মাগুরার শিশু নির্যাতন ও হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দা ও প্রতিবাদ চলতে থাকলেও শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াচ্ছেন রাজনৈতিক নেতারা। আজ (শুক্রবার) সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা শিশুটির বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন এবং সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
শুক্রবার সকালে শ্রীপুর উপজেলার ওই বাড়িতে যান জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আফরোজা আব্বাস। তিনি শিশুটির মা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “এমন ঘটনা সারা দেশকে নাড়া দিয়েছে। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এই পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন। আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটে।”
এর কিছুক্ষণ পর মাগুরা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মনোয়ার হোসেন খানও শিশুটির পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। শিশুটির মা জানান, তার স্বামী কয়েক মাস আগে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন, যার ফলে পরিবারটি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তিনি স্বামীর চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা চান। এ সময় মনোয়ার হোসেন খান শিশুটির বাবার চিকিৎসার জন্য সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দেন এবং জানান, “পরিবারটি যেন ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সে ব্যাপারে ব্যক্তিগত ও দলীয়ভাবে সহায়তা করা হবে। খুব শিগগিরই শিশুটির বাবার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।”
শিশুটির বাড়িতে আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা ভিড় করছেন। এক আত্মীয় বলেন, “শিশুটির বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে পুরো পরিবার অসহায় হয়ে পড়েছে। আমরা আগে বুঝতে পারিনি তাদের অবস্থা এত খারাপ। এখন চাই, বাকি সন্তানদের যেন ভালোভাবে বড় করা যায়, আর তাদের বাবার চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়।”
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৮ মার্চ শিশুটি তার বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গুরুতর নির্যাতনের শিকার হয়। অচেতন অবস্থায় তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে শিশুটিকে সিএমএইচে নেওয়া হয়, যেখানে বৃহস্পতিবার সে মারা যায়।
এ ঘটনায় শিশুটির মা ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তারা রিমান্ডে রয়েছে।
এই ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ চলছে। ধর্ষণ ও নারী-শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নিহত শিশুটির স্বজনরা ও স্থানীয়রা দোষীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
মাগুরার শিশু নির্যাতন ও হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দা ও প্রতিবাদ চলতে থাকলেও শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াচ্ছেন রাজনৈতিক নেতারা। আজ (শুক্রবার) সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা শিশুটির বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন এবং সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
শুক্রবার সকালে শ্রীপুর উপজেলার ওই বাড়িতে যান জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আফরোজা আব্বাস। তিনি শিশুটির মা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “এমন ঘটনা সারা দেশকে নাড়া দিয়েছে। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এই পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন। আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটে।”
এর কিছুক্ষণ পর মাগুরা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মনোয়ার হোসেন খানও শিশুটির পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। শিশুটির মা জানান, তার স্বামী কয়েক মাস আগে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন, যার ফলে পরিবারটি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তিনি স্বামীর চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা চান। এ সময় মনোয়ার হোসেন খান শিশুটির বাবার চিকিৎসার জন্য সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দেন এবং জানান, “পরিবারটি যেন ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সে ব্যাপারে ব্যক্তিগত ও দলীয়ভাবে সহায়তা করা হবে। খুব শিগগিরই শিশুটির বাবার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।”
শিশুটির বাড়িতে আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা ভিড় করছেন। এক আত্মীয় বলেন, “শিশুটির বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে পুরো পরিবার অসহায় হয়ে পড়েছে। আমরা আগে বুঝতে পারিনি তাদের অবস্থা এত খারাপ। এখন চাই, বাকি সন্তানদের যেন ভালোভাবে বড় করা যায়, আর তাদের বাবার চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়।”
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৮ মার্চ শিশুটি তার বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গুরুতর নির্যাতনের শিকার হয়। অচেতন অবস্থায় তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে শিশুটিকে সিএমএইচে নেওয়া হয়, যেখানে বৃহস্পতিবার সে মারা যায়।
এ ঘটনায় শিশুটির মা ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তারা রিমান্ডে রয়েছে।
এই ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ চলছে। ধর্ষণ ও নারী-শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নিহত শিশুটির স্বজনরা ও স্থানীয়রা দোষীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।