সরকার ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকার সাভারে ট্যানারি শিল্প নগরীর শ্রমিকরা কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেছেন। এর ফলে শনিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হয়।
বিসিক চামড়া শিল্প নগরীর বিভিন্ন কারখানার সামনে ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের ব্যানারে শ্রমিকরা অবস্থান নেন এবং দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
শ্রমিকদের অভিযোগ, সরকার ট্যানারি শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি ১৮ হাজার ১ টাকা নির্ধারণ করলেও মালিকপক্ষ তা বাস্তবায়ন করেনি। ট্যানারি শ্রমিক আরিফ মোল্লা বলেন, “অন্যান্য সেক্টরে ন্যূনতম মজুরি কার্যকর হলেও আমাদের ক্ষেত্রে নানা অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে।”
রুহুল আমিন নামে এক শ্রমিক বলেন, “আমাদের কাজ পরিশ্রমের, কিন্তু বেতন খুবই কম। পাঁচটি গ্রেডে বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন না হলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলব।”
রিলায়েন্স ট্যানারির শ্রমিক শহিদুল ইসলাম বলেন, “আজ মাসের ১৫ তারিখ, এখনো বেতন পাইনি। রোজার খরচ কিভাবে চালাব? বেতন বাড়াবে না, ঠিক সময়েও দেবে না, তাহলে চলব কীভাবে?”
শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়ন, বকেয়া বেতন পরিশোধ ও অন্যান্য দাবির বিষয়ে মালিকপক্ষ ও বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনা চলছিল। তবে এর মধ্যেই শ্রমিকরা আন্দোলনে নামে।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সালমা ট্যানারির পরিচালক সাখাওয়াত উল্লাহ জানান, শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি ও মালিকপক্ষের মধ্যে আগামী ১৭ মার্চ বৈঠকের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “শ্রমিকরা জানেন বৈঠকে আলোচনা হবে, তবুও তারা কর্মবিরতি করেছেন।”
অর্ধবেলা কর্মবিরতির পর শ্রমিকরা কাজে ফিরলেও তাদের আরও কিছু দাবি রয়েছে। এগুলো হলো—শ্রম আইন বাস্তবায়ন, শ্রমিকদের নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র প্রদান, কারখানাগুলোর পরিদর্শন কার্যক্রম কার্যকর করা, স্থায়ী কাজে অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করা এবং অবৈধ কন্ট্রাক্টরের মাধ্যমে শ্রমিকদের কাজ করানো বন্ধ করা।
এছাড়া শ্রমিকরা ৫০ শয্যার হাসপাতাল স্থাপন, স্বল্প মূল্যে ক্যান্টিন ও আবাসন সুবিধা, নারী শ্রমিকদের জন্য কল্যাণ সুবিধা, ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার, ট্যানারি শিল্পে কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করার দাবিও জানিয়েছেন।
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
সরকার ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকার সাভারে ট্যানারি শিল্প নগরীর শ্রমিকরা কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেছেন। এর ফলে শনিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হয়।
বিসিক চামড়া শিল্প নগরীর বিভিন্ন কারখানার সামনে ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের ব্যানারে শ্রমিকরা অবস্থান নেন এবং দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
শ্রমিকদের অভিযোগ, সরকার ট্যানারি শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি ১৮ হাজার ১ টাকা নির্ধারণ করলেও মালিকপক্ষ তা বাস্তবায়ন করেনি। ট্যানারি শ্রমিক আরিফ মোল্লা বলেন, “অন্যান্য সেক্টরে ন্যূনতম মজুরি কার্যকর হলেও আমাদের ক্ষেত্রে নানা অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে।”
রুহুল আমিন নামে এক শ্রমিক বলেন, “আমাদের কাজ পরিশ্রমের, কিন্তু বেতন খুবই কম। পাঁচটি গ্রেডে বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন না হলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলব।”
রিলায়েন্স ট্যানারির শ্রমিক শহিদুল ইসলাম বলেন, “আজ মাসের ১৫ তারিখ, এখনো বেতন পাইনি। রোজার খরচ কিভাবে চালাব? বেতন বাড়াবে না, ঠিক সময়েও দেবে না, তাহলে চলব কীভাবে?”
শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়ন, বকেয়া বেতন পরিশোধ ও অন্যান্য দাবির বিষয়ে মালিকপক্ষ ও বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনা চলছিল। তবে এর মধ্যেই শ্রমিকরা আন্দোলনে নামে।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সালমা ট্যানারির পরিচালক সাখাওয়াত উল্লাহ জানান, শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি ও মালিকপক্ষের মধ্যে আগামী ১৭ মার্চ বৈঠকের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “শ্রমিকরা জানেন বৈঠকে আলোচনা হবে, তবুও তারা কর্মবিরতি করেছেন।”
অর্ধবেলা কর্মবিরতির পর শ্রমিকরা কাজে ফিরলেও তাদের আরও কিছু দাবি রয়েছে। এগুলো হলো—শ্রম আইন বাস্তবায়ন, শ্রমিকদের নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র প্রদান, কারখানাগুলোর পরিদর্শন কার্যক্রম কার্যকর করা, স্থায়ী কাজে অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করা এবং অবৈধ কন্ট্রাক্টরের মাধ্যমে শ্রমিকদের কাজ করানো বন্ধ করা।
এছাড়া শ্রমিকরা ৫০ শয্যার হাসপাতাল স্থাপন, স্বল্প মূল্যে ক্যান্টিন ও আবাসন সুবিধা, নারী শ্রমিকদের জন্য কল্যাণ সুবিধা, ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার, ট্যানারি শিল্পে কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করার দাবিও জানিয়েছেন।