খুলনার কয়রায় শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছেন আয়শা আক্তার মীম (২১) নামের এক গৃহবধূ। এ ঘটনায় নিখোঁজ মেয়ের সন্ধানের জন্য পুলিশের কাছে সহযোগিতা চাইতে গিয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে অপমানিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই নারীর বাবা মোখলেসুর রহমান। তিনি উপজেলার ২ নম্বর কয়রা গ্রামের বাসিন্দা।
গত শনিবার কয়রা থানার ওসি এমদাদুল হকের বিরুদ্ধে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মোখলেসুর রহমান।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, গত ৫ মার্চ রাত থেকে তার মেয়ে (২১) শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছেন। বিষয়টি পুলিশকে জানাতে তিনি ও তার ভাই ইউনূস আলী শুক্রবার সকালে কয়রা থানার ওসি এমদাদুল হকের কাছে যান। ঘটনা শুনে ওসি তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে বলেন, ‘আপনার মেয়ে কার সঙ্গে পিরিতি (প্রেম) করে চলে গেছে সেই মোবাইল নম্বর দেন। তার সঙ্গে কথা বলে ফিরিয়ে আনতে পারি কিনা দেখি।
এ সময় ওসির কাছে অনুনয়-বিনয় করে লিখিত অভিযোগটি নেয়ার জন্য বলা হলে, তিনি ডিউটি অফিসারের কাছে রেখে চলে যেতে বলেন এবং সময় পেলে দেখবেন বলে জানান।’
ঘটনার সময় ওসির কক্ষে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা কয়রা উপজেলা কমান্ডার আহ্বায়ক মওলা বকস। তিনি বলেন, ‘একজন বাবা তার নিখোঁজ মেয়ের সন্ধানের জন্য পুলিশের সহযোগিতা চাইতে পারেন। এটা তার নাগরিক অধিকার। কিন্তু পুলিশ তাকে যেভাবে বলেছে তা অপমানজনক।’
নিখোঁজ গৃহবধূর বাবা মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘আমার মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে প্রায়ই নির্যাতিত হয়ে আসছে। সেই কারণে অভিমানে কোথাও চলে গেছে হয়তো। মেয়ের সন্ধানের জন্য ওসির কাছে সহযোগিতা চাইতে গেলে উল্টো তিনি অপমানজনক কথা বলেছেন। এ সময় আমার সঙ্গে থাকা আমার ফুফাতো ভাই ওসির কথার প্রতিবাদ করলে তাকেও দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন।
তিনি এ ঘটনার প্রতিকার দাবি
রোববার, ০৯ মার্চ ২০২৫
খুলনার কয়রায় শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছেন আয়শা আক্তার মীম (২১) নামের এক গৃহবধূ। এ ঘটনায় নিখোঁজ মেয়ের সন্ধানের জন্য পুলিশের কাছে সহযোগিতা চাইতে গিয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে অপমানিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই নারীর বাবা মোখলেসুর রহমান। তিনি উপজেলার ২ নম্বর কয়রা গ্রামের বাসিন্দা।
গত শনিবার কয়রা থানার ওসি এমদাদুল হকের বিরুদ্ধে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মোখলেসুর রহমান।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, গত ৫ মার্চ রাত থেকে তার মেয়ে (২১) শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছেন। বিষয়টি পুলিশকে জানাতে তিনি ও তার ভাই ইউনূস আলী শুক্রবার সকালে কয়রা থানার ওসি এমদাদুল হকের কাছে যান। ঘটনা শুনে ওসি তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে বলেন, ‘আপনার মেয়ে কার সঙ্গে পিরিতি (প্রেম) করে চলে গেছে সেই মোবাইল নম্বর দেন। তার সঙ্গে কথা বলে ফিরিয়ে আনতে পারি কিনা দেখি।
এ সময় ওসির কাছে অনুনয়-বিনয় করে লিখিত অভিযোগটি নেয়ার জন্য বলা হলে, তিনি ডিউটি অফিসারের কাছে রেখে চলে যেতে বলেন এবং সময় পেলে দেখবেন বলে জানান।’
ঘটনার সময় ওসির কক্ষে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা কয়রা উপজেলা কমান্ডার আহ্বায়ক মওলা বকস। তিনি বলেন, ‘একজন বাবা তার নিখোঁজ মেয়ের সন্ধানের জন্য পুলিশের সহযোগিতা চাইতে পারেন। এটা তার নাগরিক অধিকার। কিন্তু পুলিশ তাকে যেভাবে বলেছে তা অপমানজনক।’
নিখোঁজ গৃহবধূর বাবা মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘আমার মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে প্রায়ই নির্যাতিত হয়ে আসছে। সেই কারণে অভিমানে কোথাও চলে গেছে হয়তো। মেয়ের সন্ধানের জন্য ওসির কাছে সহযোগিতা চাইতে গেলে উল্টো তিনি অপমানজনক কথা বলেছেন। এ সময় আমার সঙ্গে থাকা আমার ফুফাতো ভাই ওসির কথার প্রতিবাদ করলে তাকেও দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন।
তিনি এ ঘটনার প্রতিকার দাবি