গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) : হিমাগারে সংরক্ষণের জন্য ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আলু -সংবাদ
চলতি মৌসুমে গোবিন্দগঞ্জে আলু বাম্পার ফলন হওয়ায় কোল্ডস্টোরে আলু সংরক্ষণ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন আলু চাষিরা। গত বছরে আলুর ভালো দামে এ বছর রেকর্ড পরিমাণ জমিতে আলু চাষ করেন কৃষকরা। কিন্তু উপজেলার ৪টি হিমাগারে আলু সংরক্ষণের কার্ড না পাওয়ায় নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। উপজেলা কৃষি বিভাগের ধারণা, গড় ফলন অনুযায়ী এবার ১ লাখ মেট্রিক টনের বেশি আলু হিমাগারে স্থান সংকুলান না হওয়ায় কৃষকের ঘরে থাকতে পারে। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৬ হাজার ১০৪ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু আবাদ হয়েছে ৯ হাজার ৩১৮ হেক্টরের অধিক জমিতে। ফলন অনুযায়ী আবাদকৃত জমি থেকে পাওয়া যাবে ২ লাখ ৪ হাজার ৯৯৬ টন আলু। পক্ষান্তরে উপজেলায় আলু সংরক্ষণের জন্য ৪টি হিমাগারে ৩৬ হাজার ৫০০ টন আলু সংরক্ষণ করা যাবে। সে অনুযায়ী চাষিদের উৎপাদিত ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৪৯৬ মেট্রিক টন আলু সংরক্ষণের বাইরে থেকে যাচ্ছে। এদিকে অতিরিক্ত আলু আবাদের কারণে কৃষকরা হিমাগার থেকে আলু সংরক্ষণের কার্ড সংগ্রহ করতে গিয়ে জানা যায় কোনো কোনো হিমাগারের কার্ড শেষ হয়ে গেছে। এতে আলু চাষিরা তাদের উৎপাদিত আলুু নিয়ে হতাশায় পড়েছেন।
অধিকাংশ কৃষকের দাবি, হিমাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগসাজশে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ব্যবসায়ী ও মজুতকারীরা আলু সংরক্ষণের স্লিপ আগেই সংগ্রহ করেছে। ফলে সাধারণ চাষিরা বঞ্চিত হচ্ছে। কৃষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলার বকচরের হিমাদ্রী লিমিটেডে গোবিন্দগঞ্জ কোল্ডস্টোরেজ-১, মদনপুরে এপেক্স এগ্রিসায়েন্স লিমিটেড, সূর্যগাড়ির গোবিন্দগঞ্জ কোল্ডস্টোরেজ-২ এ সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আলু সংরক্ষণের স্লিপ সংগ্রহ করতে এসে স্লিপ না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন কৃষকরা উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের গোশাইপুর গ্রামের আলু চাষি তবিবর রহমান বলেন, আলু সংরক্ষণের কার্ডের জন্য ৩ দিন হিমাগারে গিয়েও স্লিপ না পেয়ে ফিরে এসেছি।
তবে এ সব বিষয় নাকচ করে হিমাদ্রী লিমিটেডের ম্যানেজার মোজাম্মেল হক বলেন, বুকিং স্লিপ শেষ হয়ে গেছে। বিগত বছরে মতো এ বছরও ব্যবসায়ীদের বুকিং স্লিপ দেয়া হয়েছে। তবে সেটা পরিমাণে অনেক কম। কালো বাজারে বুকিং স্লিপ বিক্রির করা হয়নি।
গোবিন্দগঞ্জ কোল্ডস্টোরেজের ম্যানেজার সজিব বলেন, এ বছর আমরা স্থানীয় কৃষকদের অগ্রাধিকার দিচ্ছি। মজুতদারদের কোন কার্ড দিচ্ছি না। কৃষকরা ৫ থেকে ১০ বস্তা করে আলু নিয়ে আসলে কোল্ডস্টোরেজে রাখার কোনো সমস্যা হবে না। আমাদের দুটি স্টোরের ধারণক্ষমতা প্রায় সাড়ে ৩ লাখ বস্তা। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২০ হাজার বস্তাা আলু বুকিং হয়েছে।
আলু সংরক্ষণের ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মেহেদী হাসান বলেন, এ বছর অধিক আলু উৎপাদনের কারণে কিছু আলু হিমাগারের বাইরে থাকতে পারে। তবে কৃষকদের বীজ আলু সংরক্ষণের ব্যাপারে আমাদের জানালে আমরা আলু রাখায় সহায়তা করব। এছাড়া অতিরিক্তি আলু প্রাকৃতিক উপায়ে সংরক্ষনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। পরামর্শ অনুষায়ী কৃষকরা কম পক্ষে তিনমাস পর্যন্ত আলু সংরক্ষণ করতে পারবেন।
গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) : হিমাগারে সংরক্ষণের জন্য ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আলু -সংবাদ
রোববার, ০৯ মার্চ ২০২৫
চলতি মৌসুমে গোবিন্দগঞ্জে আলু বাম্পার ফলন হওয়ায় কোল্ডস্টোরে আলু সংরক্ষণ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন আলু চাষিরা। গত বছরে আলুর ভালো দামে এ বছর রেকর্ড পরিমাণ জমিতে আলু চাষ করেন কৃষকরা। কিন্তু উপজেলার ৪টি হিমাগারে আলু সংরক্ষণের কার্ড না পাওয়ায় নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। উপজেলা কৃষি বিভাগের ধারণা, গড় ফলন অনুযায়ী এবার ১ লাখ মেট্রিক টনের বেশি আলু হিমাগারে স্থান সংকুলান না হওয়ায় কৃষকের ঘরে থাকতে পারে। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৬ হাজার ১০৪ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু আবাদ হয়েছে ৯ হাজার ৩১৮ হেক্টরের অধিক জমিতে। ফলন অনুযায়ী আবাদকৃত জমি থেকে পাওয়া যাবে ২ লাখ ৪ হাজার ৯৯৬ টন আলু। পক্ষান্তরে উপজেলায় আলু সংরক্ষণের জন্য ৪টি হিমাগারে ৩৬ হাজার ৫০০ টন আলু সংরক্ষণ করা যাবে। সে অনুযায়ী চাষিদের উৎপাদিত ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৪৯৬ মেট্রিক টন আলু সংরক্ষণের বাইরে থেকে যাচ্ছে। এদিকে অতিরিক্ত আলু আবাদের কারণে কৃষকরা হিমাগার থেকে আলু সংরক্ষণের কার্ড সংগ্রহ করতে গিয়ে জানা যায় কোনো কোনো হিমাগারের কার্ড শেষ হয়ে গেছে। এতে আলু চাষিরা তাদের উৎপাদিত আলুু নিয়ে হতাশায় পড়েছেন।
অধিকাংশ কৃষকের দাবি, হিমাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগসাজশে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ব্যবসায়ী ও মজুতকারীরা আলু সংরক্ষণের স্লিপ আগেই সংগ্রহ করেছে। ফলে সাধারণ চাষিরা বঞ্চিত হচ্ছে। কৃষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলার বকচরের হিমাদ্রী লিমিটেডে গোবিন্দগঞ্জ কোল্ডস্টোরেজ-১, মদনপুরে এপেক্স এগ্রিসায়েন্স লিমিটেড, সূর্যগাড়ির গোবিন্দগঞ্জ কোল্ডস্টোরেজ-২ এ সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আলু সংরক্ষণের স্লিপ সংগ্রহ করতে এসে স্লিপ না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন কৃষকরা উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের গোশাইপুর গ্রামের আলু চাষি তবিবর রহমান বলেন, আলু সংরক্ষণের কার্ডের জন্য ৩ দিন হিমাগারে গিয়েও স্লিপ না পেয়ে ফিরে এসেছি।
তবে এ সব বিষয় নাকচ করে হিমাদ্রী লিমিটেডের ম্যানেজার মোজাম্মেল হক বলেন, বুকিং স্লিপ শেষ হয়ে গেছে। বিগত বছরে মতো এ বছরও ব্যবসায়ীদের বুকিং স্লিপ দেয়া হয়েছে। তবে সেটা পরিমাণে অনেক কম। কালো বাজারে বুকিং স্লিপ বিক্রির করা হয়নি।
গোবিন্দগঞ্জ কোল্ডস্টোরেজের ম্যানেজার সজিব বলেন, এ বছর আমরা স্থানীয় কৃষকদের অগ্রাধিকার দিচ্ছি। মজুতদারদের কোন কার্ড দিচ্ছি না। কৃষকরা ৫ থেকে ১০ বস্তা করে আলু নিয়ে আসলে কোল্ডস্টোরেজে রাখার কোনো সমস্যা হবে না। আমাদের দুটি স্টোরের ধারণক্ষমতা প্রায় সাড়ে ৩ লাখ বস্তা। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২০ হাজার বস্তাা আলু বুকিং হয়েছে।
আলু সংরক্ষণের ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মেহেদী হাসান বলেন, এ বছর অধিক আলু উৎপাদনের কারণে কিছু আলু হিমাগারের বাইরে থাকতে পারে। তবে কৃষকদের বীজ আলু সংরক্ষণের ব্যাপারে আমাদের জানালে আমরা আলু রাখায় সহায়তা করব। এছাড়া অতিরিক্তি আলু প্রাকৃতিক উপায়ে সংরক্ষনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। পরামর্শ অনুষায়ী কৃষকরা কম পক্ষে তিনমাস পর্যন্ত আলু সংরক্ষণ করতে পারবেন।