নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক রেলওয়ে কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অফিস চত্বরের ঘর দখল করে বেডরুম বানানোর অভিযোগ মিলেছে। ওই কর্মকর্তার নাম আব্দুল মতিন। তিনি সৈয়দপুর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। রেলওয়ের নিয়ম মতে এমন পদবির অধিকারী কর্মকর্তারা বসবাসের জন্য বাংলো পেয়ে থাকেন। মূল বেতনের সঙ্গে ৪০% সরকার তাদের বাসা ভাড়ার টাকাও দেন। তবে সরকারি বাংলোতে বাস করলে সরকারের দেয়া বাসা ভাড়ার এই টাকা ভাড়া বাবদ কেটে নেয়া হয়। সেই জন্য বাসা ভাড়ার টাকা ফাঁকি দেয়ার জন্য এই কর্মকর্তা অফিস চত্বরের রুম দখল করে মাসের পর মাস বসবাস করে আসছেন। এতে করে প্রতি মাসে তিনি সরকারের কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা ক্ষতি করছেন। সেই হিসাবে বছরে প্রায় দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা আয় থেকে বঞ্চিত থাকছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান রেলওয়ে। অভিযোগ মতে, রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলীর (পথ) কার্যালয়টি রেললাইনের পাশে রয়েছে। নিরিবিলি স্থানে অফিসটি থাকায় রেলওয়ের ওই কর্মকর্তা নির্ভার হয়ে তার দখলকৃত অফিস রুমটিতে রাতের বেলা মউজ মাস্তি রুমে পরিণত করেন। চারদিক থেকে ইটের সীমানা প্রাচীর দিয়ে অফিস ঘরটি ঘেরা থাকায় দিন কিংবা রাতে সাধারণ মানুষ সেদিকে নজর দেন না। এমন সুযোগে রেলওয়ের এই কর্মকর্তা অফিস চত্বরের দখল করা রুমটিকে রাতের বেলা জলসা ঘরে পরিণত করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অফিস চত্বরের রুম দখল করে বেডরুম বানিয়ে রাত্রি যাপনকারী রেলওয়ে কর্মকর্তা প্রকৌশলী আব্দুল মতিনের সঙ্গে অভিযোগ বিষয়ে জানতে কথা হয়। তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি অফিস চত্বরের রুমে থাকার কারণে অফিস চত্বরে রক্ষিত রেলওয়ের মালামাল চুরির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। তাছাড়াও রেলওয়ের বাসাবাড়ি বেদখল হয়ে যাওয়ায় আমার থাকার মতো আমি কোন বাসা পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে অফিস চত্বরের রুমে বসবাস করছি। এটিকে অনিয়ম বলা যাবে না। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও আমার এ বিষয়টি জানে। এই কর্মকর্তার এমন অনৈতিক কর্মের বিষয়ে মন্তব্য জানতে কথা হয় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা প্রকৌশলী গোলাম রব্বানীর সঙ্গে। তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ শেষে যাতে আরামে রাত্রিযাপন করতে পারে সেজন্য সরকার বাসা ভাড়া বাবদ টাকা দেয়। কিন্তু রেলওয়ের এই কর্মকর্তা সরকারের দেয়া বাসা ভাড়ার টাকা পকেটস্থ করতে অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে। অফিস চত্বরের রুম দখল করে বেডরুম বানানো সরকারি বিধি পরিপন্থী। এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকেশলীর (পথ) বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য জানতে মুঠোফোনে কথা হয় সিনিয়র সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (এইএন) মোহাম্মদ মুরসালীন রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, এটি একটি গুরুত্বর অনিয়ম। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক রেলওয়ে কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অফিস চত্বরের ঘর দখল করে বেডরুম বানানোর অভিযোগ মিলেছে। ওই কর্মকর্তার নাম আব্দুল মতিন। তিনি সৈয়দপুর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। রেলওয়ের নিয়ম মতে এমন পদবির অধিকারী কর্মকর্তারা বসবাসের জন্য বাংলো পেয়ে থাকেন। মূল বেতনের সঙ্গে ৪০% সরকার তাদের বাসা ভাড়ার টাকাও দেন। তবে সরকারি বাংলোতে বাস করলে সরকারের দেয়া বাসা ভাড়ার এই টাকা ভাড়া বাবদ কেটে নেয়া হয়। সেই জন্য বাসা ভাড়ার টাকা ফাঁকি দেয়ার জন্য এই কর্মকর্তা অফিস চত্বরের রুম দখল করে মাসের পর মাস বসবাস করে আসছেন। এতে করে প্রতি মাসে তিনি সরকারের কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা ক্ষতি করছেন। সেই হিসাবে বছরে প্রায় দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা আয় থেকে বঞ্চিত থাকছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান রেলওয়ে। অভিযোগ মতে, রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলীর (পথ) কার্যালয়টি রেললাইনের পাশে রয়েছে। নিরিবিলি স্থানে অফিসটি থাকায় রেলওয়ের ওই কর্মকর্তা নির্ভার হয়ে তার দখলকৃত অফিস রুমটিতে রাতের বেলা মউজ মাস্তি রুমে পরিণত করেন। চারদিক থেকে ইটের সীমানা প্রাচীর দিয়ে অফিস ঘরটি ঘেরা থাকায় দিন কিংবা রাতে সাধারণ মানুষ সেদিকে নজর দেন না। এমন সুযোগে রেলওয়ের এই কর্মকর্তা অফিস চত্বরের দখল করা রুমটিকে রাতের বেলা জলসা ঘরে পরিণত করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অফিস চত্বরের রুম দখল করে বেডরুম বানিয়ে রাত্রি যাপনকারী রেলওয়ে কর্মকর্তা প্রকৌশলী আব্দুল মতিনের সঙ্গে অভিযোগ বিষয়ে জানতে কথা হয়। তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি অফিস চত্বরের রুমে থাকার কারণে অফিস চত্বরে রক্ষিত রেলওয়ের মালামাল চুরির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। তাছাড়াও রেলওয়ের বাসাবাড়ি বেদখল হয়ে যাওয়ায় আমার থাকার মতো আমি কোন বাসা পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে অফিস চত্বরের রুমে বসবাস করছি। এটিকে অনিয়ম বলা যাবে না। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও আমার এ বিষয়টি জানে। এই কর্মকর্তার এমন অনৈতিক কর্মের বিষয়ে মন্তব্য জানতে কথা হয় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা প্রকৌশলী গোলাম রব্বানীর সঙ্গে। তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ শেষে যাতে আরামে রাত্রিযাপন করতে পারে সেজন্য সরকার বাসা ভাড়া বাবদ টাকা দেয়। কিন্তু রেলওয়ের এই কর্মকর্তা সরকারের দেয়া বাসা ভাড়ার টাকা পকেটস্থ করতে অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে। অফিস চত্বরের রুম দখল করে বেডরুম বানানো সরকারি বিধি পরিপন্থী। এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকেশলীর (পথ) বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য জানতে মুঠোফোনে কথা হয় সিনিয়র সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (এইএন) মোহাম্মদ মুরসালীন রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, এটি একটি গুরুত্বর অনিয়ম। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।