকে হাইস্কুলে রূপান্তর করা। তাহলে যেতে হবে না গ্রাম থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে শিক্ষার জন্য।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ে নেই কোনো সাইনবোর্ড, চোখে পড়েনি শিক্ষার্থীদের আনাগুনা। প্রথম দেখায় যে কারো মনে হবে পরিত্যক্ত গোয়াল ঘর। মাঠের মধ্যে গোবরের চটা ও ধানের খড়ের পালা। ফলে নেই কোনো শিক্ষার পরিবেশ। তারপরও এটি একটি নিম্ব মাধ্যমিক বিদ্যালয়। দুটি টিনশেড ঘরে চারটি কক্ষ রয়েছে। এরমধ্যে একটি কক্ষে অফিস ব্যবহার করা হচ্ছে। আর তিনটিতে কক্ষে কিছু টেবিল চেয়ার রয়েছে যার মধ্যে বেশির ভাগই পরিত্যক্ত বা নষ্ট। যদিও প্রতিটি রুমেই হয়ে আছে ভুতুড়ে পরিবেশ। স্থানীয়রা বলছেন, ২০০৪ সালে ৫৩ শতাংশ জায়গা নিয়ে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। তাদের তথ্যমতে, প্রতিষ্ঠার দশ বছর পর ২০১৪ সালে পাঠদানের স্বীকৃতি পায় বিদ্যালয়টি। শুরুতে বিদ্যালয়টিতে লুন্দিয়াসহ আশপাশের গ্রামের ৩৫০ জন ছাত্রছাত্রী ছিল। এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে আরও দশ বছর। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ২০ বছরেও হয়নি উন্নয়ন ও এমপিওভুক্ত। বর্তমানে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে রয়েছে ৩৬ জন, ৭ম শ্রেণীতে ২৪ জন ও ৮ম শ্রেণীতে রয়েছে ২৮ জন শিক্ষার্থী। ৫ জন শিক্ষক নিয়ে বিদ্যালয়টি পরিচালিত হচ্ছে। বিধিমোতাবেক নিয়োগ না থাকায় শিক্ষকরা পাচ্ছেন না বেতন ভাতা। বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী তৃষা, শুভা ও মারুফ জানান, আমরা যখন বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছি তখন এখানে কয়েক শতাধিক ছাত্রছাত্রী ছিল। শিক্ষার মান ছিল মানসম্মত। এলাকায় ঝগড়ার কারণে বিদ্যালয় ধ্বংসের পথে। এখন বিদ্যালয়ে পাঠদানের কোন পরিবেশ নাই। দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। এখানকার শিক্ষার্থীরা ৪ কিলোমিটার হেঁটে অন্য স্কুলে যেতে হচ্ছে। আমরা চাই এই নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে উন্নয়ন করে হাইস্কুলে রূপান্তর করা হোক। স্থানীয় বাসিন্দা তাজুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর গ্রামে গ্রামে গিয়ে ছাত্রছাত্রী এনেছিলাম। এলাকার আধিপত্যের কারণে বিদ্যালয়টি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ঝড় তুফান হলে বিদ্যালয়টি যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। এই বিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করে অন্যান্য বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দিতো। আজ সেই বিদ্যালয়গুলো এমপিওভুক্ত হয়ে গেছে। আমাদের বিদ্যালয়ের কোন উন্নয়ন নেই। বিদ্যালয়ের খ-কালীন শিক্ষিকা ইসরাত জাহান বলেন, আমরা ৫ জন শিক্ষক নিয়ে বিদ্যালয়টি চালাতে হচ্ছে। আমরা ৬ মাস যাবত কোনো বেতন পাই না। এদিকে ছাত্রছাত্রীদের কোনো সুযোগ সুবিধা দিতে পারছি না বলে দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। আমরা চাই সরকার আমাদের স্কুলের দিকে সুনজর দিক। আমরা যেন শিক্ষার্থীদের সঠিক শিক্ষা দিতে পারি।
এই বিষয়ে কথা হলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম বলেন, আধিপত্যের কারণে বিদ্যালয়টি এগিয়ে নিয়ে যেতে হিমশিম খেতে হয়েছে। কোনো রকম টিকে আছে বিদ্যালয়টি। বর্তমানে আধিপত্যের কোনো সুযোগ নেই। সরকার চাইলে এমপিওভুক্ত হলে বিদ্যালয়টি আগে রুপে ফিরে আসবে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর আলম বলেন, কোনো রকম টিকে আছি বিদ্যালয়টি নিয়ে। এক সময় লুন্দিয়া, খলাপাড়া ও চরপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার সাড়ে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী ছিল। এলাকার বংশীয় দ্বন্দ্বে বেশ কয়েকদিন বিদ্যালয়টি বন্ধ ছিল। এখন আবার বিদ্যালয়ে শিক্ষা কর্যক্রম শুরু হয়েছে। লুন্দিয়া ৪টি প্রাইমারি স্কুল রয়েছে। ওইসব বিদ্যালয় থেকে বছরে ২ শতাধিক ছাত্রছাত্রী বের হয়। কিন্তু পরিবেশ পরিস্থিতি ঠিক না থাকায় কোনো শিক্ষার্থী এখানে ভর্তি হতে চাই না। সরকার নজরদারি থাকলে বিদ্যালয়টি আগের রুপে ফিরে আসবে বলে জানান তিনি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল হোসেন বলেন, ভৈরবের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এটি। আমি নতুন এসেছি। বিদ্যালয়টি ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েও কেন এত দিন এমপিওভুক্ত হয়নি তা আমার বোধগম্য নয়। এই বিদ্যালয়ে বিধি মোতাবেক কোন শিক্ষক কর্মচারী নেই। ৮৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। স্কুলটি জরাজীর্ণ অবস্থা। এখানে শিক্ষার কোন পরিবেশ নাই। আমি এখনও বিদ্যালয়ে পরিদর্শন করিনি। তবে যতটুকু জেনেছি এলাকার আধিপত্যের কারণে বিদ্যালয়ের বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে। কোন রকম উন্নয়ন কাজ হয়নি। শিক্ষা কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে। আমি দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নিব। আমি চাই আগে স্কুলটি আধিপত্য মুক্ত হোক। তাহলেই শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন জানান, বিদ্যালয়টির বিষয়ে আমার জানা ছিল না। যেহেতু এ প্রতিনিধির মাধ্যমে জেনেছি আমি বিদ্যালয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিব।