রংপুর : ইফতার সামগ্রী বিক্রির জন্য বিভিন্ন পসরা নিয়ে বসে আছে দোকানদার -সংবাদ
পবিত্র রমজান উপলক্ষে বিভাগীয় নগরী রংপুরে বাহারি ইফতারসামগ্রীর বড় বড় দোকানগুলোতে এবার ভীড় নেই বললেই চলে। বেচা-কেনা একেবারে কম, নেই প্রতিবারের মতো গ্রাহকদের উপচেপড়া ভিড়। ব্যবসায়ীরা বলছেন মানুষের হাতে টাকা নেই মধ্য বিত্ত শ্রেণীর লোকজনরা ইফতারসামগ্রী কিনতে আসলেও অল্প অল্প করে কিনছেন। নিম্নবিত্তরা ইফতার কিনছেন না বললেও চলে। রমজান মাসে যেখানে রমরমা ইফতারসামগ্রী বিক্রি হবার কথা তা অর্ধেকও বিক্রি না হওয়ায় হতাশ ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে রংপুরের কাছারী বাজার এলাকায় মৌবন, মহুয়া, স্টার হোটেল, মতি সুইটস অ্যান্ড ব্যাকারী এই ৪টি দোকানে রমজান উপলক্ষে বাহাড়ি নানান পদের ইফতারসামগ্রীর পসরা নিয়ে বসে দোকানিরা।
বিশেষ করে বোম্বে জিলাপি, গুড়ের জিলাপি, মিহি দানা, জর্দ্দা পেলাও , শামি কাবাব, গরু, মুরগীর মাংসের বিভিন্ন উপকরনের ব্যাপক চাহিদা থাকে গ্রাহকদের। এ ছাড়াও ছোলা, পিয়াজু, বেগুনী, হলিম তো আছেই। কিন্তু প্রথম তিন রমজানের পর বেচা কেনা একেবারে অর্ধেকে নেমে এসেছে বললেন দোকানীরা। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এসব দোকানে গিয়ে দেখা গেছে ইফতার সামগ্রীর পসরা নিয়ে অলস সময় পার করছেন দোকানের কর্মচারীরা।
মহুয়ার কর্মচারী সামসুল জানালেন প্রতি রমজানে লাখ লাখ টাকার ইফতার সামগ্রী বিক্রি করা হয়। এবার অর্ধেকও বিক্রি হচ্ছেনা। খদ্দের অনেক কম ফলে ৩ দিন ধরে সব আইটেম কম করে রান্না করে রাখতে হচ্ছে। এছাড়া প্রতিদিন বিভিন্ন ইফতার পার্টি থাকতো গড়ে ৩ থকে ৫ হাজার প্যাকেট ইফতার ওর্ডার আসতো কিন্তু এবার গত ৭ দিনে ৫শ প্যাকেট ইফতারও বিক্রি হয়নি। এবার ইফতার অনুষ্ঠানও খুবই কম। রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন ইফতার পার্টিও নেই বললেই চলে।
একই কথা বলেন, মৌবন দোকানের ম্যানেজার আফজাল হোসেন তিনি বললেন রমজান মাসে বিভিন্ন বাহারি ইফতার তৈরি করে বিক্রি করা হতো। খদ্দেরদের চাপে দম ফেলানোর সুযোগ থাকতোনা সেখানে এবার বেচা কেনা আশংকাজনক কমে গেছে। যেসব ইফতার সামগ্রী তৈরি করা হয় সেগুলো বিক্রি হয়না ফলে অবিক্রিত থাকছে ইফতার।
এদিকে ইফতার কিনতে আসা চাকরিজীবী রফিকুল ইসলাম বললেন এবার ইফতারসামগ্রীর দাম অনেক বেশি। এমনিতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসফাঁস অবস্থা। সে কারণে অল্প পরিমানে ইফতার কিনতে হচ্ছে। একই কথা জানালেন গৃহবধূ মমতাজ বেগম। তিনি বললেন আয় রোজগার কম যা আয় তা দিয়ে সংসার চালানো দায় সেখানে বাহাড়ি ইফতার কেনা সম্ভব না।
একই অবস্থা নগরীর জাহাজ কোম্পানি মোড়, অভিজাত এলাকা ধাপসহ নগরীর বেশীর ভাগ এলাকা ইফতারসামগ্রী নিয়ে বসে আছেন ক্রেতা নেই। এমন অবস্থা গত ২৫-৩০ বছরেও হয়নি বলে জানালেন অনেকে।
