alt

সারাদেশ

মতলবে নাছিরের দইয়ের কদর বাড়ছে

প্রতিনিধি, মতলব, (চাঁদপুর) : রোববার, ০৯ মার্চ ২০২৫

চাঁদপুরের মতলবে কদর বাড়ছে নাছিরের দই। উপজেলার নন্দলালপুরের নাছিরের তৈরিকৃত মিষ্টি দই যেমনি স্বাদ তেমনি পুষ্টিসমৃদ্ধ, মন্তব্য এখানকার দই প্রেমীদের। আর এজন্যই প্রতিদিন নাছিরের দোকানে দই ভোজনদের ভিড় লেগেই থাকে।

গত শুক্রবার রমজানকে ঘিরে নাছিরের দই ভারে গিয়ে বেচাবিক্রিতে ব্যস্ততা দেখা যায়। কারণ ইফতারিতে ব্যবহার করা হয় দই।

ব্রাহ্মণচক গ্রামের শহিদুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, অন্যান্য স্থানের দইয়ের চেয়ে নাসিরের দই খেতে মজা। ভাবছি ইফতারের সময় দই দিয়ে ইফতার করবো। তাই দই কিনতে আসলাম।

তিতারকান্দি গ্রামের সুকুমার নামে এক হিন্দু ক্রেতা বলেন, রমজান মাস মুসলমানদের ইবাদতের মাস, সেকারণে তাদের সন্মানে দোকানে না খেয়ে বাসায় নিয়ে খাবো।

ফরাজিকান্দি থেকে আসা আরেক ক্রেতা লিয়াকত হোসেন সরকার বলেন, আমি অনেক দূর থেকে এখানে এসেছি? এখানে গর“র খাঁটি দুধ দিয়ে নির্ভেজালভাবে দই তৈরি করে, দামও তূলনামূলকভাবে কম। তাই দইয়ের প্রয়োজন হলে এখানেই দই কিনতে চলে আসি।

স্থানীয়রা জানান, এখানে এক সময় নাছির উদ্দিন তার বাবা আবুল হোসেনের সাথে দোকানে বসত। তারপর বাবার দেখাদেখি ছোটবেলা থেকেই দই তৈরিতে পারদর্শী হয়ে উঠে। এরপর থেকেই দইয়ের সুনাম স্থানীয় বাজারসহ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এখন সে এই ব্যবসাতেই সফল। বর্তমানে বাজারে সে একটি সেমিপাকা ঘর ভাড়া নিয়ে দই বিক্রি করছেন। দোকানটি আকারে ছোট হলেও ক্রেতাদের আনাগোনায় সবসময়ই প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর থাকে।

নাছির উদ্দিন বলেন, বাবার হাত ধরে ২০০৪ সালে মাত্র ২০ হাজার টাকা নিয়ে নেমে ২১ বছরের বেশি সময় যাবৎ চলছে এই ব্যবসা। অভাব অনটনে নবম শ্রেণির বেশি পড়ালেখা করতে না পারিনি। তবে দই ব্যবসায় মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। মানুষজন দূরদূরান্ত থেকে এখানে এসে দই খেয়ে তৃপ্তি পান। যখন ভালো বলেন তখন মানসিক শান্তি পাই। গ্রাম থেকে গর“র খাঁটি দুধ সংগ্রহ করে চিনি ও দুধের অনুপাত ঠিক রেখে চাহিদানুযায়ী গ্যাসের চুলায় বাড়িতে এবং দোকানে দই তৈরি করে বিক্রি করছি।

নাছির উদ্দিন আরও বলেন, দুধের দাম বেশি হওয়ায় এখন খরচ পোষাতে এক গ্লাস দই ৩০ টাকা এবং কেজি প্রতি দই ২০০ টাকা দামে বিক্রি করছি। আমার তৈরিকৃত মিষ্টি দই বিক্রির জন্য কাচের ও প্লাস্টিকের গ্লাসে এবং পাতিলে করে সংরক্ষণে রাখি। প্রতিদিন গড়ে ৭০ থেকে ৮০ গ্লাস দই বিক্রি করছি। এছাড়াও পাতিলে করে প্রতিদিন দই বিক্রি হয় গড়ে ১৫ থেকে ২০ কেজি। এই ব্যবসা করেই আমার ২ মেয়ে ও ১ ছেলের পড়ালেখার খরচসহ স্ত্রী ও বাবা মাকে নিয়ে সুখে শান্তিতে সংসার করছি। তবে প্রশাসনিক, সংস্থা বা কারো কোন সহায়তা পেলে এই ব্যবসাটিকে আরও বড়আকারল এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হতো।

ছবি

সাভারে জুয়েলারি ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, লুট হলো সোনা ও নগদ টাকা

রংপুরে ধর্ষনের শাস্তি ফাঁসি প্রকাশ্য কার্যকরের দাবিতে মশাল মিছিল

ছবি

সুনামগঞ্জ জেলার নতুন পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন তোফায়েল আহাম্মেদ

চাঁদাবাজির অভিযোগে নোয়াখালীতে বিএনপির ৩ নেতাকে অব্যাহতি

পোরশায় পাঁচ শতাধিক আমগাছ উপড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা

মতলবে লঞ্চ থেকে ২৫ মণ জাটকা জব্দ

ছবি

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক সহ দুইজন আটক, অবশেষে বহিষ্কার

বাগেরহাটে ২৯ দিনে গ্রেপ্তার ৩৪৭

টমটম চালক খুনের ঘটনায় আটক ২

ভালুকায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মাদ্রাসা ছাত্রসহ নিহত ২

ছবি

তামাকজাত কোম্পানির লোভনীয় ফাঁদে কৃষক, কমছে খাদ্য উৎপাদন

ছবি

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বাবা-ছেলের মানবেতর জীবনযাপন

সীমান্তে বালু উত্তোলন করায় পাইপ ভাঙচুর, মেশিন জব্দ

চাঁদাবাজির অভিযোগে নোয়াখালীতে বিএনপির ৩ নেতাকে অব্যাহতি

ছবি

নাইক্ষ্যংছড়িতে ডাকাতির চেষ্টা, জনতার হাতে অস্ত্রসহ আটক ১, গুলিতে আহত ২

গৌরনদীতে এক যুবকের আত্মহত্যা

পলাশে বাস সার্ভিস না থাকায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ

রায়গঞ্জে সবজিতে স্বস্তি, চড়া মাছ-মাংসের বাজার

ছবি

বোয়ালখালীতে আগুনে পুড়ল ৫ বসতঘর

গোবিন্দগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ

মুন্সীগঞ্জে দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেপ্তার

ছবি

মহাদেবপুরে মসজিদে সাব মার্সিবল পাম্প প্রদান

কমলগঞ্জে গুঁড়িয়ে দেয়া হলো ইটভাটা

চাঁদপুরে গ্যাস লিকেজে একই পরিবারের দগ্ধ ৬

ছবি

হিমাগারে আলু সংরক্ষণের কার্ড সংকট, বিপাকে চাষিরা

মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ, দুই ভাইসহ নিহত ৩

হবিগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

গৌরনদীতে সরকারি বাধা উপেক্ষা করে দোকান নির্মাণ

করিমগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত

ছবি

সবজির দামে হতাশ কৃষক

ছবি

পদ্মা-মেঘনায় জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে নৌযানের জ্বালানি অপ্রতুল

বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় ভারত : রাজনাথ সিং

চট্টগ্রামে আ.লীগ-ছাত্রলীগের আরও ৪০ গ্রেপ্তার

ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মৃত্যু ১

হিযবুত তাহরীরের ৩৬ সদস্য গ্রেপ্তার

নিখোঁজ মেয়ের সন্ধান চাওয়ায় ওসির কাছে অপমান হওয়ার অভিযোগ বাবার

tab

সারাদেশ

মতলবে নাছিরের দইয়ের কদর বাড়ছে

প্রতিনিধি, মতলব, (চাঁদপুর)

রোববার, ০৯ মার্চ ২০২৫

চাঁদপুরের মতলবে কদর বাড়ছে নাছিরের দই। উপজেলার নন্দলালপুরের নাছিরের তৈরিকৃত মিষ্টি দই যেমনি স্বাদ তেমনি পুষ্টিসমৃদ্ধ, মন্তব্য এখানকার দই প্রেমীদের। আর এজন্যই প্রতিদিন নাছিরের দোকানে দই ভোজনদের ভিড় লেগেই থাকে।

