দুর্ঘটনার পর উধাও বারান্দার বেড ও সিলিং ফ্যান
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫ম তলার ওপর থেকে পড়ে ওসমান গণি (৪৭) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে।শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১ টায় ওই রোগী সার্জারি ওয়ার্ডে বারান্দার পাশের অতিরিক্ত সিটে হেলান দিতে গিয়ে ভবনের নিচে পড়ে তার মৃত্যু হয়। হাতের অপারেশনের জন্য তিনি গত ৬ দিন ধরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।শনিবার বিকালে জানাজা শেষে তাকে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার কনেশতলা গ্রামে দাফন করা হয়। পারিবারিক এদিকে দুর্ঘটনার পর নিহত ওই রোগীর বেড ও বেডের ওপরে থাকা ফ্যানটি সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাসপাতালে অন্যান্য রোগীর স্বজন ও সাধারণ মানুষ।
জানা গেছে, হাতের অপারেশনের জন্য ওসমান গনি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত এক সপ্তাহ ধরে ভর্তি ছিলেন। সার্জারি ওয়ার্ডে বেড না পাওয়ায় ওয়ার্ড মাস্টারকে টাকা দিয়ে বারান্দায় একটি বেড নেন তার পরিবার। অপারেশনের পর তিনি সেখানেই ছিলেন। বেডটি বারান্দার রেলিংয়ের সঙ্গে খুবই ঝুঁকিপূর্ণভাবে লাগানো ছিল। শুক্রবার রাতে বারান্দার দেয়ালে হেলান দিতে গিয়েই আকস্মিকভাবে তিনি নিচে পড়ে যান। এ সময় দ্রুত উদ্ধার করে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ওসমান জেলার আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মৃত আলী হোসেনের ছেলে।
হাসপাতালের নিচ তলায় থাকা কর্মচারীরা জানান, রাতে হঠাৎ বিকট একটি শব্দ শোনার পর সেখানে ওই ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় যায়। জরুরি বিভাগে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে এ ঘটনার পর হাসপাতালের লোকজন রোগীর বেডটি সরিয়ে নেন।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. শাহজাহান বলেন, সেলুলাইটিজের কারণে ৩ জানুয়ারি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়া শুরু করেন ওসমান গনি। বারান্দায় থাকা বেড থেকে তার পরে যাওয়ার বিষয়টি একটি দুর্ঘটনা। তিনি বলেন, প্রতিদিন ৫শ’ শয্যার এ হাসপাতালে দ্বিগুণ রোগী ভর্তি থাকেন। এতে বারান্দা ও ফ্লোরেও এক্সটা বেড দিতে হয়। কিন্ত বারান্দায় রোগীর স্বজনদের সামনে তার নিচে পড়ে গিয়ে মারা যাওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। এ বিষয়ে ভবিষ্যতে আমরা আরও সতর্ক থাকবো এবং বারান্দা সুরক্ষিত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।
এ বিষয়ে কোতয়ালি মডেল থানায় ওসি মো. মহিনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনা শুনেছি। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
দুর্ঘটনার পর উধাও বারান্দার বেড ও সিলিং ফ্যান
রোববার, ০৯ মার্চ ২০২৫
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫ম তলার ওপর থেকে পড়ে ওসমান গণি (৪৭) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে।শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১ টায় ওই রোগী সার্জারি ওয়ার্ডে বারান্দার পাশের অতিরিক্ত সিটে হেলান দিতে গিয়ে ভবনের নিচে পড়ে তার মৃত্যু হয়। হাতের অপারেশনের জন্য তিনি গত ৬ দিন ধরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।শনিবার বিকালে জানাজা শেষে তাকে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার কনেশতলা গ্রামে দাফন করা হয়। পারিবারিক এদিকে দুর্ঘটনার পর নিহত ওই রোগীর বেড ও বেডের ওপরে থাকা ফ্যানটি সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাসপাতালে অন্যান্য রোগীর স্বজন ও সাধারণ মানুষ।
জানা গেছে, হাতের অপারেশনের জন্য ওসমান গনি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত এক সপ্তাহ ধরে ভর্তি ছিলেন। সার্জারি ওয়ার্ডে বেড না পাওয়ায় ওয়ার্ড মাস্টারকে টাকা দিয়ে বারান্দায় একটি বেড নেন তার পরিবার। অপারেশনের পর তিনি সেখানেই ছিলেন। বেডটি বারান্দার রেলিংয়ের সঙ্গে খুবই ঝুঁকিপূর্ণভাবে লাগানো ছিল। শুক্রবার রাতে বারান্দার দেয়ালে হেলান দিতে গিয়েই আকস্মিকভাবে তিনি নিচে পড়ে যান। এ সময় দ্রুত উদ্ধার করে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ওসমান জেলার আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মৃত আলী হোসেনের ছেলে।
হাসপাতালের নিচ তলায় থাকা কর্মচারীরা জানান, রাতে হঠাৎ বিকট একটি শব্দ শোনার পর সেখানে ওই ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় যায়। জরুরি বিভাগে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে এ ঘটনার পর হাসপাতালের লোকজন রোগীর বেডটি সরিয়ে নেন।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. শাহজাহান বলেন, সেলুলাইটিজের কারণে ৩ জানুয়ারি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়া শুরু করেন ওসমান গনি। বারান্দায় থাকা বেড থেকে তার পরে যাওয়ার বিষয়টি একটি দুর্ঘটনা। তিনি বলেন, প্রতিদিন ৫শ’ শয্যার এ হাসপাতালে দ্বিগুণ রোগী ভর্তি থাকেন। এতে বারান্দা ও ফ্লোরেও এক্সটা বেড দিতে হয়। কিন্ত বারান্দায় রোগীর স্বজনদের সামনে তার নিচে পড়ে গিয়ে মারা যাওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। এ বিষয়ে ভবিষ্যতে আমরা আরও সতর্ক থাকবো এবং বারান্দা সুরক্ষিত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।
এ বিষয়ে কোতয়ালি মডেল থানায় ওসি মো. মহিনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনা শুনেছি। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।