নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গত সোমবারের গ্যাসের আগুনে দগ্ধ রূপালী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গত রোববার ভোর পৌনে ৬টায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়। সেখানকার জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান বলেন, ‘তার শরীরের ৩৪ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।’
এনিয়ে নারায়ণগঞ্জের ওই আগুনে মোট তিন জনের মৃত্যু হলো। এর আগে গত শুক্রবার রাত ১টার দিকে হান্নান নামে এক ব্যক্তি মারা যান। পরদিন মারা যায় রূপালীর দেড় বছরের মেয়ে সুমাইয়া। রূপালীর স্বামী সোহাগও ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি।
গত ৩ মার্চ রাত আড়াইটার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের পশ্চিম ধনকুন্ডা এলাকায় ইব্রাহিম খলিলের টিনশেড বাসায় ওই অগ্নিকা-ে দুই পরিবারের মোট আট জন দগ্ধ হন। দগ্ধরা হলেনÑ রিকশাচালক হান্নান (৪০), তার স্ত্রী পোশাক শ্রমিক নুরজাহান আক্তার লাকী (৩০), মেয়ে জান্নাত (৩), মেয়ে সামিয়া (৯), ছেলে সাব্বির (১৬), আরেক পরিবারের পোশাক শ্রমিক সোহাগ (২৩), তার স্ত্রী পোশাক শ্রমিক রূপালী (২০) ও তাদের একমাত্র দেড় বছর বয়সী মেয়ে সুমাইয়া। ওইদিন ভোরেই সবাইকে ঢাকার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়।
তাদের মধ্যে সাব্বিরের শরীরের ২৭ শতাংশ, হান্নানের ৪৫ শতাংশ, লাকীর ২২ শতাংশ, সামিয়ার ৭ শতাংশ, জান্নাতের ৩ শতাংশ, রূপালীর ৩৪ শতাংশ, সুমাইয়ার ৪৪ শতাংশ এবং সোহাগের শরীর ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়। বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক নাসির উদ্দিন বলেছিলেন, শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় আট জনের মধ্যে ছয় জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রাখা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিনের ভাষ্য, দুই কক্ষের সেমিপাকা টিনশেড ঘরের নিচ দিয়ে গ্যাসের লাইন গেছে। সেখান থেকে কোনোভাবে গ্যাস লিকেজ হয় এবং তাতে ঘরের ভেতর গ্যাস চেম্বারের সৃষ্টি হয়। যে কোনোভাবে আগুনের স্পার্কের সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন লেগে যায়। দগ্ধ লাকীর ভাই আনোয়ার বলছেন, আগুন যখন লাগে, তখন সবাই ঘুমিয়ে ছিল। ওই অবস্থাতেই সবাই দগ্ধ হয়।
সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গত সোমবারের গ্যাসের আগুনে দগ্ধ রূপালী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গত রোববার ভোর পৌনে ৬টায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়। সেখানকার জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান বলেন, ‘তার শরীরের ৩৪ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।’
এনিয়ে নারায়ণগঞ্জের ওই আগুনে মোট তিন জনের মৃত্যু হলো। এর আগে গত শুক্রবার রাত ১টার দিকে হান্নান নামে এক ব্যক্তি মারা যান। পরদিন মারা যায় রূপালীর দেড় বছরের মেয়ে সুমাইয়া। রূপালীর স্বামী সোহাগও ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি।
গত ৩ মার্চ রাত আড়াইটার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের পশ্চিম ধনকুন্ডা এলাকায় ইব্রাহিম খলিলের টিনশেড বাসায় ওই অগ্নিকা-ে দুই পরিবারের মোট আট জন দগ্ধ হন। দগ্ধরা হলেনÑ রিকশাচালক হান্নান (৪০), তার স্ত্রী পোশাক শ্রমিক নুরজাহান আক্তার লাকী (৩০), মেয়ে জান্নাত (৩), মেয়ে সামিয়া (৯), ছেলে সাব্বির (১৬), আরেক পরিবারের পোশাক শ্রমিক সোহাগ (২৩), তার স্ত্রী পোশাক শ্রমিক রূপালী (২০) ও তাদের একমাত্র দেড় বছর বয়সী মেয়ে সুমাইয়া। ওইদিন ভোরেই সবাইকে ঢাকার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়।
তাদের মধ্যে সাব্বিরের শরীরের ২৭ শতাংশ, হান্নানের ৪৫ শতাংশ, লাকীর ২২ শতাংশ, সামিয়ার ৭ শতাংশ, জান্নাতের ৩ শতাংশ, রূপালীর ৩৪ শতাংশ, সুমাইয়ার ৪৪ শতাংশ এবং সোহাগের শরীর ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়। বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক নাসির উদ্দিন বলেছিলেন, শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় আট জনের মধ্যে ছয় জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রাখা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিনের ভাষ্য, দুই কক্ষের সেমিপাকা টিনশেড ঘরের নিচ দিয়ে গ্যাসের লাইন গেছে। সেখান থেকে কোনোভাবে গ্যাস লিকেজ হয় এবং তাতে ঘরের ভেতর গ্যাস চেম্বারের সৃষ্টি হয়। যে কোনোভাবে আগুনের স্পার্কের সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন লেগে যায়। দগ্ধ লাকীর ভাই আনোয়ার বলছেন, আগুন যখন লাগে, তখন সবাই ঘুমিয়ে ছিল। ওই অবস্থাতেই সবাই দগ্ধ হয়।