গত শুক্রবার রমজানকে ঘিরে নাছিরের দই ভারে গিয়ে বেচাবিক্রিতে ব্যস্ততা দেখা যায়। কারণ ইফতারিতে ব্যবহার করা হয় দই।

ব্রাহ্মণচক গ্রামের শহিদুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, অন্যান্য স্থানের দইয়ের চেয়ে নাসিরের দই খেতে মজা। ভাবছি ইফতারের সময় দই দিয়ে ইফতার করবো। তাই দই কিনতে আসলাম।

তিতারকান্দি গ্রামের সুকুমার নামে এক হিন্দু ক্রেতা বলেন, রমজান মাস মুসলমানদের ইবাদতের মাস, সেকারণে তাদের সন্মানে দোকানে না খেয়ে বাসায় নিয়ে খাবো।

ফরাজিকান্দি থেকে আসা আরেক ক্রেতা লিয়াকত হোসেন সরকার বলেন, আমি অনেক দূর থেকে এখানে এসেছি? এখানে গর“র খাঁটি দুধ দিয়ে নির্ভেজালভাবে দই তৈরি করে, দামও তূলনামূলকভাবে কম। তাই দইয়ের প্রয়োজন হলে এখানেই দই কিনতে চলে আসি।

স্থানীয়রা জানান, এখানে এক সময় নাছির উদ্দিন তার বাবা আবুল হোসেনের সাথে দোকানে বসত। তারপর বাবার দেখাদেখি ছোটবেলা থেকেই দই তৈরিতে পারদর্শী হয়ে উঠে। এরপর থেকেই দইয়ের সুনাম স্থানীয় বাজারসহ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এখন সে এই ব্যবসাতেই সফল। বর্তমানে বাজারে সে একটি সেমিপাকা ঘর ভাড়া নিয়ে দই বিক্রি করছেন। দোকানটি আকারে ছোট হলেও ক্রেতাদের আনাগোনায় সবসময়ই প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর থাকে।

নাছির উদ্দিন বলেন, বাবার হাত ধরে ২০০৪ সালে মাত্র ২০ হাজার টাকা নিয়ে নেমে ২১ বছরের বেশি সময় যাবৎ চলছে এই ব্যবসা। অভাব অনটনে নবম শ্রেণির বেশি পড়ালেখা করতে না পারিনি। তবে দই ব্যবসায় মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। মানুষজন দূরদূরান্ত থেকে এখানে এসে দই খেয়ে তৃপ্তি পান। যখন ভালো বলেন তখন মানসিক শান্তি পাই। গ্রাম থেকে গর“র খাঁটি দুধ সংগ্রহ করে চিনি ও দুধের অনুপাত ঠিক রেখে চাহিদানুযায়ী গ্যাসের চুলায় বাড়িতে এবং দোকানে দই তৈরি করে বিক্রি করছি।

নাছির উদ্দিন আরও বলেন, দুধের দাম বেশি হওয়ায় এখন খরচ পোষাতে এক গ্লাস দই ৩০ টাকা এবং কেজি প্রতি দই ২০০ টাকা দামে বিক্রি করছি। আমার তৈরিকৃত মিষ্টি দই বিক্রির জন্য কাচের ও প্লাস্টিকের গ্লাসে এবং পাতিলে করে সংরক্ষণে রাখি। প্রতিদিন গড়ে ৭০ থেকে ৮০ গ্লাস দই বিক্রি করছি। এছাড়াও পাতিলে করে প্রতিদিন দই বিক্রি হয় গড়ে ১৫ থেকে ২০ কেজি। এই ব্যবসা করেই আমার ২ মেয়ে ও ১ ছেলের পড়ালেখার খরচসহ স্ত্রী ও বাবা মাকে নিয়ে সুখে শান্তিতে সংসার করছি। তবে প্রশাসনিক, সংস্থা বা কারো কোন সহায়তা পেলে এই ব্যবসাটিকে আরও বড়আকারল এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হতো।

back to top