এডিস মশার উপদ্রব কমছে না। গত ২৪ ঘণ্টায় এই মশার কামড়ে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের গত রোববার পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১৬২৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১৩ জন। এই ভাবে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি ও অপারেশন কন্ট্রোলের দায়িত্ব প্রাপ্ত ডা. জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে বরিশালে ১০ জন, চট্রগ্রামে ৩ জন, ঢাকা বিভাগে ১ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১ জন, ঢাকা দক্ষিণে ৬ জন ও খুলনায় ৫ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত ১৩ জনের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণে ৭ জন, খুলনায় ২ জন, ময়মনসিংহে ১ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১ জন, ঢাকা বিভাগে ১ জন ও চট্রগ্রামে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এখনো ভর্তিকৃতদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৬ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ১ জন ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৩ জন ভর্তি আছে। অন্যরা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
ডেঙ্গু বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে দেশের মানুষের পরিচিত শক্র এডিস মশা। এই মশার কামড়ে সংক্রমিত রোগ ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া। ২০০০ সাল থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রায় প্রতি বছরই কম বেশি মানুষ ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। এর বাহক মশা। এর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও আমাদের জানা। তারপরও আমরা ব্যর্থ হচ্ছি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে?
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব গবেষক প্রফেসর কবিরুল বাসার তার এক ডেঙ্গু প্রতিবেদনে বলেছেন, এডিস মশা দমনে র্যাপিড রেসপন্স টিম গঠন করে দায়িত্ব পালন করা দরকার। কীটতত্ত্ববিদ, মশক সুপারবাইজার, স্প্রেম্যান, ফগারম্যান, ক্লিনার, ড্রাইভার থাকার দরকার। তাদের কাজ জিআই স্টিমের তথ্য উপাত্ত অনুযায়ী কোথাও ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেলে সেই বাড়ির ৪০০ গজের মধ্যে উড়ন্ত মশা নিধন নিশ্চিত করা। কোথাও এডিস মশার ঘনত্ব বেশি পাওয়া গেলে সেখানেও মশা নিধন নিশ্চিত করা । তাদের কার্যক্রম সম্পন্ন করে মোবাইল অ্যাপে এন্ট্র্রি দেয়া।
সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
এডিস মশার উপদ্রব কমছে না। গত ২৪ ঘণ্টায় এই মশার কামড়ে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের গত রোববার পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১৬২৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১৩ জন। এই ভাবে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি ও অপারেশন কন্ট্রোলের দায়িত্ব প্রাপ্ত ডা. জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে বরিশালে ১০ জন, চট্রগ্রামে ৩ জন, ঢাকা বিভাগে ১ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১ জন, ঢাকা দক্ষিণে ৬ জন ও খুলনায় ৫ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত ১৩ জনের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণে ৭ জন, খুলনায় ২ জন, ময়মনসিংহে ১ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১ জন, ঢাকা বিভাগে ১ জন ও চট্রগ্রামে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এখনো ভর্তিকৃতদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৬ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ১ জন ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৩ জন ভর্তি আছে। অন্যরা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
ডেঙ্গু বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে দেশের মানুষের পরিচিত শক্র এডিস মশা। এই মশার কামড়ে সংক্রমিত রোগ ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া। ২০০০ সাল থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রায় প্রতি বছরই কম বেশি মানুষ ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। এর বাহক মশা। এর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও আমাদের জানা। তারপরও আমরা ব্যর্থ হচ্ছি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে?
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব গবেষক প্রফেসর কবিরুল বাসার তার এক ডেঙ্গু প্রতিবেদনে বলেছেন, এডিস মশা দমনে র্যাপিড রেসপন্স টিম গঠন করে দায়িত্ব পালন করা দরকার। কীটতত্ত্ববিদ, মশক সুপারবাইজার, স্প্রেম্যান, ফগারম্যান, ক্লিনার, ড্রাইভার থাকার দরকার। তাদের কাজ জিআই স্টিমের তথ্য উপাত্ত অনুযায়ী কোথাও ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেলে সেই বাড়ির ৪০০ গজের মধ্যে উড়ন্ত মশা নিধন নিশ্চিত করা। কোথাও এডিস মশার ঘনত্ব বেশি পাওয়া গেলে সেখানেও মশা নিধন নিশ্চিত করা । তাদের কার্যক্রম সম্পন্ন করে মোবাইল অ্যাপে এন্ট্র্রি দেয়া।