নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলায় বাস সার্ভিস না থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে পলাশ উপজেলার সাধারণ জনগণকে। পলাশ উপজেলা এটি একটি শিল্পাঞ্চল এলাকা এইখান থেকে প্রতিদিন হাজারো যাত্রী জেলা শহর ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন। কিন্তু দেড় যুগ ধরে বন্ধ রয়েছে এই এলাকার বাস সার্ভিস। পলাশ উপজেলার প্রাণকেন্দ্র ও ঘোড়াশাল পৌর শহরে নাম মাত্র ২টি বাসস্ট্যান্ড থাকলেও বাস সার্ভিস বন্ধ রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে সব যাত্রীরা। বাস সার্ভিস না থাকায় এখানকার সিএনজি চালকদের বিরুদ্ধেও বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের।
পলাশ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ দুটি বাসস্ট্যান্ডকে ঘিরে রয়েছে দেশের বৃহৎ ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ২টি সারকারখানা, প্রাণ আরএফএল কোম্পানী, উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়, পুলিশ স্টেশন, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসাসহ অসংখ্য ছোট বড় কারখানা। এরপরেও বছরের পর বছর ধরে বাস সার্ভিস বন্ধ থাকায় যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। এ যেন দেখার কেউ নেই। আমান আহমাদ নামে এক যাত্রী জানান, পলাশের শত শত শিক্ষার্থী প্রতিদিন নরসিংদীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করেন। এছাড়া অন্য পেশার যাত্রীরাও দেশের বিভিন্ন গন্তব্য স্থানে যাতায়াত করেন। কিন্তু পলাশ বাসস্ট্যান্ডে সিএনজি ও অটোরিকশা ছাড়া কোন লেগুনা, আরটিবি নামক বাস অথবা মিনি বাস সার্ভিস না থাকায় এখানে চলছে ভাড়ার নৈরাজ্য। এই স্থান থেকে জেলখানার মোড়ে সিএনজি যোগে আসা যাওয়ার ভাড়া ৮০ টাকা। দেশের কোথাও এত স্বল্প দূরত্বের জন্য এতো ভাড়া নেই। পাঁচদোনা থেকে লোকাল বাসে ৪০ টাকা দিয়ে ঢাকা যাওয়া যায়। তাই পলাশ বাসস্ট্যান্ড থেকে নরসিংদী জেলা শহরে যাতায়াতের জন্য সিএনজির পাশাপাশি লেগুনা, আরটিবি নামক বাস সার্ভিস চালু এবং ঢাকা আসা যাওয়ার জন্য বাস চালুর জোড় দাবি জানাচ্ছি।
তবে সিএনজি চালকরা জানান, সব কিছুরই দাম বেড়েছে। মালিকপক্ষকেও প্রতিদিনের জমার টাকাও বেশি দিতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে আমাদের খরচও বেড়েছে। তাই ভাড়া বাড়ানো ছাড়া আমাদের আর কোন উপায়ও নেই।
অন্য যাত্রীরা জানান, এই উপজেলা রাজধানীর পাশের জেলায় হওয়াতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীরা ঢাকায় আসা-যাওয়া করে অফিস করেন। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীসহ অন্যান্য পেশার লোকজনও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করেন। এতো গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা হওয়া সত্ত্বেও ঢাকা যেতে হলে একাধিক যানবাহন বদল করে যেতে হয়। বাস সার্ভিস বন্ধ থাকায় জীবন মানের উপরও বিরূপ প্রভাব পড়েছে।
যাতায়াত সমস্যা এবং ভাড়া নৈরাজ্য ঠেকাতে পুনরায় বাস সার্ভিস চালু ও জেলা শহরে যাতায়াতের জন্য লেগুনা, আরটিবি নামক সার্ভিস চালু করার দাবিও জানান তারা। এ বিষয় পলাশ উপজেলার ইউএনও ঘোড়াশাল পৌরসভার প্রশাসক মাসফিকা হোসাইন বলেন, আমি শুনেছি পলাশ উপজেলা থেকে বাসে করে ঢাকা যাওয়া যেতো দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে এই সার্ভিস আমি চেষ্টা করছি পুনরায় বাস চালু করতে পলাশ বাসির জন্য যেনো তারা এ খান থেকে বাসে চড়ে ঢাকায় যেতে পারেন।
