নেত্রকোনা : ঝুঁকিপূর্ণ রেলগেট দিয়ে যাতায়াত করছে অসংখ্য যাত্রীবাহী যানবাহন -সংবাদ
গেইটম্যানবিহীন ঝুঁকিপূর্ণ রেল গেট দিয়েই নেত্রকোনায় চলাচল করছে ট্রেন। দীর্ঘদিন ধরে রেললাইনগুলো সংস্কার না হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ রেলগেট দিয়েই যাতায়াত করছে অসংখ্য যাত্রীবাহী যানবাহন। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা, যে কোন সময় মারাত্মক প্রাণহানির আশঙ্কায় স্থানীয়রা। তবে ঝুঁকিপূর্ণ রেললাইন সংস্কারসহ স্থায়ী গেইটম্যান নিয়োগে উদ্যোগ নেয়ার আশ্বাস সংস্লিষ্ট রেল কতৃপক্ষের।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রেলগেট পাড় হয়ে নেত্রকোণা-ময়মনসিংহ সড়কের চল্লিশা এলাকায় প্রতিদিন চলাচল করে ছোট বড় অন্তত বিশ হাজার যানবাহন। যা ছুটি ও বিশেষ দিনগুলোতে হয় দ্বিগুণ। এছাড়াও সদর উপজেলার রেলক্রসিং, বাংলা, ঠাকুরকোনাসহ জেলার বিভিন্ন অংশে প্রায় ৪১ টি রেল গেইট থাকলেও নেই পর্যাপ্ত গেইটম্যান কিংবা বেরিয়ার। এতে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে যাত্রীবাহী অসংখ্য যানবাহন। এর মাঝে লাইনের অনেকাংশে সরে গেছে স্লিপার, রয়েছে দীর্ঘদিনের পুরনো ব্রিজ ও কালভার্ট। নরবড়ে হয়ে আছে জয়েন্টনাট। এমন পরিস্থিতেও প্রতিদিনই এই রেল লাইনে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ ও পূর্বধলার জারিয়া স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করছে তিনটি আন্তঃনগরসহ প্রায় ৭টি ট্রেন। এর মাঝে নেত্রকোণা পৌর শহরের সাতপাই রেলক্রসিং এলাকায় গত পাঁচ বছর ধরেই নষ্ট গেট বেরিয়ার। নেই স্থায়ী গেটম্যান। মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেনসহ হাজারো যানবাহন। অটোচালক রফিকুল মিয়া, ট্রাক চালক ইদ্রিস আলী জানান, প্রায় সময় এইপথে যাতায়ত করতে গিয়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনা সন্মুখিন হতে হয়। কারণ ট্রেন কাছে চলে আসলেও বেরিয়ার না থাকায় তা বুঝা যায় না। এছাড়াও স্থানীয়রা বলছেন কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনো সুরাহাই মেলেনি।
অন্যদিকে জারিয়া রেলগেটে প্রায়ই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। রেল লাইন থেকে সরে গেছে পাথর। প্রায় সবগুলো রেলগেটের চিত্র যেন একই। কোনোটিতে নেই গেটম্যান আর কোনোটিতে নেই বেরিয়ার। ফলে যে কোন সময় মারাত্মক প্রাণহানির আশঙ্কায় স্থানীয়রা।
তবে রেলের আধুনিকায়নে কাজ চলছে দ্রুতই লাইন সংস্কার ও পর্যাপ্ত গেইটম্যান নিয়োগ হবে জানিয়েছেন নেত্রকোনা বড় স্টেশন মাস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। রেলওয়ের তথ্যমতে, জেলার দশটি উপজেলার মাঝে পাঁচটি রেল নেটওয়ার্কের আওতায়। প্রায় ৭১ কিলোমিটার লাইনের বিভিন্ন অংশে অনুমোদিত রেলগেট রয়েছে ৪১টি।
নেত্রকোনা : ঝুঁকিপূর্ণ রেলগেট দিয়ে যাতায়াত করছে অসংখ্য যাত্রীবাহী যানবাহন -সংবাদ
সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
গেইটম্যানবিহীন ঝুঁকিপূর্ণ রেল গেট দিয়েই নেত্রকোনায় চলাচল করছে ট্রেন। দীর্ঘদিন ধরে রেললাইনগুলো সংস্কার না হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ রেলগেট দিয়েই যাতায়াত করছে অসংখ্য যাত্রীবাহী যানবাহন। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা, যে কোন সময় মারাত্মক প্রাণহানির আশঙ্কায় স্থানীয়রা। তবে ঝুঁকিপূর্ণ রেললাইন সংস্কারসহ স্থায়ী গেইটম্যান নিয়োগে উদ্যোগ নেয়ার আশ্বাস সংস্লিষ্ট রেল কতৃপক্ষের।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রেলগেট পাড় হয়ে নেত্রকোণা-ময়মনসিংহ সড়কের চল্লিশা এলাকায় প্রতিদিন চলাচল করে ছোট বড় অন্তত বিশ হাজার যানবাহন। যা ছুটি ও বিশেষ দিনগুলোতে হয় দ্বিগুণ। এছাড়াও সদর উপজেলার রেলক্রসিং, বাংলা, ঠাকুরকোনাসহ জেলার বিভিন্ন অংশে প্রায় ৪১ টি রেল গেইট থাকলেও নেই পর্যাপ্ত গেইটম্যান কিংবা বেরিয়ার। এতে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে যাত্রীবাহী অসংখ্য যানবাহন। এর মাঝে লাইনের অনেকাংশে সরে গেছে স্লিপার, রয়েছে দীর্ঘদিনের পুরনো ব্রিজ ও কালভার্ট। নরবড়ে হয়ে আছে জয়েন্টনাট। এমন পরিস্থিতেও প্রতিদিনই এই রেল লাইনে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ ও পূর্বধলার জারিয়া স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করছে তিনটি আন্তঃনগরসহ প্রায় ৭টি ট্রেন। এর মাঝে নেত্রকোণা পৌর শহরের সাতপাই রেলক্রসিং এলাকায় গত পাঁচ বছর ধরেই নষ্ট গেট বেরিয়ার। নেই স্থায়ী গেটম্যান। মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেনসহ হাজারো যানবাহন। অটোচালক রফিকুল মিয়া, ট্রাক চালক ইদ্রিস আলী জানান, প্রায় সময় এইপথে যাতায়ত করতে গিয়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনা সন্মুখিন হতে হয়। কারণ ট্রেন কাছে চলে আসলেও বেরিয়ার না থাকায় তা বুঝা যায় না। এছাড়াও স্থানীয়রা বলছেন কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনো সুরাহাই মেলেনি।
অন্যদিকে জারিয়া রেলগেটে প্রায়ই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। রেল লাইন থেকে সরে গেছে পাথর। প্রায় সবগুলো রেলগেটের চিত্র যেন একই। কোনোটিতে নেই গেটম্যান আর কোনোটিতে নেই বেরিয়ার। ফলে যে কোন সময় মারাত্মক প্রাণহানির আশঙ্কায় স্থানীয়রা।
তবে রেলের আধুনিকায়নে কাজ চলছে দ্রুতই লাইন সংস্কার ও পর্যাপ্ত গেইটম্যান নিয়োগ হবে জানিয়েছেন নেত্রকোনা বড় স্টেশন মাস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। রেলওয়ের তথ্যমতে, জেলার দশটি উপজেলার মাঝে পাঁচটি রেল নেটওয়ার্কের আওতায়। প্রায় ৭১ কিলোমিটার লাইনের বিভিন্ন অংশে অনুমোদিত রেলগেট রয়েছে ৪১টি।