alt

সারাদেশ

সংস্কারের অভাবে নষ্ট হচ্ছে শ্রীমঙ্গলের ত্রিপুরা মহারাজার কাচারি ভবন

সংগ্রাম দত্ত, শ্রীমঙ্গল : সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

ভগ্নপ্রায় শতাব্দী প্রাচীন স্থাপনাটি তৎকালীন শ্রীহট্ট জেলা বর্তমানে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা শহরে তৎকালীন ত্রিপুরা মহারাজের কাচারি বাড়ি ।

সাত চল্লিশের দেশভাগের পর পাকিস্তান সরকার বাড়িটি অধিগ্রহণ করে। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে শ্রীমঙ্গলের হবিগঞ্জ রোডে অবস্থিত এই বাড়িটি উপজেলা ভূমি অফিস হিসেবে ব্যবহৃত। উনিশ শতকের শেষভাগে ডাউকি ফল্ট প্রলয়ঙ্কারী ভূমিকম্পের পরপরই তৎকালীন ত্রিপুরা মহারাজ কর্তৃক এতদঞ্চলে প্রজাদের নিকট থেকে খাজনা আদায়ের জন্য শহরের মধ্যভাগে প্রায় পৌনে দুই একর জায়গার ওপরে বাড়িটি নির্মাণ করা হয়। আধুনিক ত্রিপুরার স্থপতি মহারাজ বীরচন্দ্র মাণিক্য দেববর্মন বাহাদুরের আমলে বাড়িটি নির্মিত। পরবর্তীতে মহারাজ বীরেন্দ্র কিশোর মাণিক্য বাহাদুরের সময়ে পুরোদমে এই কাচারী বাড়ি থেকেই এ অঞ্চলে তাদের খাজনা আদায় তথা প্রশাসনিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতেন।

ত্রিপুরা রাজ্য বলতে অধুনা যা বলা হয়, তা মূলত, পার্বত্য ত্রিপুরা। বর্তমান ত্রিপুরার কমলপুর সংলগ্ন কমলগঞ্জ, ভানুগাছ, শমশেরনগর, শ্রীমঙ্গলের বৃহদাংশ ছিল ত্রিপুরা মাণিক্য দেববর্মন রাজপরিবারের দখলে। শ্রীযুক্ত অচ্যুৎচরণ চৌধুরী তত্বনিধির শ্রীহট্টের ইতিহাসের আকরগ্রন্থ ‘শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ততেও এর সত্যতা মেলে । শ্রীহট্টের কুলাউড়া এবং তৎসংলগ্ন ধর্মনগর, কৈলাশহরের কথা প্রয়াত, কৈলাশ চন্দ্র সিংহ রচিত ত্রিপুরা রাজপরিবারের ইতিহাস কথা ‘রাজমালা’ গ্রন্থে উল্লেখ আছে ।

স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন একতলা এই বাড়িটি প্রস্থে ত্রিশ ফুট ও দৈর্ঘ্যে কুড়ি ফুট । রয়েছে তিনটি কক্ষ, আটটি দরজা ও নয়টি জানালা । যার প্রতিটি দেওয়াল এক ফুট চওড়া ও প্রাচীন চুন-সুরকি দ্বারা নির্মিত। ইতোমধ্যে এই স্থাপনার কোথাও আংশিক আবার কোথাও পুরোপুরি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়েছে। দেওয়াল ও ছাদে দেখা দিয়েছে বড় ফাটল। পুরো স্থাপনাজুড়ে শেওলা জমাট বেঁধেছে।

দেশভাগে ত্রিপুরা আজ ভারতে, জরাজীর্ণ ভবনে এখন আর কেউ আসেও না। অথচ এক সময় প্রজাদের ভিড়ে লোকারণ্য ছিল এই ভবনটি। রাজবাড়ীর খাজনা যুগের অবসান হয়েছে বহু আগে। মাণিক্য পরিবারের খাজনার স্মৃতি ধারণ করে নীরবে ভগ্ন অবস্থায় ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে ত্রিপুরা মহারাজের ভবনটি। এখনো নির্মাণশৈলীর বহুমাত্রিক কারুকাজ রয়েছে চোখে পড়ার মতো। বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে কালের অতল গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে এই ঐতিহাসিক পুরাকীর্তি।

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের নারী শ্লীলতাহানির অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

ছবি

সাভারে নারীবিদ্বেষী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে যুবক আটক

রাজবাড়ীতে গ্রাম্য শালিসে একই পরিবারের ২০ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম

ছবি

কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে মৃৎশিল্পীদের তৈরি তৈজসপত্র

ছবি

জামালপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে আইনজীবীদের সংঘর্ষ, আহত ১১

সিরাজগঞ্জে যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসে ডাকাতি

ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড দাবিতে বেরোবিতে মানববন্ধন

নাটোরে যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার

ছবি

রংপুরে ভিড় নেই বাহারি ইফতারের দোকানে, বিক্রি নেমেছে অর্ধেকে

ছবি

সিলেট রেঞ্জ ডিআইজির জকিগঞ্জ থানা পরিদর্শন

শরীয়তপুরে চাঁদনী হত্যার বিচার শেষ হয়নি ১০ বছরেও

ছবি

মহেশপুরে ইজারা শেষ হওয়ার আগেই বিল দখল দুই বিএনপি নেতার

ছবি

চকরিয়ায় বনাঞ্চলের ভেতর অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ

ভোমরা শুল্ক স্টেশনে আট মাসে ৭৫১ কোটি টাকা রাজস্ব আয়

মুন্সীগঞ্জে অবৈধ চুনা কারখানা গুঁড়িয়ে দিল তিতাস

কালিহাতীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

টঙ্গীবাড়িতে পরিত্যক্ত হিমাগারের আগুন

সিরাজগঞ্জে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ১

ছবি

চুরি করতে গিয়ে ধরা, জবানবন্দিতে বেরিয়ে এলো হত্যার রহস্য

স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় স্বামী গ্রেপ্তার

ভারতীয় মদসহ গ্রেপ্তার এক

ঘোড়াঘাটে ২ ইটভাটায় জরিমানা

পৃথক অগ্নিকা-ে ১০ বসতঘর ছাই, ঘুমন্ত স্কুলছাত্রের মৃত্যু

সালিশি বৈঠকে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২২

৪ জেলায় সড়কে ও রেলে ৭ জন নিহত

মরা গরুর মাংস বিক্রি, অর্থদণ্ড

ডাকাতের গুলিতে আহত ২, আটক ১

কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত বৃদ্ধের মৃত্যু

বগুড়ায় ৭ম শ্রেণীর ছাত্র খুন, আটক ১

ছবি

অফিস চত্বরের ঘর দখল করে শয়নকক্ষ বানানোর অভিযোগ রেলওয়ে কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

চাঁদপুরে গুঁড়িয়ে দেয়া হলো অবৈধ ইটভাটা

মূল্যতালিকা না রাখায় ১১ দোকানদারকে জরিমানা

ছবি

সরকারি খালে ড্রেজারে বসিয়ে অবাধে চলছে বালু উত্তোলন

ঈদের আগেই চলতি মাসের বেতন সরকারি কর্মচারীদের

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ইন্টার্নদের দাবি আদায়ে বিক্ষাভ

নারায়ণগঞ্জে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ আরেক নারীর মৃত্যু

tab

সারাদেশ

সংস্কারের অভাবে নষ্ট হচ্ছে শ্রীমঙ্গলের ত্রিপুরা মহারাজার কাচারি ভবন

সংগ্রাম দত্ত, শ্রীমঙ্গল

সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

ভগ্নপ্রায় শতাব্দী প্রাচীন স্থাপনাটি তৎকালীন শ্রীহট্ট জেলা বর্তমানে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা শহরে তৎকালীন ত্রিপুরা মহারাজের কাচারি বাড়ি ।

