চাঁদপুরের মতলবে কদর বাড়ছে নাছিরের দই। উপজেলার নন্দলালপুরের নাছিরের তৈরিকৃত মিষ্টি দই যেমনি স্বাদ তেমনি পুষ্টিসমৃদ্ধ, মন্তব্য এখানকার দই প্রেমীদের। আর এজন্যই প্রতিদিন নাছিরের দোকানে দই ভোজনদের ভিড় লেগেই থাকে।
গত শুক্রবার রমজানকে ঘিরে নাছিরের দই ভারে গিয়ে বেচাবিক্রিতে ব্যস্ততা দেখা যায়। কারণ ইফতারিতে ব্যবহার করা হয় দই।
ব্রাহ্মণচক গ্রামের শহিদুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, অন্যান্য স্থানের দইয়ের চেয়ে নাসিরের দই খেতে মজা। ভাবছি ইফতারের সময় দই দিয়ে ইফতার করবো। তাই দই কিনতে আসলাম।
তিতারকান্দি গ্রামের সুকুমার নামে এক হিন্দু ক্রেতা বলেন, রমজান মাস মুসলমানদের ইবাদতের মাস, সেকারণে তাদের সন্মানে দোকানে না খেয়ে বাসায় নিয়ে খাবো।
ফরাজিকান্দি থেকে আসা আরেক ক্রেতা লিয়াকত হোসেন সরকার বলেন, আমি অনেক দূর থেকে এখানে এসেছি? এখানে গর“র খাঁটি দুধ দিয়ে নির্ভেজালভাবে দই তৈরি করে, দামও তূলনামূলকভাবে কম। তাই দইয়ের প্রয়োজন হলে এখানেই দই কিনতে চলে আসি।
স্থানীয়রা জানান, এখানে এক সময় নাছির উদ্দিন তার বাবা আবুল হোসেনের সাথে দোকানে বসত। তারপর বাবার দেখাদেখি ছোটবেলা থেকেই দই তৈরিতে পারদর্শী হয়ে উঠে। এরপর থেকেই দইয়ের সুনাম স্থানীয় বাজারসহ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এখন সে এই ব্যবসাতেই সফল। বর্তমানে বাজারে সে একটি সেমিপাকা ঘর ভাড়া নিয়ে দই বিক্রি করছেন। দোকানটি আকারে ছোট হলেও ক্রেতাদের আনাগোনায় সবসময়ই প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর থাকে।
নাছির উদ্দিন বলেন, বাবার হাত ধরে ২০০৪ সালে মাত্র ২০ হাজার টাকা নিয়ে নেমে ২১ বছরের বেশি সময় যাবৎ চলছে এই ব্যবসা। অভাব অনটনে নবম শ্রেণির বেশি পড়ালেখা করতে না পারিনি। তবে দই ব্যবসায় মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। মানুষজন দূরদূরান্ত থেকে এখানে এসে দই খেয়ে তৃপ্তি পান। যখন ভালো বলেন তখন মানসিক শান্তি পাই। গ্রাম থেকে গর“র খাঁটি দুধ সংগ্রহ করে চিনি ও দুধের অনুপাত ঠিক রেখে চাহিদানুযায়ী গ্যাসের চুলায় বাড়িতে এবং দোকানে দই তৈরি করে বিক্রি করছি।
নাছির উদ্দিন আরও বলেন, দুধের দাম বেশি হওয়ায় এখন খরচ পোষাতে এক গ্লাস দই ৩০ টাকা এবং কেজি প্রতি দই ২০০ টাকা দামে বিক্রি করছি। আমার তৈরিকৃত মিষ্টি দই বিক্রির জন্য কাচের ও প্লাস্টিকের গ্লাসে এবং পাতিলে করে সংরক্ষণে রাখি। প্রতিদিন গড়ে ৭০ থেকে ৮০ গ্লাস দই বিক্রি করছি। এছাড়াও পাতিলে করে প্রতিদিন দই বিক্রি হয় গড়ে ১৫ থেকে ২০ কেজি। এই ব্যবসা করেই আমার ২ মেয়ে ও ১ ছেলের পড়ালেখার খরচসহ স্ত্রী ও বাবা মাকে নিয়ে সুখে শান্তিতে সংসার করছি। তবে প্রশাসনিক, সংস্থা বা কারো কোন সহায়তা পেলে এই ব্যবসাটিকে আরও বড়আকারল এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হতো।
