টাঙ্গাইল শহরে সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলামের (ভিপি জোয়াহের) ছয়তলা ভবন দখল করে সেখানে ‘মানসিক ভারসাম্যহীনদের’ রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রপ্রতিনিধি পরিচয়ে মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি নামে এক তরুণী ভবনটির তালা ভেঙে দখলের নেতৃত্ব দেন।
শনিবার সকালে টাঙ্গাইল শহরের ছোট কালীবাড়ি রোডে অবস্থিত ছয়তলা ভবনটি দখল করা হয়। স্থানীয়দের দাবি, ভবন দখলের পর সেখানে ২০ জন ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ ব্যক্তিকে রাখা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানভীর আহম্মেদ বলেন, “আমি বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। যেহেতু ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন, সেখানে ছাত্রপ্রতিনিধি বা সমন্বয়ক বলে কিছু আছে বলে মনে হয় না।”
ছাত্রপ্রতিনিধি পরিচয়ে ভবন দখল করা প্রসঙ্গে মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি সাংবাদিকদের বলেন, “ভবন দখলের বিষয়ে ফেসবুকে আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগের নেতাদের বাড়িতে পাগলদের জন্য আশ্রম গড়ে তোলা হবে। তারই অংশ হিসেবে তালা ভেঙে প্রবেশ করা হয়েছে এবং সেখানে ২০ জন পাগলকে রাখা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “এটিকে জবরদখল বলা যাবে না, কারণ এটি কোনো ব্যক্তিবিশেষের ব্যবহারের জন্য নেওয়া হয়নি। বরং সমাজের অবহেলিত মানুষদের জন্য আশ্রম গড়ে তোলা হচ্ছে।”
তার দাবি, সাবেক সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলামের পক্ষ থেকে একজন এসে বলেছেন, ভবন না ভেঙে সেখানে আশ্রম তৈরি করা হোক। তবে সেই ব্যক্তির নাম-পরিচয় বলতে পারেননি তিনি।
আবাসিক এলাকায় ‘মানসিক ভারসাম্যহীনদের’ জন্য আশ্রম তৈরির ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। তবে এতে ছাত্ররা জড়িত থাকায় কেউ প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে চাননি।
এ নিয়ে মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি বলেন, “আবাসিক এলাকার মানুষের জীবনযাত্রায় যদি পাগলদের কোনো প্রভাব পড়ে, তাহলে যারা বেশি পাগল তাদের অন্য কোনো আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে স্থানান্তর করা হবে। এখানে কম পাগলদের রাখা হবে।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের টাঙ্গাইলের সমন্বয়ক আল আমিন বলেন, “আমি শুনেছি, মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি ছাত্রপ্রতিনিধি পরিচয়ে আওয়ামী লীগ নেতার বাসায় ‘পাগলের আশ্রম’ করেছেন। তবে আমরা এটাকে কোনোভাবেই সমর্থন করি না।”
তিনি আরও বলেন, “মিষ্টি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছিলেন, কিন্তু তার মানে এই নয় যে তিনি বিশেষ সুবিধা নেবেন। এটি ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনের মূল স্পিরিটের সঙ্গে যায় না।”
আল আমিন বলেন, “বর্তমানে কেউ সমন্বয়ক পরিচয় দিতে পারবে না। কারও বাড়ি দখল করার কোনো কার্যক্রম আমরা হাতে নিইনি। যদি কেউ এমন কিছু করে থাকে, তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের) সপরিবারে আত্মগোপনে রয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে। যদি এটি বেআইনি দখল হয়ে থাকে, তাহলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার, ০৮ মার্চ ২০২৫
টাঙ্গাইল শহরে সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলামের (ভিপি জোয়াহের) ছয়তলা ভবন দখল করে সেখানে ‘মানসিক ভারসাম্যহীনদের’ রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রপ্রতিনিধি পরিচয়ে মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি নামে এক তরুণী ভবনটির তালা ভেঙে দখলের নেতৃত্ব দেন।
শনিবার সকালে টাঙ্গাইল শহরের ছোট কালীবাড়ি রোডে অবস্থিত ছয়তলা ভবনটি দখল করা হয়। স্থানীয়দের দাবি, ভবন দখলের পর সেখানে ২০ জন ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ ব্যক্তিকে রাখা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানভীর আহম্মেদ বলেন, “আমি বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। যেহেতু ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন, সেখানে ছাত্রপ্রতিনিধি বা সমন্বয়ক বলে কিছু আছে বলে মনে হয় না।”
ছাত্রপ্রতিনিধি পরিচয়ে ভবন দখল করা প্রসঙ্গে মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি সাংবাদিকদের বলেন, “ভবন দখলের বিষয়ে ফেসবুকে আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগের নেতাদের বাড়িতে পাগলদের জন্য আশ্রম গড়ে তোলা হবে। তারই অংশ হিসেবে তালা ভেঙে প্রবেশ করা হয়েছে এবং সেখানে ২০ জন পাগলকে রাখা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “এটিকে জবরদখল বলা যাবে না, কারণ এটি কোনো ব্যক্তিবিশেষের ব্যবহারের জন্য নেওয়া হয়নি। বরং সমাজের অবহেলিত মানুষদের জন্য আশ্রম গড়ে তোলা হচ্ছে।”
তার দাবি, সাবেক সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলামের পক্ষ থেকে একজন এসে বলেছেন, ভবন না ভেঙে সেখানে আশ্রম তৈরি করা হোক। তবে সেই ব্যক্তির নাম-পরিচয় বলতে পারেননি তিনি।
আবাসিক এলাকায় ‘মানসিক ভারসাম্যহীনদের’ জন্য আশ্রম তৈরির ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। তবে এতে ছাত্ররা জড়িত থাকায় কেউ প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে চাননি।
এ নিয়ে মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি বলেন, “আবাসিক এলাকার মানুষের জীবনযাত্রায় যদি পাগলদের কোনো প্রভাব পড়ে, তাহলে যারা বেশি পাগল তাদের অন্য কোনো আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে স্থানান্তর করা হবে। এখানে কম পাগলদের রাখা হবে।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের টাঙ্গাইলের সমন্বয়ক আল আমিন বলেন, “আমি শুনেছি, মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি ছাত্রপ্রতিনিধি পরিচয়ে আওয়ামী লীগ নেতার বাসায় ‘পাগলের আশ্রম’ করেছেন। তবে আমরা এটাকে কোনোভাবেই সমর্থন করি না।”
তিনি আরও বলেন, “মিষ্টি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছিলেন, কিন্তু তার মানে এই নয় যে তিনি বিশেষ সুবিধা নেবেন। এটি ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনের মূল স্পিরিটের সঙ্গে যায় না।”
আল আমিন বলেন, “বর্তমানে কেউ সমন্বয়ক পরিচয় দিতে পারবে না। কারও বাড়ি দখল করার কোনো কার্যক্রম আমরা হাতে নিইনি। যদি কেউ এমন কিছু করে থাকে, তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের) সপরিবারে আত্মগোপনে রয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে। যদি এটি বেআইনি দখল হয়ে থাকে, তাহলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।