সাত চল্লিশের দেশভাগের পর পাকিস্তান সরকার বাড়িটি অধিগ্রহণ করে। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে শ্রীমঙ্গলের হবিগঞ্জ রোডে অবস্থিত এই বাড়িটি উপজেলা ভূমি অফিস হিসেবে ব্যবহৃত। উনিশ শতকের শেষভাগে ডাউকি ফল্ট প্রলয়ঙ্কারী ভূমিকম্পের পরপরই তৎকালীন ত্রিপুরা মহারাজ কর্তৃক এতদঞ্চলে প্রজাদের নিকট থেকে খাজনা আদায়ের জন্য শহরের মধ্যভাগে প্রায় পৌনে দুই একর জায়গার ওপরে বাড়িটি নির্মাণ করা হয়। আধুনিক ত্রিপুরার স্থপতি মহারাজ বীরচন্দ্র মাণিক্য দেববর্মন বাহাদুরের আমলে বাড়িটি নির্মিত। পরবর্তীতে মহারাজ বীরেন্দ্র কিশোর মাণিক্য বাহাদুরের সময়ে পুরোদমে এই কাচারী বাড়ি থেকেই এ অঞ্চলে তাদের খাজনা আদায় তথা প্রশাসনিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতেন।

ত্রিপুরা রাজ্য বলতে অধুনা যা বলা হয়, তা মূলত, পার্বত্য ত্রিপুরা। বর্তমান ত্রিপুরার কমলপুর সংলগ্ন কমলগঞ্জ, ভানুগাছ, শমশেরনগর, শ্রীমঙ্গলের বৃহদাংশ ছিল ত্রিপুরা মাণিক্য দেববর্মন রাজপরিবারের দখলে। শ্রীযুক্ত অচ্যুৎচরণ চৌধুরী তত্বনিধির শ্রীহট্টের ইতিহাসের আকরগ্রন্থ ‘শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ততেও এর সত্যতা মেলে । শ্রীহট্টের কুলাউড়া এবং তৎসংলগ্ন ধর্মনগর, কৈলাশহরের কথা প্রয়াত, কৈলাশ চন্দ্র সিংহ রচিত ত্রিপুরা রাজপরিবারের ইতিহাস কথা ‘রাজমালা’ গ্রন্থে উল্লেখ আছে ।

স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন একতলা এই বাড়িটি প্রস্থে ত্রিশ ফুট ও দৈর্ঘ্যে কুড়ি ফুট । রয়েছে তিনটি কক্ষ, আটটি দরজা ও নয়টি জানালা । যার প্রতিটি দেওয়াল এক ফুট চওড়া ও প্রাচীন চুন-সুরকি দ্বারা নির্মিত। ইতোমধ্যে এই স্থাপনার কোথাও আংশিক আবার কোথাও পুরোপুরি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়েছে। দেওয়াল ও ছাদে দেখা দিয়েছে বড় ফাটল। পুরো স্থাপনাজুড়ে শেওলা জমাট বেঁধেছে।

দেশভাগে ত্রিপুরা আজ ভারতে, জরাজীর্ণ ভবনে এখন আর কেউ আসেও না। অথচ এক সময় প্রজাদের ভিড়ে লোকারণ্য ছিল এই ভবনটি। রাজবাড়ীর খাজনা যুগের অবসান হয়েছে বহু আগে। মাণিক্য পরিবারের খাজনার স্মৃতি ধারণ করে নীরবে ভগ্ন অবস্থায় ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে ত্রিপুরা মহারাজের ভবনটি। এখনো নির্মাণশৈলীর বহুমাত্রিক কারুকাজ রয়েছে চোখে পড়ার মতো। বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে কালের অতল গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে এই ঐতিহাসিক পুরাকীর্তি।

back to top