রোববার, ০৯ মার্চ ২০২৫
চাঁদপুরের মতলবে কদর বাড়ছে নাছিরের দই। উপজেলার নন্দলালপুরের নাছিরের তৈরিকৃত মিষ্টি দই যেমনি স্বাদ তেমনি পুষ্টিসমৃদ্ধ, মন্তব্য এখানকার দই প্রেমীদের। আর এজন্যই প্রতিদিন নাছিরের দোকানে দই ভোজনদের ভিড় লেগেই থাকে।
গত শুক্রবার রমজানকে ঘিরে নাছিরের দই ভারে গিয়ে বেচাবিক্রিতে ব্যস্ততা দেখা যায়। কারণ ইফতারিতে ব্যবহার করা হয় দই।
ব্রাহ্মণচক গ্রামের শহিদুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, অন্যান্য স্থানের দইয়ের চেয়ে নাসিরের দই খেতে মজা। ভাবছি ইফতারের সময় দই দিয়ে ইফতার করবো। তাই দই কিনতে আসলাম।
তিতারকান্দি গ্রামের সুকুমার নামে এক হিন্দু ক্রেতা বলেন, রমজান মাস মুসলমানদের ইবাদতের মাস, সেকারণে তাদের সন্মানে দোকানে না খেয়ে বাসায় নিয়ে খাবো।
ফরাজিকান্দি থেকে আসা আরেক ক্রেতা লিয়াকত হোসেন সরকার বলেন, আমি অনেক দূর থেকে এখানে এসেছি? এখানে গর“র খাঁটি দুধ দিয়ে নির্ভেজালভাবে দই তৈরি করে, দামও তূলনামূলকভাবে কম। তাই দইয়ের প্রয়োজন হলে এখানেই দই কিনতে চলে আসি।
স্থানীয়রা জানান, এখানে এক সময় নাছির উদ্দিন তার বাবা আবুল হোসেনের সাথে দোকানে বসত। তারপর বাবার দেখাদেখি ছোটবেলা থেকেই দই তৈরিতে পারদর্শী হয়ে উঠে। এরপর থেকেই দইয়ের সুনাম স্থানীয় বাজারসহ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এখন সে এই ব্যবসাতেই সফল। বর্তমানে বাজারে সে একটি সেমিপাকা ঘর ভাড়া নিয়ে দই বিক্রি করছেন। দোকানটি আকারে ছোট হলেও ক্রেতাদের আনাগোনায় সবসময়ই প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর থাকে।
নাছির উদ্দিন বলেন, বাবার হাত ধরে ২০০৪ সালে মাত্র ২০ হাজার টাকা নিয়ে নেমে ২১ বছরের বেশি সময় যাবৎ চলছে এই ব্যবসা। অভাব অনটনে নবম শ্রেণির বেশি পড়ালেখা করতে না পারিনি। তবে দই ব্যবসায় মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। মানুষজন দূরদূরান্ত থেকে এখানে এসে দই খেয়ে তৃপ্তি পান। যখন ভালো বলেন তখন মানসিক শান্তি পাই। গ্রাম থেকে গর“র খাঁটি দুধ সংগ্রহ করে চিনি ও দুধের অনুপাত ঠিক রেখে চাহিদানুযায়ী গ্যাসের চুলায় বাড়িতে এবং দোকানে দই তৈরি করে বিক্রি করছি।
নাছির উদ্দিন আরও বলেন, দুধের দাম বেশি হওয়ায় এখন খরচ পোষাতে এক গ্লাস দই ৩০ টাকা এবং কেজি প্রতি দই ২০০ টাকা দামে বিক্রি করছি। আমার তৈরিকৃত মিষ্টি দই বিক্রির জন্য কাচের ও প্লাস্টিকের গ্লাসে এবং পাতিলে করে সংরক্ষণে রাখি। প্রতিদিন গড়ে ৭০ থেকে ৮০ গ্লাস দই বিক্রি করছি। এছাড়াও পাতিলে করে প্রতিদিন দই বিক্রি হয় গড়ে ১৫ থেকে ২০ কেজি। এই ব্যবসা করেই আমার ২ মেয়ে ও ১ ছেলের পড়ালেখার খরচসহ স্ত্রী ও বাবা মাকে নিয়ে সুখে শান্তিতে সংসার করছি। তবে প্রশাসনিক, সংস্থা বা কারো কোন সহায়তা পেলে এই ব্যবসাটিকে আরও বড়আকারল এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হতো।