রোববার, ০৯ মার্চ ২০২৫
নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলায় বাস সার্ভিস না থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে পলাশ উপজেলার সাধারণ জনগণকে। পলাশ উপজেলা এটি একটি শিল্পাঞ্চল এলাকা এইখান থেকে প্রতিদিন হাজারো যাত্রী জেলা শহর ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন। কিন্তু দেড় যুগ ধরে বন্ধ রয়েছে এই এলাকার বাস সার্ভিস। পলাশ উপজেলার প্রাণকেন্দ্র ও ঘোড়াশাল পৌর শহরে নাম মাত্র ২টি বাসস্ট্যান্ড থাকলেও বাস সার্ভিস বন্ধ রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে সব যাত্রীরা। বাস সার্ভিস না থাকায় এখানকার সিএনজি চালকদের বিরুদ্ধেও বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের।
পলাশ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ দুটি বাসস্ট্যান্ডকে ঘিরে রয়েছে দেশের বৃহৎ ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ২টি সারকারখানা, প্রাণ আরএফএল কোম্পানী, উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়, পুলিশ স্টেশন, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসাসহ অসংখ্য ছোট বড় কারখানা। এরপরেও বছরের পর বছর ধরে বাস সার্ভিস বন্ধ থাকায় যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। এ যেন দেখার কেউ নেই। আমান আহমাদ নামে এক যাত্রী জানান, পলাশের শত শত শিক্ষার্থী প্রতিদিন নরসিংদীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করেন। এছাড়া অন্য পেশার যাত্রীরাও দেশের বিভিন্ন গন্তব্য স্থানে যাতায়াত করেন। কিন্তু পলাশ বাসস্ট্যান্ডে সিএনজি ও অটোরিকশা ছাড়া কোন লেগুনা, আরটিবি নামক বাস অথবা মিনি বাস সার্ভিস না থাকায় এখানে চলছে ভাড়ার নৈরাজ্য। এই স্থান থেকে জেলখানার মোড়ে সিএনজি যোগে আসা যাওয়ার ভাড়া ৮০ টাকা। দেশের কোথাও এত স্বল্প দূরত্বের জন্য এতো ভাড়া নেই। পাঁচদোনা থেকে লোকাল বাসে ৪০ টাকা দিয়ে ঢাকা যাওয়া যায়। তাই পলাশ বাসস্ট্যান্ড থেকে নরসিংদী জেলা শহরে যাতায়াতের জন্য সিএনজির পাশাপাশি লেগুনা, আরটিবি নামক বাস সার্ভিস চালু এবং ঢাকা আসা যাওয়ার জন্য বাস চালুর জোড় দাবি জানাচ্ছি।
তবে সিএনজি চালকরা জানান, সব কিছুরই দাম বেড়েছে। মালিকপক্ষকেও প্রতিদিনের জমার টাকাও বেশি দিতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে আমাদের খরচও বেড়েছে। তাই ভাড়া বাড়ানো ছাড়া আমাদের আর কোন উপায়ও নেই।
অন্য যাত্রীরা জানান, এই উপজেলা রাজধানীর পাশের জেলায় হওয়াতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীরা ঢাকায় আসা-যাওয়া করে অফিস করেন। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীসহ অন্যান্য পেশার লোকজনও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করেন। এতো গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা হওয়া সত্ত্বেও ঢাকা যেতে হলে একাধিক যানবাহন বদল করে যেতে হয়। বাস সার্ভিস বন্ধ থাকায় জীবন মানের উপরও বিরূপ প্রভাব পড়েছে।
যাতায়াত সমস্যা এবং ভাড়া নৈরাজ্য ঠেকাতে পুনরায় বাস সার্ভিস চালু ও জেলা শহরে যাতায়াতের জন্য লেগুনা, আরটিবি নামক সার্ভিস চালু করার দাবিও জানান তারা। এ বিষয় পলাশ উপজেলার ইউএনও ঘোড়াশাল পৌরসভার প্রশাসক মাসফিকা হোসাইন বলেন, আমি শুনেছি পলাশ উপজেলা থেকে বাসে করে ঢাকা যাওয়া যেতো দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে এই সার্ভিস আমি চেষ্টা করছি পুনরায় বাস চালু করতে পলাশ বাসির জন্য যেনো তারা এ খান থেকে বাসে চড়ে ঢাকায় যেতে পারেন।