রংপুর : ইফতার সামগ্রী বিক্রির জন্য বিভিন্ন পসরা নিয়ে বসে আছে দোকানদার -সংবাদ
সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
পবিত্র রমজান উপলক্ষে বিভাগীয় নগরী রংপুরে বাহারি ইফতারসামগ্রীর বড় বড় দোকানগুলোতে এবার ভীড় নেই বললেই চলে। বেচা-কেনা একেবারে কম, নেই প্রতিবারের মতো গ্রাহকদের উপচেপড়া ভিড়। ব্যবসায়ীরা বলছেন মানুষের হাতে টাকা নেই মধ্য বিত্ত শ্রেণীর লোকজনরা ইফতারসামগ্রী কিনতে আসলেও অল্প অল্প করে কিনছেন। নিম্নবিত্তরা ইফতার কিনছেন না বললেও চলে। রমজান মাসে যেখানে রমরমা ইফতারসামগ্রী বিক্রি হবার কথা তা অর্ধেকও বিক্রি না হওয়ায় হতাশ ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে রংপুরের কাছারী বাজার এলাকায় মৌবন, মহুয়া, স্টার হোটেল, মতি সুইটস অ্যান্ড ব্যাকারী এই ৪টি দোকানে রমজান উপলক্ষে বাহাড়ি নানান পদের ইফতারসামগ্রীর পসরা নিয়ে বসে দোকানিরা।
বিশেষ করে বোম্বে জিলাপি, গুড়ের জিলাপি, মিহি দানা, জর্দ্দা পেলাও , শামি কাবাব, গরু, মুরগীর মাংসের বিভিন্ন উপকরনের ব্যাপক চাহিদা থাকে গ্রাহকদের। এ ছাড়াও ছোলা, পিয়াজু, বেগুনী, হলিম তো আছেই। কিন্তু প্রথম তিন রমজানের পর বেচা কেনা একেবারে অর্ধেকে নেমে এসেছে বললেন দোকানীরা। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এসব দোকানে গিয়ে দেখা গেছে ইফতার সামগ্রীর পসরা নিয়ে অলস সময় পার করছেন দোকানের কর্মচারীরা।
মহুয়ার কর্মচারী সামসুল জানালেন প্রতি রমজানে লাখ লাখ টাকার ইফতার সামগ্রী বিক্রি করা হয়। এবার অর্ধেকও বিক্রি হচ্ছেনা। খদ্দের অনেক কম ফলে ৩ দিন ধরে সব আইটেম কম করে রান্না করে রাখতে হচ্ছে। এছাড়া প্রতিদিন বিভিন্ন ইফতার পার্টি থাকতো গড়ে ৩ থকে ৫ হাজার প্যাকেট ইফতার ওর্ডার আসতো কিন্তু এবার গত ৭ দিনে ৫শ প্যাকেট ইফতারও বিক্রি হয়নি। এবার ইফতার অনুষ্ঠানও খুবই কম। রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন ইফতার পার্টিও নেই বললেই চলে।
একই কথা বলেন, মৌবন দোকানের ম্যানেজার আফজাল হোসেন তিনি বললেন রমজান মাসে বিভিন্ন বাহারি ইফতার তৈরি করে বিক্রি করা হতো। খদ্দেরদের চাপে দম ফেলানোর সুযোগ থাকতোনা সেখানে এবার বেচা কেনা আশংকাজনক কমে গেছে। যেসব ইফতার সামগ্রী তৈরি করা হয় সেগুলো বিক্রি হয়না ফলে অবিক্রিত থাকছে ইফতার।
এদিকে ইফতার কিনতে আসা চাকরিজীবী রফিকুল ইসলাম বললেন এবার ইফতারসামগ্রীর দাম অনেক বেশি। এমনিতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসফাঁস অবস্থা। সে কারণে অল্প পরিমানে ইফতার কিনতে হচ্ছে। একই কথা জানালেন গৃহবধূ মমতাজ বেগম। তিনি বললেন আয় রোজগার কম যা আয় তা দিয়ে সংসার চালানো দায় সেখানে বাহাড়ি ইফতার কেনা সম্ভব না।
একই অবস্থা নগরীর জাহাজ কোম্পানি মোড়, অভিজাত এলাকা ধাপসহ নগরীর বেশীর ভাগ এলাকা ইফতারসামগ্রী নিয়ে বসে আছেন ক্রেতা নেই। এমন অবস্থা গত ২৫-৩০ বছরেও হয়নি বলে জানালেন অনেকে।